২৩ মে ২০১৭, মঙ্গলবার, ৮:৫২

ঘুষ ছাড়া কাজই হয় না পল্লী বিদ্যুতে

কর্মকর্তা-কর্মচারী লাইনম্যান-ঠিকাদার মিলেমিশে দুর্নীতি

ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলার রাউতনগর গুচ্ছগ্রাম। বছরখানেক আগে ঘোষণা দেওয়া হলো- সেখানকার ৩৬০ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে। তবে তার জন্য দিতে হবে জনপ্রতি সাত হাজার টাকা। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎবঞ্চিতরা 'আলোর' ছোঁয়া পেতে প্রায় ২৫ লাখ টাকা তুলে দিলেন স্থানীয় দালাল হুমায়ুন কবির ও আবদুল হালিমের হাতে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই দালালের মাধ্যমে ওই টাকা তোলেন রানীশংকৈল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (আরইবি) পরিচালক নাসিরুল ইসলাম। তবে বছর পেরিয়ে গেছে; গুচ্ছগ্রামে বিদ্যুৎ যায়নি।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এমন চিত্র শুধু ঠাকুরগাঁওয়েরই নয়, দেশজুড়ে। নতুন সংযোগ থেকে শুরু করে মিটার স্থাপন, বিদ্যুতের খুঁটি সরানো, ট্রান্সফরমার পরিবর্তনসহ প্রতিটি সেবার জন্য গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। ঘুষছাড়া কোনো কাজই হয় না। আরইবির কর্মকর্তা-কর্মচারী, লাইনম্যান ও ঠিকাদার সবাই ঘুষ বাণিজ্যে জড়িত। আর তাদের 'কাজ' সহজ করে দিচ্ছেন রাজনৈতিক ও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা স্থানীয় দালালরা। বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দের বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। এর মধ্যেই আরইবির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। গ্রাহক পর্যায়ে সচেতনতা তৈরিতে চলছে মাইকিং, লাগানো হচ্ছে পোস্টার; লিফলেটও বিতরণ করা হচ্ছে। টেলিভিশন, বেতার ও পত্রিকার মাধ্যমেও চালানো হচ্ছে বিশেষ প্রচারণা। তবে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না; গ্রাহক হয়রানিও কমছে না।

আরইবি কর্তৃপক্ষ দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করলেও তারা দায়ী করছে ঠিকাদার ও তাদের দালালদের। তাদের দাবি, নিজেদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুর্নীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

দুর্নীতি ঠেকাতে সংস্থাটির

অসহায়ত্বের চিত্র ফুটে উঠেছে চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিনের কথায়ও। তিনি সমকালকে জানিয়েছেন,

তারা চেষ্টা করছেন; একমাত্র গ্রাহক পর্যায়ে সচেতনতার মাধ্যমেই দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব। ৩ মে ঠিকাদারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি বলেছিলেন, ঠিকাদার ও তাদের লোকজন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ঠিকাদারদের অনৈতিক কর্মকা ের কারণে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

২০১৫ সালে বিদ্যুৎ বিভাগ পরিচালিত এক জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, পল্লী বিদ্যুতের সেবা পেতে ৪০ শতাংশ গ্রাহককে ঘুষ দিতে হয়। একই বছর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) মাঠপর্যায়ের তদন্তেও পল্লী বিদ্যুতে পদে পদে হয়রানি ও ঘুষ-দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, গত দুই বছরেও অবস্থার খুব বেশি উন্নতি হয়নি। ক্ষেত্র বিশেষে আরও বেড়েছে। গ্রাহকদের হাজারও অভিযোগ প্রতিনিয়ত পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে জমা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগেও আসছে নানা অভিযোগ। আরইবির দুর্নীতি নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতেও পল্লী বিদ্যুতের হয়রানি ও ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি বারবার উঠে আসছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সুবিধা পেঁৗছে দেওয়ার যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তা বাস্তবায়নের অন্যতম কাণ্ডারি আরইবি। এ জন্য সংস্থাটি হাজার হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু জনগণ সেবা পেতে পদে পদে যেভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে তাতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

