১৪ মে ২০১৭, রবিবার, ৯:০৮

দুর্নীতি-লুটপাট বৃদ্ধির আশঙ্কা

ব্যাংক কোম্পানি আইন বাস্তবায়ন হলে ঝুঁকিতে পড়বে গোটা অর্থনীতি। এটি ব্যাংকিং খাতের জন্য অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংস্কারে পরিচালকদের মেয়াদ ও সংখ্যা বাড়ানো সুশাসনের পরিপন্থী বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এতে করে পারিবারিক মালিকায় চলে যাবে গোটা ব্যাংকিং খাত। সুশাসনের অভাবে ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি আর লুটপাট চলছে। এজন্য ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কথা থাকলেও তা না করে সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশ অমান্য করে কেন এই আইন পরিবর্তনে উদ্যত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।
সাবেক ডেপুটি গবর্নর খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদের মতে, এই পরিবর্তন গুটি কয়েক পরিবারের হাতে ব্যাংকিং খাত জিম্মি করে ফেলার শামিল। ব্যাংকিং খাতের মূলধনের মাত্র ২ দশমিক ৫০ শতাংশ বিনিয়োগ এসব পরিচালকদের, অথচ গোটা ব্যাংকিং খাতের লুটপাটের জন্য তারাই দায়ী। একটি পরিবার থেকে ৪ জন পরিচালক মানে হলো এটি একটি পারিবারিক ব্যাংক। এটি আর সরকারি কিংবা বেসরকারি থাকবে না। এই আইনটি ছিল পকিস্তান আমলে। শেখ হাসিনার সরকার এই কালো আইন কোনভাবেই করতে পারেনা। তিনি মনে করেন মন্ত্রীসভা কোনভাবে এটি ছাড় দিতে পারেনা। এটি মন্ত্রীসভায় কলব্যাক করা উচিৎ।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, পরিচালকের সংখ্যা দুইজনেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। তাছাড়া একটানা ৯ বছর ওই পদে কারও থাকা নজিরবিহীন। এর ফলে গোটা কাঠামোটাই তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। বোর্ডের বাকিরা নিষ্পৃহ ও নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বে। তিনি বলেন, বর্তমানে ৪০টি ব্যাংকে দেখা যাচ্ছে, মালিকদের টাকা ২ দশমিক ৫ শতাংশের সামান্য বেশি। সাধারণত বেসরকারি ব্যাংকে জনগণের টাকা থাকে গড়ে ৯০ শতাংশের ওপরে। এ জন্যই পরিচালনা পর্ষদে অংশীদারদের প্রতিনিধিত্ব ব্যাপকভিত্তিক করতে হয়। আমরা ব্রিটিশ ব্যাংকিং সিস্টেমে অনুসরণ করি, যেখানে বহুপক্ষীয় (ব্রড বেজড) বোর্ড থাকাই নিয়ম। এক পরিবার থেকে চারজন যদি ৯ বছর করে থাকেন, তাহলে বোর্ড সম্পূর্ণ পরিবারকেন্দ্রিক হয়ে পড়বে। জনগণের কষ্টের টাকার সঞ্চয়ের সঠিক বিনিয়োগের সুযোগও কমে যাবে। এতে ব্যাংকের নাজুকতা বাড়বে। ব্যাংকের মালিকরা বেশি হারে পরিচালনা পর্ষদে থাকলে ব্যাংকের ভালো হবে, বিচক্ষণ বিনিয়োগ হবে; এমন দাবি যুক্তিযুক্তও নয়, বাস্তববাদীও নয়। গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেল, সর্বময় ক্ষমতাধররা বেশ কয়েকটি ব্যাংককে শোচনীয় অবস্থায় নিয়ে গেছেন। এ ধরনের সিদ্ধান্ত অসুস্থ রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ। রাজনীতি যে দুর্বৃত্তদের অর্থনীতি দ্বারা প্রভাবিত, এটাই তার প্রমাণ।
তিনি বলেন, সারাদেশের মানুষ তাদের সঞ্চিত অর্থ, আমানত হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখে। আর ব্যাংকে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলে পুরো দেশের মানুষের সম্পদ কয়েকটি পরিবার মিলে লুটেপুটে খাবে। এর মাধ্যমে তারা ফুলে-ফেঁপে উঠে সমাজ নিয়ন্ত্রণ করবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে আমরা ২২ পরিবারের কথা জানি। এই ২২টি পরিবার দ্বারা ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রিত হতো। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২২টির জায়গায় হয়তো ৫০টি পরিবার হবে। এরাই পুরো অর্থ ব্যবস্থা জিম্মি করে সমাজ নিয়ন্ত্রণ করবে।
আর সাবেক গবর্নর ড. ফরাসউদ্দিন মনে করেন, ব্যাংক খাতে সুশাসন বজায় রাখতে হলে, পরিচালকদের সংখ্যা পরিবর্তন নয়, প্রয়োজন ব্যাংকিং কমিশন। ব্যাংকিং কমিশন না থাকার কারণেই দুনীতি হচ্ছে। এটি না করে কেন সরকার এই আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিলো তা আমার বুঝে আসেনা।