২৩ মে ২০১৭, মঙ্গলবার, ৮:৫৩

ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা

প্রশ্নপত্র ফাঁসের পেছনে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা!

রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার পেছনে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতার তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে কিংবা প্রশ্নপত্র সরবরাহের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষ দিয়ে ওই সব পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বড় অঙ্কের বাণিজ্য করছে একটি চক্র। পরীক্ষাকেন্দ্রের কোনো কোনো শিক্ষকও প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রক্রিয়ায় জড়িত বলে কারো কারো অভিযোগ। তবে এসব অভিযোগ থাকলেও খোঁজ নিতে গিয়ে পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র সরবরাহ থেকে শুরু করে পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কেন্দ্রে নজরদারির ক্ষেত্রে দুর্বলতার চিত্র পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি জনতা ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে লিখিত পরীক্ষা এবং অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই পরীক্ষার ফল স্থগিত করেছেন আদালত। অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ পরীক্ষা ছিল গত শুক্রবার দুই বেলা। কিন্তু আগের রাতে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে কয়েকটি প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার অভিযোগ ওঠায় বিকেলের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সকালের অংশের পরীক্ষা বাতিল করারও দাবি জানানো হচ্ছে।
এদিকে একাধিক ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি (বিএসসি) সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, বিএসসির সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে এই ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল। এই ষড়যন্ত্র সফল হলে বিএসসির কাছ থেকে সরকারি ব্যাংকগুলোর নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব আবার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের হাতে চলে যেতে পারে। এতে আবার ওই সব ব্যাংকে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কিংবা অর্থের বিনিময়ে কর্মকর্তা নিয়োগের সুযোগ তৈরি হবে। এতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতানোর সুযোগ পাবেন অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তারা। মেধা ও দক্ষতার মূল্যায়ন হবে না।
জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে বিএসসি গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এই কমিটিকে সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিএসসি সচিবালয় নামে আলাদা একটি বিভাগ করা হয়। বর্তমানে এই বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে রয়েছেন মো. মোশাররফ হোসেন খান।
বিএসসি গঠনের আগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেন হওয়ার অভিযোগ ছিল। কখনো কখনো সুপারিশ ও তদবিরের তালিকা থাকত পদের সংখ্যার চেয়েও বড়। এ ছাড়া প্রতিটি পরীক্ষায় অংশ নিতে আলাদাভাবে আবেদন করতে গিয়ে শত শত টাকা খরচ হয়ে যেত চাকরিপ্রত্যাশীদের। সার্বিক বিষয় চিন্তা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বিলুপ্ত বিআরসির (ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটি) আদলে বিএসসি গঠনের উদ্যোগ নেন।
বিএসসি সূত্রে জানা যায়, নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে দেশের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা এবং বড় আকারের পরীক্ষা নেওয়ার অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ দেওয়া হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষা নিয়ে থাকে। মৌখিক পরীক্ষা নেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপর নির্দিষ্টসংখ্যক পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে বিএসসি। এই সুপারিশ থেকে ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিএসসি গঠনের পর থেকে গত দেড় বছরে কোনো ধরনের ফি ছাড়াই একাধিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরি পেয়েছেন দুই হাজার ৩৭ জন প্রার্থী। আরো প্রায় চার হাজার কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে নিয়োগের এই প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ বিভিন্ন কাজে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা অবলম্বন করে থাকেন পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুষদ বা বিভাগের শিক্ষকরা। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধাঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় কেন্দ্রে। প্রশ্নপত্র সরবরাহের এই প্রক্রিয়ায় তদারকি ও নিরাপত্তার কিছু ঘাটতির তথ্য উঠে আসে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের শিক্ষকদের বক্তব্যেই। পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরই শিক্ষকরা। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের বা অন্য কোনো পক্ষের পর্যাপ্ত নজরদারি থাকে না।
পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত অনুষদ বা বিভাগের শিক্ষকরা বলছেন, আবেদনকারী বেশি হওয়ায় অনেক কেন্দ্র ভাড়া নিতে হয়। ফলে ওই সব কেন্দ্রের অনেক শিক্ষককেও যুক্ত করতে হয় পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পালনের জন্য। কেন্দ্রের বিপুলসংখ্যক শিক্ষকের মধ্যেই কারো কারো পক্ষে প্রশ্নপত্র ফাঁস করার কাজে জড়িয়ে পড়াটা অসম্ভব নয়। এ ছাড়া কেন্দ্রে প্রশ্নপত্র সরবরাহের সঙ্গে জড়িত কোনো কর্মকর্তার মাধ্যমেও ফাঁস হতে পারে।