এর মধ্যে রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলে বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণে এক হাজার ৩৮৫ কোটি টাকার প্রকল্প, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বিতরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণে এক হাজার ৬৮৭ কোটি টাকার প্রকল্প, ঢাকা বিভাগে পল্লী বিদ্যুতের সেবা বাড়াতে এক হাজার ৬৮৭ কোটি টাকার প্রকল্প উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বিদ্যমান বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে ৫ হাজার ১৯৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। ১৮ লাখ নতুন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে ২০১২ সাল থেকে আরইবি আরও একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া ৭০ হাজার পুরনো ও ওভারলোড ট্রান্সফরমার পরিবর্তনের জন্য আরইবি ৭৯৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

টাকা ছাড়া হয় না কাজ :সংযোগ পেতে টাকা দেওয়া প্রসঙ্গে রাউতনগর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আকবর আলী বলেন, 'অনেক কষ্টে সাত হাজার টাকা জোগাড় করিছু, ওইলা টাকা হুমায়ুন আর হালিমের হাতত দিছু। এক বছর চলে গেল, ওমরা এলাও হামার বাড়িত কারেন্ট দেয়নি। কথা কহিলে আইজ হবে কাইল হবে কহে দিন পার করিছে।'

হুমায়ুন কবির বলেন, সংযোগ দিতে খুঁটি-মিটার স্থাপন, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের থাকা-খাওয়ার খরচ বাবদ স্থানীয়দের কাছ থেকে তোলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দরা সবাই ব্যস্ত তাই তারা টাকা তুলেছেন বলে জানান আবদুল হালিম। তিনি বলেন, উত্তোলন করা টাকা রানীশংকৈল আরইবির পরিচালক নাসিরুল ইসলামের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পল্লী বিদ্যুতের ওই কর্মকর্তার দাবি, টাকা তোলার বিষয়ে তিনি কিছুুই জানেন না। ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক মো. ইনছের আলী বলেন, নতুন সংযোগের জন্য অফেরতযোগ্য আবেদন ফি ১০০ টাকা। এর বাইরে সদস্য ফি ৫০ টাকা ও মিটারের জামানত হিসেবে ৬০০ টাকা নেওয়া হয়। তিনি বলেন, রাউতনগর গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের জিয়াউর রহমান নামের এক গ্রাহক জানান, নতুন মিটারের জন্য আবেদন করার পর তার কাছে সাত হাজার টাকা দাবি করা হয়েছে। একই এলাকার অপর এক গ্রাহক জানান, তাদের এলাকায় পাঁচ কেভির ট্রান্সফরমার রয়েছে। গ্রাহক বেড়ে যাওয়ায় ১৫ কেভির ট্রান্সফরমার দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। এ জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একজন কর্মী তাদের কাছে গ্রাহকপ্রতি তিন হাজার টাকা দাবি করেছে।

যশোরের কেশবপুরে প্রায় ১৫ হাজার গ্রাহকের জন্য ২৭৫ কিলোমিটার বিতরণ লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। এ কাজে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সাগরদাঁড়ির বাসিন্দা জিএম মাহমুদুল হাসান জানান, লাইন স্থাপন কাজে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রামবাসীর টাকায় করা হয়েছে। তারপরও ঠিকাদার নিয়োজিত দালালরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে নানা অজুহাতে গ্রাহকপ্রতি তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা আদায় করছে। নকশা অনুযায়ী খুঁটি না বসিয়ে এদিক-সেদিক বসিয়ে কেশবপুরের মধ্যকুল, কোমরপোল, চাঁদড়া, শেখপুরা, সাগরদাঁড়িসহ কয়েকটি এলাকার জমির মালিকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে।

কেশবপুর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল বলেন, মধ্যকুল গ্রামের সোয়া দুই কিলোমিটার লাইনের কাজে একটি অংশের লোকজন যোগাযোগ করায় তিন মাস আগে খুঁটি বসেছে। অথচ পৌর অংশে এখনও খুঁটি আসেনি। বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়ার কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, সংযোগ পেতে তাদের মিটারপ্রতি তিন থেকে চার হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। আরইবির যশোর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদার বলেন, ঠিকাদারদের কোনো ধরনের খরচ গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়ার নিয়ম নেই।

