৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৩:৫০

জানুয়ারি মাসে একদিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী

শীত মৌসুম এলেই রাজধানীর বায়ু থাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একদিনও বিশুদ্ধ স্বাস্থ্যকর নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানী ঢাকার মানুষ। পুরো মাসজুড়েই বায়ু দূষণের শীর্ষ দশে ছিল ঢাকা। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার তথ্য, জানুয়ারির মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ৭ বছরের মধ্যে এই বছর ছিল সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহর ঢাকা। ঢাকায় বায়ুমানের অবনতির মাশুল দিতে হচ্ছে এই শহরে বসবাসকারীদের। অস্বাস্থ্যকর বায়ু নিশ্বাসের সঙ্গে যাওয়ায় রোগাক্রান্ত হচ্ছে শহরবাসী। বাড়ছে শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও প্রবীণরা ভুগছেন বেশি। বায়ুদূষণে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমেছে ৭ বছর। আর রাজধানীবাসীর গড় আয়ু কমছে ৮ বছর করে। বছরের অধিকাংশ সময় অস্বাস্থ্যকর থাকে ঢাকার বাতাস। তবে ২০২৩ সাল ছিল আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর বছর। একিউএয়ারের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে একদিনের জন্যও অস্বাস্থ্যকর অবস্থা থেকে নামেনি ঢাকার বায়ু। বরং বেশ কয়েকদিনই ঢাকার বায়ুমান ছিল চরম অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিষাক্ত প্লাস্টিকের কণা। একিউএয়ারের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকার বায়ুমান ১৫৭ একিউআই সূচকে পৌঁছালেও ১৮ থেকে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৬ দিন এই মান ছিল ২০০-এর কাছাকাছি। আবহাওয়ার পরিবর্তনসহ মানবসৃষ্ট নানা কারণে দিন দিন ঢাকায় নির্মল বাতাস পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এদিকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে টানা ২৫ তারিখ পর্যন্ত একদিনও বিশুদ্ধ বাতাস পায়নি রাজধানীবাসী। ঢাকার বাতাস এতোটাই দূষণের শিকার যে গত ছয় বছরে মাত্র ৩৮ দিন বিশুদ্ধ বাতাস মিলেছে। সে হিসাবে ইট-পাথরের এই নগরের মানুষ বছরে গড়ে ছয়দিন বিশুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নেয়ার সুযোগ পেয়েছে। বেসরকারি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণায় এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর বায়ুর কারণে সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের ক্যানসারের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শীত মৌসুমে বায়ুদূষণ বেশি থাকায় হাসপাতালে বাড়ছে এসব রোগী। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি হলে বায়ু চলাচলের ফ্লো ঠিক থাকে না, তখন বাতাসে দূষিত পদার্থের ঘনত্ব বাড়ে। মানুষ যখন শ্বাসের মাধ্যমে দূষিত পদার্থ নিচ্ছে তখন তাদের ফুসফুস বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতকালে বাতাসে দূষিত পদার্থ বেশি থাকায় দূষণজনিত নানান সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দূষণের ফলে দীর্ঘমেয়াদি রোগের সম্ভাবনা থাকে। প্রথম দিকে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া হলেও একটা সময় রোগীদের ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার ও কিডনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন বিশ্ববিদ্যালয় এবং টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ঢাকা শহরের ১৩টি জায়গা থেকে নমুনা নিয়েছি। সেখানে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বিষাক্ত প্লাস্টিক কণার অস্তিত্ব পেয়েছি। প্লাস্টিক পোড়ানোসহ বিভিন্ন কাপড়েও প্লাটিকের অস্তিত্ব আছে। সেগুলো থেকেই বায়ুতে এই প্লাস্টিক কণা মিশছে। এগুলো মানবদেহের সঙ্গে মেশে না।

