২৮ মে ২০১৭, রবিবার, ৯:২০

চার বছরে ১২০০ গার্মেন্ট বন্ধ হয়েছে : বিজিএমইএ

২ বছরের জন্য উৎসে কর প্রত্যাহার দাবি

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়ে গত চার বছরে এক হাজার ২০০ তৈরী পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সঙ্কট ও ব্যাংক ঋণে সুদহার বেশি হওয়ায় শিল্পে কাক্সিত বিনিয়োগ হচ্ছে না। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা তৈরি না হওয়ায় অধিক ভাড়া দিয়ে বিমানে পণ্য পরিবহন করতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিশ্ববাজারে দেশীয় তৈরী পোশাকখাতকে টিকিয়ে রাখতে আগামী দুই বছর উৎসে কর প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।
গতকাল বিজিএমইএ ভবনে ‘পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ও আসন্ন বাজেট (২০১৭-১৮)’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরেন তিনি। একই সাথে রফতানির ওপর পাঁচ শতাংশ সহায়তা প্রদান ও করপোরেট ট্যাক্স হার ২০ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। সংগঠনের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ নাসির ও মাহমুদ হাসান খান বাবুসহ সংশ্লিষ্টরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পোশাক শিল্পকে বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে হচ্ছে মন্তব্য করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ইউরোর দরপতন, ব্রেক্সিট ও গ্যাস সঙ্কটসহ নানা কারণে আমাদের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে ১৮ শতাংশ। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে নতুন বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও জাপানের বাজারে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বাজারের েেত্রও একই অবস্থা।
বর্তমান পরিস্থিতিকে সঙ্কটময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১০ মাসে নতুন বাজারে আমাদের রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র এক দশমিক ২১ শতাংশ, যেখানে গত বছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। এমতাবস্থায় আগামী দুই বছরের জন্য এই খাতে উৎসে কর প্রত্যাহারসহ সব ধরনের সহযোগিতার দাবি জানান তিনি। শিল্পে নতুন বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে শিল্প ও বাণিজ্যের েেত্র রাজস্ব নীতিসহ সব নীতি ও কৌশল পাঁচ বছরের জন্য স্থিতিশীল রাখারও দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/223504