চুয়াডাঙ্গা, বগুড়া, নীলফামারী, লক্ষ্মীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাট, ফেনী, বাগেরহাট, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেও একই ধরনের চিত্র পাওয়া গেছে।

সংযোগেও রাজনৈতিক পছন্দ-অপছন্দ :বর্তমানে পল্লী বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের চাহিদাপত্রকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ-চেঙ্গুটিয়া এলাকায় ১১৫টি বাড়িতে মিটার স্থাপনসহ বিদ্যুতের তার স্থাপন করা হয়। যশোর-৪ (অভয়নগর-বাঘারপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায় ওই বিদ্যুৎ লাইনের উদ্বোধনের পর অধিকাংশ বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হলেও ১০ থেকে ১২টি গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎ পাননি। স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলামের অভিযোগ, সংসদ সদস্যের অপছন্দের লোক হওয়ায় তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ শুরুতে দেওয়া হয়নি। পরে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করা হলে বাধ্য হয়ে তাদের সংযোগ দেয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে কথা বলতে সংসদ সদস্য রণজিৎ কুমার রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। দেশের অন্য অঞ্চলেও এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দুদকের শুনানিতে বিস্তর অভিযোগ :গত তিন বছর থেকে দুদক সরকারের কয়েকটি সেবা খাত নিয়ে মাঠপর্যায়ে গণশুনানির আয়োজন করছে। ভূমি, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন সেবা খাত নিয়ে অনুষ্ঠিত এসব শুনানিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে গ্রাহকের অভিযোগ সরাসরি শোনা হয়। ৬ এপ্রিল মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে অনুষ্ঠিত শুনানিতে জামির্ত্তা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবদুস কুদ্দুস অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পাঁচ বছর আগে উপজেলার কাঞ্চননগর গ্রামের ৫৪ জন গ্রাহকের কাছ থেকে নুরুল ইসলাম নামের এক দালাল ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নেন। তবে ওই দালাল মিটারপ্রতি আরও তিন হাজার টাকা দাবি করেন। ওই টাকা না দেওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হচ্ছে না। অন্যান্য স্থানের শুনানিতেও পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা দুর্নীতির নানা অভিযোগ করেন।

সংসদীয় কমিটিতেও আলোচনা :গত বছরের ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক বলেছিলেন, বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের কাজ পাওয়া ঠিকাদার খুঁটি স্থাপন ও বাসাবাড়িতে ওয়্যারিং করানোর জন্য টাকা নিচ্ছে। পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, তার এলাকাতেও মধ্যস্বত্বভোগীরা নানা অজুহাতে টাকা তুলছে। আরেক সংসদ সদস্য বেগম নাসিমা ফেরদৌসী অভিযোগ করেন, বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর জন্যও টাকা নেয় ঠিকাদাররা। বৈঠকে উপস্থিত আইবির চেয়ারম্যানের কাছে এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এভাবে টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। পরে সংসদীয় কমিটি দুর্নীতি ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করে।

কর্তৃপক্ষের বক্তব্য :আরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন সমকালকে বলেন, সংস্থার কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী, ঠিকাদার, পরামর্শকের সঙ্গে স্থানীয় দালালরা এসব কাজে জড়িত। আমরা সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলেই তদন্ত হয়; প্রমাণিত হলে শাস্তিও হয়। ইতিমধ্যে অনেকেই চাকরিচ্যুত হয়েছে। তিনি বলেন, দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীরা প্রভাবশালীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় পায়। তাদের বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা শুধু জনগণকে সচেতন করতে পারি। আরইবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, নানাভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। মসজিদে মসজিদে গিয়েও ঘুষ না দিতে জনগণকে অনুরোধ করা হচ্ছে। তারপরও সাধারণ মানুষ কেন ঘুষ দিচ্ছে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে, টাকা দিলে দ্রুত সংযোগ মিলবে। তবে সত্য হলো- টাকা দিলেই আগে সংযোগ পাওয়া যাবে না। জনগণকে ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা কাজ করছি, সময়মতো সবাই সংযোগ পাবে।

http://bangla.samakal.net/2017/05/23/294941#sthash.KLmDcPTH.dpuf