বিশ্বব্যাংকের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে জানাযায়, ২০১৮ সালে দেশে বায়ুদূষণজনিত রোগে মারা যায় প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে শুধু ঢাকাতেই ১০ হাজার মানুষ মারা গেছে। দ্য ইকনোমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য বলছে, পৃথিবীর বসবাস অযোগ্য শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। রাজধানী শহরগুলোর মধ্যেও দূষণে ঢাকা দ্বিতীয়। বায়ুদূষণের দিক দিয়ে ২০২০ ও ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে শীর্ষ অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। বেসরকারি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণায় ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ছয় বছরের জানুয়ারি মাসের বায়ুমান সূচকের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে গড় বায়ুদূষণের পরিমাণ বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরের চেয়ে ২০২১ সালে গড় বায়ুদূষণ বেড়েছে ৭ শতাংশ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের টানা ২৫ দিনে ঢাকার মানুষ একদিনের জন্যও বিশুদ্ধ বায়ুতে শ্বাস নেয়ার সুযোগ পায়নি।

গবেষণায় বলা হয়েছে, গত ছয় বছরের মধ্যে ঢাকার মানুষ মাত্র ২ শতাংশ বা ৩৮ দিন বিশুদ্ধ বায়ু গ্রহণ করেছে। এ সময়ের মধ্যে ২৬ শতাংশ বা ৫১০ দিন চলনসই মানের বায়ু, ২৯ শতাংশ বা ৫৭৭ দিন সংবেদনশীল বায়ু, ২২ শতাংশ বা ৪৪৩ দিন অস্বাস্থ্যকর, ১৯ শতাংশ বা ৩৮৫ দিন খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ২ শতাংশ বা ৩৭ দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুতে শ্বাস নিয়েছে ঢাকাবাসী। ছয় বছরের গবেষণার তথ্য বলছে, ঢাকা শহরে বায়ুর মান সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকে রাতে। বিকেল ৪টার পর থেকে বায়ুর মান খারাপ হতে শুরু করে। রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ খারাপ অবস্থায় পৌঁছে। গত ছয় বছরে রাত ১টার সময় বায়ুমান সূচক ছিল ১৬২।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়েছে। ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়। দূষণের ফলে দীর্ঘমেয়াদি রোগের সম্ভাবনা থাকে। প্রথম দিকে সর্দি-কাশি, নিউমোনিয়া হলেও একটা সময় রোগীদের ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার ও কিডনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের করা গবেষণায় বলা হয়, বায়ুদূষণে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু কমেছে ৭ বছর। আর রাজধানীবাসীর (ঢাকাবাসীর) গড় আয়ু কমছে ৮ বছর করে। বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বের কোনো দেশের অধিবাসীদের গড় আয়ু কী পরিমাণে কমছে, সেই হিসাব ধরে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছিল।

বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউ-এয়ার) সূচক অনুযায়ী, বছরের অধিকাংশ সময় অস্বাস্থ্যকর থাকে ঢাকার বাতাস। তবে ২০২৩ সাল ছিল আট বছরের মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর বছর। বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বায়ুমান সূচকে ঢাকার গড় স্কোর ছিল ১৭১, যা আগের বছর ছিল ১৬৩। নতুন বছর ২০২৪ এর জানুয়ারির ১০ দিন বায়ুদূষণের শীর্ষে ছিল রাজধানী ঢাকা। রাজধানীর শ্যামলীর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালে দেখা যায়, হাসপাতালের আউটডোরে রোগীদের ভিড়। কেউ হাঁপানি, কেউ শ্বাসকষ্ট কেউবা ফুসফুস সংক্রান্ত জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। হাসপাতালের অ্যাজমা ও সিওপিডি সেন্টারের সামনে দেখা যায় রোগীদের ভিড়। সবাই ইনহেলার দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। অ্যাজমা সেন্টারের চিকিৎসকের সহকারীরা জানান, অধিকাংশ রোগীই আসছেন শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে। দুই বছর বয়সী বাচ্চাকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রীতি আক্তার বলেন, এক মাস ধরে মেয়েটার সর্দি-কাশি। পাশাপাশি শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। ডাক্তার বুকের এক্স-রে দিয়েছেন। এছাড়া বাসার বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখতে বলেছেন।

