২০ মে ২০১৭, শনিবার, ১০:১৩

পাবনায় ভূমিমন্ত্রীর ছেলে গ্রেফতার

পাবনায় হামলা ও ভাঙচুরের এক মামলায় ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর ছেলে শিরহান শরীফ তমালসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিডিনিউজ।
ঈশ্বরদী থানার ওসি আবদুল হাই তালুকদার জানান, রাতে মামলা হওয়ার পর শুক্রবার ভোরে ঈশ্বরদী শেরশাহ রোডের বাড়ি থেকে তমালকে গ্রেফতার করা হয়।
গত বহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের বাড়িতে হামলার ওই ঘটনার পর রাতে তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আতিয়ার বিশ্বাস ঈশ্বরদী থানায় ভূমিমন্ত্রীর ছেলেকে প্রধান আসামি করে ২৪ জনের নামে এ মামলা করেন।
ওই হামলার ঘটনার সময় ঈশ্বরদী পৌরসভার বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং পৌরমেয়র আবুল কালাম আজাদের একটি খাবারের দোকানেও ভাঙচুর চালানো হয়।
ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের পৌরমেয়র আজাদের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। আর মেয়র আজাদ মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর জামাতা।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার আধিপত্য নিয়ে তমালের সাথে আজাদের বিরোধ দীর্ঘ দিনের। বিরোধ রয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যেও।
ভূমিমন্ত্রীর সমর্থক হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা রাজিব সরকারের অনুসারী কয়েকজন বৃহস্পতিবার একটি মামলায় হাজিরা দিতে পাবনা আদালতে গেলে সেখানে জুবায়েরের সমর্থকদের সাথে মারামারি হয়। আহত হন আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবলীগ কর্মী।
এর জেরে যুবলীগ কর্মীদের একটি দল ঈশ্বরদী পৌর সদরের বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং ছাত্রলীগ নেতা জুবায়েরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
এ সময় বাধা দিতে গিয়ে মারধরের শিকার হন জুবায়েরের মা হাজেরা বেগম। তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
যুবলীগ নেতা রাজিবের নেতৃত্বে ওই হামলা হয়েছিল বলে বাদিপ অভিযোগ করলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে রাজিব বলেন, ‘আমাদের লোকজন পাবনায় কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে জুবায়ের বিশ্বাসের লোকজন হামলা করলে কিছু ছেলে এ কাজ করে। আমি এ কাজের সাথে জড়িত নই।’
জুবায়েরের সাথে পুরনো বিরোধের কারণে এ ঘটনায় তাকে জড়ানোর অপচেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য করেন রাজিব।
হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরমেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারছি না। আমার প্রতিপরাই এ কাজ করছে। আমার ব্যক্তিগত কার্যালয় ও একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।’
তবে মামলা ও ছেলের গ্রেফতারের বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান ডিলু বা তার পরিবারের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর বলেন, ‘মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে শিরহান শরীফ তমালসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 

http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/221355