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক খাতের আইনে সরকারকে মাঝে মাঝে সংস্কার করতে হয়। সেক্ষেত্রে দুইটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। একটি হলো পুঁজি আহরণ যাতে ঠিকমতো হয়। দ্বিতীয়টি হলো অর্থনৈতিক ক্ষমতা যেন পুঞ্জিভূত না হয়ে যায়। সরকার ব্যাংক কোম্পানি আইনে যে সংস্কার করেছে তার মধ্যে পরিচালকদের সংখ্যার বিষয়টি অন্যভাবেও করতে পারতো। তা হলো- চলমান বোর্ডের অনধিক ২৫ শতাংশ একই পরিবারের রাখা যাবে। স্বতন্ত্র পরিচালক থাকবে এই হিসাবের বাইরে। সেক্ষেত্রে শেয়ারধারী পরিচালকের সংখ্যা যদি ১২ জন হয় তবে এক পরিবারের থাকতে পারতো তিনজন। চারজন রাখতে হলে বোর্ড হতো ১৬ জনের। তাহলে বোর্ডে পরিবারের সংখ্যা যতই হোক তাতে ভারসাম্য হতো। এছাড়া পরিচালকদের মেয়াদের বিষয়ে আমি সরকারকে আবারও বিবেচনা করতে বলব। এটি ছয় বছরই ঠিক আছে। ৯ বছর বেশি হয়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে দুই মেয়াদের বিরতির সময় কমিয়ে ১ কিংবা ২ বছর করা যেতে পারে। যা বর্তমানে তিন বছর রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তি থাকার পরও গত সোমবার মন্ত্রীসভা বেঠকে পাশ হয় সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন ২০১৭ এর খসড়া। এতে ব্যাংক পরিচালকদের মেয়াদ ছয় বছর থেকে বাড়িয়ে পরপর তিন মেয়াদে নয় বছর করা হয়। আর একই পরিবার থেকে দুই জন পরিচালক থেকে সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে চারজনে।
ব্যাংক খাতের বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর, নীতিগতভাবে সম্মত নয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও, আইনের অপব্যবহার করে দুর্নীতি ও ঋণ নিয়ে খেলাপি হওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে। তবুও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালকদের সুযোগ বাড়াতে ব্যাংক কোম্পানি আইনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। একই পরিবার থেকে চারজন ও তিন মেয়াদে ৯ বছর পদ ধরে রাখার মতো নজিরবিহীন সুযোগ দিচ্ছে সরকার। সরকারি এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করছেন অর্থনীতিবিদ ও অভিজ্ঞ ব্যাংকাররা। তাদের মতে, এটি বাস্তবায়ন হলে কাগজে-কলমে পাবলিক লিমিডেট হলেও বাস্তবে বেসরকারি অনেক ব্যাংকই হয়ে পড়বে প্রাইভেট ব্যাংক। কেননা ব্যাংকে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। বাড়বে কুঋণ। বিশৃঙ্খল হবে পুরো ব্যাংকিং খাত। সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এটি নতুন ব্যাংক দেয়ার মতোই আরও একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলেও মনে করছেন তারা। মূলত কিছু মানুষকে সুবিধা দিতেই সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আবারও চিন্তা করার আহ্বান জানিয়েছেন এই বিশ্লেষকরা। এছাড়া আইনের সংস্কারের ধরন বদলানোর কথাও বলছেন অনেকে।
জানা যায়, গত সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ সংশোধিত ২০১৭'র খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। সংশোধিত আইনে কোন ব্যাংকে একই পরিবারের পরিচালক সংখ্যা ২ জন থেকে বাড়িয়ে ৪ জন করা হয়েছে। এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের পর বিল আকারে জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে। সেখানে পাস হলেই আইনটি কার্যকর হবে। ১৯৯১ সালে ব্যাংক কোম্পানি আইন পাস হওয়ার পর থেকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে পরিচালকদের মেয়াদ সম্পর্কিত ধারাটি পাঁচবার সংশোধন করা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে ধারাটি সংশোধন করা হয়। বিদ্যমান ব্যাংক কোম্পানি আইনে ব্যাংকের পর্ষদে পরিচালকের সংখ্যা ৩ জন স্বতন্ত্র পরিচালকসহ মোট ২০ জন থাকতে পারবে। আইনটিতে এ উপধারার ব্যাখ্যা দেয়া আছে এভাবে, পরিবারের সদস্য হিসেবে স্বামী বা স্ত্রী, পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই ও বোন এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল সবাই অন্তর্ভুক্ত হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এবারের সংশোধনের বিষয়ে ড. ওয়াহিদউদ্দীন মাহমুদের নেতৃত্বে যে ব্যাংকিং কমিশন হয়েছিল, তাতে এক পরিবার থেকে সর্বোচ্চ একজন সদস্য পরিচালনা বোর্ডে রাখার সুপারিশ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সরকার সংখ্যাটা দুজন করেছিল। কিন্তু সর্বশেষ তা চারজন করে খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়। এছাড়া এই সংশোধনীর সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত নয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারাও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, আইনের সংশোধনীর বিষয়ে প্রথম সুপারিশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ দুজন করার কথা বলা হয়েছিল। এছাড়া বিপক্ষে ছিল মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়েও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন্ত্রণালয়ের সংশোধনী বৈঠকগুলোতে যোগ দিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সুপারিশের কোন পরিবর্তন করা হয়নি। সংশোধনীর খসড়া অনুমোদনের পর নীতিটির সমালোচনা করেছেন দেশের ব্যাংক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরাও।
