২৫ মে ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ৯:১৩

বাংলাদেশে মার্কিন আর্থিক সহায়তা কমছে

বন্ধ হচ্ছে সামরিক সহায়তা!

বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার পরিমাণ কমানোর প্রস্তাব করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। কংগ্রেসের অনুমোদনের জন্য পাঠানো মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বাজেটে এই কাটছাঁটের প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২১ কোটি ডলার আর্থিক সহায়তা পেয়েছিল। এখন ট্রাম্পের পররাষ্ট্র দফতর তা কমিয়ে ২০১৮ সালের জন্য বাংলাদেশকে ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব করেছে। এই বাজেট প্রস্তাবনায় বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সব সামরিক অনুদান বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলা ট্রিবিউন।
তবে প্রস্তাবিত বাজেটে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সচল রাখার জন্য নতুন করে ৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার বরাদ্দ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
তা ছাড়া জঙ্গিবাদ দমনে অ্যান্টি-টেররিজম অ্যাসিস্ট্যান্স হিসেবে বাংলাদেশকে ৩০ লাখ ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সংস্কারের মাধ্যমে বিচার ও প্রশাসনে আন্তর্জাতিকমানের মানবাধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে নতুন প্রস্তাবে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য খাতে ২০১৬ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র যেখানে আর্থিক বরাদ্দ পেয়েছে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার সেখানে ট্রাম্প প্রশাসন এ খাতে ২০১৮ সালে বাংলাদেশকে ৩ কোটি ৬৭ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা দেয়ার কথা বলছে।
২০১৬ সালে বাংলাদেশে সামরিক খাতে আর্থিক বরাদ্দ ছিল ২০ লাখ ডলার। এবার সামরিক খাতে সব সহায়তা বন্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সামরিক প্রশিণ ও শিার জন্য ১৫ লাখ ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ দিকে শহরাঞ্চলসহ দেশের সব জায়গায় গর্ভবতী নারীদের মৃত্যুর হার কমাতে এবং পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য মার্কিন প্রশাসন দুই কোটি ২৫ লাখ ডলার বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, নবজাতক মৃত্যু শিশু মৃত্যুর হারে বিশেষ প্রভাব ফেলে। নবজাতকের প্রথম ৩০ দিনে, যখন তাদের মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। ওই বরাদ্দ এমন সময়ে জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে। ফিস্টুলা দূর করে নিরাপদ মাতৃত্বে সহায়তা করার কথাও ওই প্রস্তাবে বলা হয়।
কমিউনিটিভিত্তিক পুষ্টি কার্যক্রম ও অপুষ্টির শিকার শিশুদের এ থেকে উত্তরণের েেত্র মার্কিন প্রশাসন ৪৮ লাখ ডলার বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করেছে। দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা এ পুষ্টি কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পররাষ্ট্র দফতর ওই প্রস্তাবে জানিয়েছে, মায়ের বুকের দুধের বাইরেও শিশুদের জন্য যে পুষ্টিকর খাদ্য ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা প্রয়োজন ওই আর্থিক বরাদ্দ এতে সহায়তা দেবে। বাংলাদেশে বিশেষত দণিাঞ্চলে অপুষ্টি মোকাবেলায় এ পুষ্টি কার্যক্রম কৃষি ও মাছ উৎপাদন এবং পুষ্টি ও চিকিৎসা শিার সাথে জড়িত বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।


http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/222859