শীতের ঠান্ডার সঙ্গে বায়ুদূষণের কারণে অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে-এমন তথ্য দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শ্যামলীর টিবি হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাসে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ৪২২ জন। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা ছিল এক হাজার ৯৭ জন। একই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসে আউটডোরে রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ৫৮৭ জনে। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৪৮ জন ছিল শিশু। একই সময়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হন এক হাজার ৭৭৭ রোগী, যা বছরের অন্য সময়ের চেয়ে তুলনামূলক অনেক বেশি।

টিবি হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার শিল্পী গণমাধ্যমকে বলেন, শীত মৌসুমে আমাদের এখানে রোগী বাড়ে। গরমকালের তুলনায় সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রোগীর চাপ বেশি থাকে। শীতের শুরু এবং মাঝামাঝি সময়ে অউটডোরে কোনো কোনো দিন প্রায় ৭০০ জন পর্যন্ত রোগী আসেন। বায়ুদূষণের প্রভাব নিয়ে তিনি আরও বলেন, দূষণের ফলে দীর্ঘমেয়াদি রোগ হয়। বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বৃদ্ধরা। শীতকাল এলেই বাচ্চাদের অনেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। বয়স্করাও অনেকে মারা যান। এখন এলার্জি থেকে ফুসফুস আক্রান্ত হচ্ছে। ফুসফুসের কাজ অক্সিজেন নিয়ে শরীরে প্রবাহিত করা। এটা যদি ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে বাতাস (অক্সিজেন) শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রবাহিত হতে পারে না। ফুসফুস দুর্বল হয়ে পড়লে লিভার, কিডনি, মস্তিষ্ক, হার্টও আক্রান্ত হয়। বর্তমানে ধুলাবালির কারণে বাচ্চাদের মস্তিষ্কে সমস্যা হচ্ছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে মানসিক ও শারীরিক বিকাশ। ফলে পড়াশোনা বিঘ্ন হচ্ছে, ভালোভাবে ঘুমাতে পারে না।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির দৈনিক সংগ্রামকে বলেন, ঢাকা শহরে বায়ুদূষণ বেশি সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের জন্য কী পরিমাণ ক্ষতিকর- সেটা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। শহরে কলকারখানার ধোঁয়া তো রয়েছে। একই সঙ্গে শীতকালে ঢাকা শহরে বিভিন্ন প্রকল্পের নির্মাণকাজ বাড়ে। রাস্তা কাটাকাটি করা হয়। ফলে দূষণ আরও বেশি হয়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিশু, বৃদ্ধ ও নারীরা। একদিকে মানুষ অসুস্থ হচ্ছে, তাদের অর্থের অপচয় হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, মারাও যাচ্ছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন-বাপা এবং বেসরকারি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুম-লীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) গবেষণার তথ্য, ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ১৫টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপ হিসেবে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরে প্রতিদিন দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর পানি ছিটানো, নির্মাণ স্থান ঘেরাও দিয়ে রাখা ও নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ঢেকে রাখা, রাস্তার ধূলা সংগ্রহে সাকশন ট্রাকের ব্যবহার করা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে উন্নত প্রযুক্তির বিকল্প ইটের প্রচলন বাড়ানো, ব্যক্তিগত ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে নম্বর প্লেট অনুযায়ী জোড়-বিজোড় পদ্ধতিতে গাড়ি চলার প্রচলন করা। মধ্যমেয়াদি পদক্ষেপ হিসাবে প্রচুর গাছ লাগানো ও ছাদ বাগান উৎসাহিত করা, ঢাকার আশপাশে জলাধার সংরক্ষণ, আলাদা সাইকেল লেন, ইটের বিকল্প স্যান্ড বক্ল ব্যবহার, সিটি গভর্নেন্স প্রচলনের মাধমে সেবা সংস্থার উন্নয়ন কর্মকা- স্বল্প সময়ে সম্পন্ন করা ইত্যাদি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

https://www.dailysangram.info/post/548318