জানা গেছে, ব্যাংকিং খাতের অসাধু পরিচালকদের লুটপাটের বিষয়টি অনেকটা প্রতিষ্ঠিত। এদের অনেকেই কোন নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘদিন থেকে গ্রাহকের অর্থ লুটপাট করছেন। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকও। কিন্তু পরিচালকদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে শক্ত কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেদিক থেকে কিছু লোকের কাছে দেশের ব্যাংকিং খাত ছিল জিম্মি। বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক, মালিকদের ইশারায় ঋণ দেয়া হয়। আবার ঋণ দেয়া বন্ধ করা হয়। যাকে পছন্দ ঋণ দেন। আবার যাকে অপছন্দ তাকে ঋণ দেয়া থেকে বিরত থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজের পছন্দের লোককে ঋণ দেয়া হয়। একই ব্যক্তি নামে-বেনামে বারবার ঋণ নিচ্ছেন। এসব ঋণের বেশিরভাগই আর ফেরত আসছে না। হয়ে যাচ্ছে খেলাপি। এরপর অবলোপন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট ঋণ বিতরণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৩০ হাজার ১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন ব্যাংক মালিকরা, যা বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ১৫ শতাংশ। তিনটি ক্যাটাগরিতে তারা ঋণ নিয়েছেন। এসব ক্যাটাগরি হলো- নিজ ব্যাংক থেকে ঋণ, পরিচালক নিজে গ্যারান্টার হয়ে ঋণ বিতরণ এবং সমঝোতার মাধ্যমে এক ব্যাংকের পরিচালকের অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ। অর্থাৎ বিতরণকৃত ঋণ যেকোনভাবে হোক পরিচালকদের নিয়ন্ত্রণেই থাকছে। এ ছকেই তারা লুটপাট করে থাকেন। সংশোধিত আইন কার্যকর হলে এ ধরনের ঘটনা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে।
এবিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এ সিদ্ধান্তের মানে হলো, কতিপয় ব্যবসায়ীর চাপের কাছে সরকারের নতি স্বীকার। এর মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংকিং খাতে পরিবারতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হলো। তিনি বলেন, এ ধরনের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হলো তা আমার বুঝে আসে না। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্যাংকের খেলাপি আরও বাড়বে। পরিচালকরা আরও লুটপাট করবেন। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ফলে সিদ্ধান্তটি কারও কাম্য ছিল না। তিনি বলেন, শুনেছি বাংলাদেশ ব্যাংকও এর বিরোধিতা করেছিল। এরপরও কার স্বার্থে এ আইন সংশোধন করা হচ্ছে, তা মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। এখন ব্যাংকিং খাতের ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা দেখার জন্য অপেক্ষার পালা।
এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি দেশ থেকে উদ্বেগজনক হারে অর্থ পাচারের তথ্য উদ্ঘাটিত হওয়ার পটভূমিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শ উপেক্ষা করে ব্যক্তি খাতের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ প্রদানে ব্যাংকিং বিভাগের অতি আগ্রহে টিআইবি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
সরকার কোম্পানি আইন সংশোধন করে বেসরকারি ব্যাংকিং খাতে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগের পটভূমিতে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের সম্পূর্ণভাবে অনিয়ন্ত্রিত, জবাবদিহিহীন ও অভিভাবকশূন্য হবার ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন ব্যাংকিং খাতে ক্ষমতার অপব্যবহার ও যোগসাজশের মাধ্যমে অনিয়ন্ত্রিত ঋণ খেলাপ, জালিয়াতি ও দুর্নীতির কারণে জনগণের আমানতের অর্থ ব্যাপক ঝুঁকির সম্মুখীন। অন্যদিকে এ খাতের সুশাসনের অবক্ষয়ের জন্য দায়ী বিশেষ মহলের নিকট সরকারের দৃশ্যমান জিম্মি অবস্থা অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত।

http://www.dailysangram.com/post/283647-