জনতা ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্বে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ। ওই অনুষদের একাধিক শিক্ষক বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হচ্ছে আর পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে জালিয়াতচক্র। কিন্তু পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সহযোগিতা পাওয়া যায় না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে সাহায্য চেয়েও অনেক সময় পাওয়া যায় না; যদিও পুলিশ গেলে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্মানী দেওয়া হয়। একজন শিক্ষক বলেন, বিষয়টি এমন হয়েছে যে চুক্তিভিক্তিক কাজ দিয়েই দায়িত্ব শেষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বিনা মূল্যে আবেদন করার সুযোগ থাকায় বিপুলসংখ্যক প্রার্থী আবেদন করেন। সবার জন্যই পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। লাখ লাখ পরীক্ষার্থী হওয়ায় অনেক শিক্ষক ও কেন্দ্রের প্রয়োজন হয়। এর কোনোটির মধ্য দিয়েই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যেতে পারে। এটা রোধ করা খুবই কঠিন।
বিএসসি সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিএসসি গঠনের পরপরই ব্যাংকগুলোর নিয়োগপ্রক্রিয়া যে অবস্থায় ছিল সেই অবস্থায় আমাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়। দুই বছর ধরে বিজ্ঞপ্তি দিয়েও অনেক ব্যাংক নিয়োগ দিতে পারছিল না। পরবর্তী এক বছরের মধ্যেই আমরা ওই সব ব্যাংকের নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। এ নিয়েও আমরা কথা শুনেছি যে বিএসসির কারণে তিন বছর ধরে নিয়োগপ্রক্রিয়া ঝুলে আছে। এখন শুরু হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ষড়যন্ত্র। ’ তিনি আরো বলেন, ‘বিএসসি নিজে নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষা নেয় না। দরপত্রের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ এই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপানো বা পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আমরা তেমন কোনো শর্ত আরোপ করি না। কেবল প্রশ্নপত্র তৈরির বিষয়ে একটি মানদণ্ড দিয়ে দিই। বাকিটা তাদেরই দায়িত্ব। এখন পরীক্ষার আগের রাতে কিংবা পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধাঘণ্টা আগে কিভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় তার দায় বিএসসির নয়। তবে হ্যাঁ, এতে বিএসসির সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে এই পরীক্ষা নেওয়ার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান আর আগ্রহ নাও দেখাতে পারে। এতে বিএসসির কাছ থেকে ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা আবার ব্যাংকগুলোর ওপর ছেড়ে দিতে হবে। তখন আবার সেই নিয়োগ বাণিজ্য...। একজন প্রার্থীর কাছ থেকে পাঁচ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ আছে ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে। আবার তাই শুরু হবে। ’
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনও বলেন, ‘একদম স্বচ্ছতার সঙ্গে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ায় অনেকে ক্ষুব্ধ। অনেকে নিয়োগ বাণিজ্য করতে পারছে না। নিজের যোগ্যতা ও মেধা ব্যতীত ভিন্ন কোনো পন্থায় চাকরি পাওয়ার সুযোগ নেই। এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করছে। অসৎ উদ্দেশ্যে একটি পক্ষ প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আন্দোলন করছে। শিক্ষার্থীদের জোর করে মাঠে নামিয়ে আন্দোলন করাচ্ছে। ’ তিনি আরো বলেন, ‘নিজের মেধা ছাড়া নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন পেয়ে কেউ উত্তীর্ণ হলেও লিখিত পরীক্ষায় পার পাবে না। অবশ্যই ধরা পড়বে। এ ছাড়া মৌখিক পরীক্ষা তো আছেই। তবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে এই প্রক্রিয়ায় নিয়োগকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। বিশেষ একটি মহলের ষড়যন্ত্র আছে। ’
জানা যায়, বিএসসির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, আইবিএসহ কয়েকটি বিভাগ প্রশ্নপত্র তৈরি এবং পরীক্ষা নেওয়ার কাজের জন্য টেন্ডার জমা দেয়। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতি পরীক্ষার্থীর বিপরীতে ৮৫ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত খরচ ধরা হয়। এই টাকা দিয়ে নেওয়া হয় নৈর্ব্যক্তিক ও লিখিত পরীক্ষা। নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র তৈরি, অপটিক্যাল মার্ক রিডার (ওএমআর), ইলেকট্রনিক মেশিনে উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও ফল প্রকাশও করা হয়। কয়েক লাখ পরীক্ষার্থী থেকে নির্দিষ্ট ‘কাটমার্ক’ ধরে ১০ হাজার কিংবা তার চেয়ে কম শিক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ করা হয়। এই উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য আবারও ২০০ নম্বরের প্রশ্ন প্রণয়ন ও খাতা মূল্যায়ন করতে হয় শিক্ষকদের। সর্বোপরি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য সুপারিশ করে দায়িত্ব শেষ করেন শিক্ষকরা।
জনতা ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ অফিসার পদে দুই লাখ ৫৬ হাজার শিক্ষার্থীর নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষা নেওয়া এবং ১০ হাজার বা তার চেয়ে কম কিংবা বেশি পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা গ্রহণে উন্মুক্ত টেন্ডার আহ্বান করেছিল বিএসসি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ওই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পায়। আর অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছিল একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ। গত শুক্রবার সকাল ও বিকাল দুই ধাপে পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘বিনা মূল্যে আবেদনের সুযোগ থাকায় সবাই আবেদন করে কিন্তু পরীক্ষা দেয় প্রায় অর্ধেক। কিন্তু সবার পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। সবাই না আসায় ক্ষতি হয়। কেন্দ্র ভাড়াও বেশি হয়। আর টেন্ডারের মাধ্যমে পরীক্ষা নিতে যে অর্থ পাওয়া যায় তা খুবই অপ্রতুল। কোনোভাবেই দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। ব্যক্তিস্বার্থের চেয়ে ন্যূনতম অর্থেই সঠিক প্রার্থী নির্বাচনের লক্ষ্য মাথায় রেখে দায়িত্ব নেওয়া হয়। ’

 

 

http://www.kalerkantho.com/print-edition/first-page/2017/05/23/500395