২৯ মে ২০১৭, সোমবার, ১২:১০

পদ্মা সেতুর পাইলিং পাইপ পরিবহন

৫ কোটি টাকা আটকে দেয়ার অভিযোগ

পদ্মা সেতুর জন্য ভিয়েতনাম থেকে আনা ‘পাইলিং পাইপ’ পরিবহনের পাওনা প্রায় পাঁচ কোটি টাকা আটকে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নিপ্পন এক্সপ্রেস (বিডি) লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কোম্পনির বিরুদ্ধে মামলা হলে আদালত পাইলিং পাইপ পরিবহনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। কিন্তু আদালতের এ আদেশ অমান্য করে নিপ্পন এক্সপ্রেস পাইপ পরিবহন অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে অভিযোগকারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের মোমনির রোডের এসআর এন্টারপ্রাইজ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পদ্মা সেতুর জন্য ভিয়েতনাম থেকে আনা পাইলিং পাইপ মংলা বন্দর থেকে বার্জের মাধ্যমে মেঘনার কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া বা পরিবহনের দায়িত্ব নেয় এসআর এন্টারপ্রাইজ। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে নিপ্পন এক্সপ্রেস বাংলাদেশ লিমিটেডের ২০১৬ সালের ২৯ জুন চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী সাতটি শিপমেন্টের বিপরীতে আসা তিন হাজার ২০০ টন পাইপ এসআর এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের কথা। প্রতিটি বার্জের মাসিক ভাড়া ধরা হয় ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে। প্রথম শিপমেন্টে ১২টি বার্জ এবং দ্বিতীয় শিপমেন্টে ৯টি বার্জ পাইপ পরিবহন করে। চুক্তি অনুযায়ী পরিবহন ব্যয় আসে সাড়ে ৯ কোটি টাকা। এসআর এন্টারপ্রাইজের মালিক হামিদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, নিপ্পন এক্সপ্রেস তাদের চার কোটি ৮০ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও প্রায় পাঁচ কোটি টাকা পরিশোধ না করে ভিন্ন একটি কোম্পানিকে পরিবহন কাজ দিয়ে দেয়। উপায় না দেখে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক আবদুর রহমান পাইপ পরিবহনে নিপ্পন এক্সপ্রেসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। হামিদুর রহমান অভিযোগ করেন, এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নিপ্পন এক্সপ্রেস স্টার মার্ক নামে ভিন্ন একটি কোম্পানির মাধ্যমে বার্জে পাইপ পরিবহন অব্যাহত রেখেছে। এতে তারা ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জানতে চাইলে ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকার নিপ্পন এক্সপ্রেস বিডি লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল আলম রোববার যুগান্তরকে বলেন, আমাদের কাছে কোনো টাকা পাবে না এসআর এন্টারপ্রাইজ। চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় উল্টো ওই প্রতিষ্ঠানের (এসআর এন্টারপ্রাইজ) কাছেই আমরা টাকা পাব।

http://www.jugantor.com/last-page/2017/05/29/128270