৩১ মে ২০১৭, বুধবার, ১১:১৮

আবগারি শুল্ক বাড়ছে, শঙ্কায় আমানতকারীরা

আসন্ন ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে গ্রাহকদের ব্যাংকে সঞ্চিত রাখা অর্থের ওপর আবগারি শুল্ক (এক্সাইজ ডিউটি) দ্বিগুণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে ব্যাংকে গ্রাহকের এক লাখ টাকার ওপরে জমা থাকলে আবগারি শুল্ক বাবদ এক হাজার টাকা কেটে নেবে সরকার। বর্তমানে লাখে আবগারি শুল্ক নেয়া হয় ৫০০ টাকা। এতে শঙ্কায় পড়েছেন আমানতকারীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবগারি শুল্ক বাড়ানো হলে ব্যাংকে আর টাকা রাখবেন না ছোট আমানতকারীরা। তবে নিরাপত্তার কারণে অনেকেই টাকা রাখবেন। অন্যদিকে ব্যাংকাররা বলছেন, আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন গ্রাহক, বিপাকে পড়বে ব্যাংক। সাধারণ সঞ্চয়কারীরা ব্যাংকে টাকা রাখবেন না। ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে লেনদেন ও সঞ্চয়ে উৎসাহিত হবেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আবগারি শুল্ক সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এ নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে বেশকিছু দিন ধরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এনবিআরের প্রস্তাব অনুযায়ী, সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জমা দেয়া বা উঠানো হলে কোনো ধরনের শুল্ক নেয়া হবে না। তবে ২০ হাজার এক টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট ও ডেবিট (জমা ও ঋণের হিসেবে) ব্যালেন্সের আবগারি শুল্ক ২০০ টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে আলোচিত ব্যালেন্সে ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক নেয়া হয়।

এদিকে ১ লাখ এক টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট ও ডেবিট ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে বর্তমানে আবগারি শুল্ক নেয়া হয় ৫০০ টাকা। আগামী বাজেটে তা দ্বিগুণ করে এক হাজার টাকা নেয়ার প্রস্তাব হয়েছে। ১ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট-ডেবিট ব্যালেন্সের আবগারি শুল্ক নেয়া হয় এক হাজার ৫০০ টাকা। আগামী বাজেটে তা দ্বিগুণ করে তিন হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। এক কোটি এক টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট বা ডেবিট ব্যালেন্সে আবগারি শুল্ক নেয়া হয় সাত হাজার ৫০০ টাকা। আগামী বাজেটে আবগারি শুল্ক বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব হয়েছে। পাঁচ কোটি এক টাকা থেকে তদূর্ধ্ব ক্রেডিট অথবা ডেবিট ব্যালেন্সে বর্তমানে ১৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক নেয়া হয়। আগামী বাজেটে এ শুল্ক বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ৩০ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমীন বলেন, আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ করার প্রস্তাবে গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তিনি বলেন, শুধু আবগারি শুল্ক নয় গ্রাহককে আরও অনেক ট্যাক্স-ভ্যাট দিতে হয়।

http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=67719&cat=10/