২৬ জানুয়ারি ২০২৪, শুক্রবার, ৪:১০

ভোট ১০ শতাংশও পড়েছে কিনা সন্দেহ: ড. আসিফ নজরুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল একাধারে একজন কলাম লেখক, ঔপন্যাসিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের আইন বিভাগ থেকে ১৯৮৬ সালে স্নাতক এবং ১৯৮৭ সালে স্লাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ১৯৯৯ সালে সোয়াস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর জার্মানির বন শহরের এনভায়রনমেন্টাল ল’ সেন্টার থেকে পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন করেন। শিক্ষকতা পেশায় যোগদানের আগে তিনি কিছুকাল সাপ্তাহিক বিচিত্রায় কাজ করেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খালিদ বিন আনিস

যুগান্তর : এবারের নির্বাচনকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

ড. আসিফ নজরুল : এ নির্বাচনটা হচ্ছে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিকল্পনা মতো একটা সাজানো নির্বাচন। এতে সত্যিকার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল না, জনগণের পক্ষে কোনো বিকল্প বাছার সুযোগ ছিল না। এ রকম একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য আমার ধারণা, সরকার পরিকল্পনা মোতাবেকই বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে দুটি পদক্ষেপ নিয়েছে। একটা হচ্ছে অবাধে গ্রেফতার, মামলা প্রদান এবং গণহারে সাজা। আর সেকেন্ড হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরের পরপরই রাজনীতির মাঠ থেকে বিএনপিকে বিতাড়িত করা। এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল, যাতে বিএনপি চাইলেও আর নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে। কারণ নির্বাচনে অংশ নিতে গেলে দেখা যেত তাদের অধিকাংশ কর্মী হয় জেলে, অথবা সাজা পেয়েছেন। আর সাজা পাওয়ার কারণে হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের ফলে তারা নির্বাচনে অংশই নিতে পারত না। ফলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলেও পারত না। একটা একতরফা মাঠ সরকার চেয়েছিল, সেটা করে সরকার যেভাবে ক্ষমতায় এসেছে, যেভাবে সংসদে সব আসনই তারা বা তাদের ডামিরা বা অনুগতরা দখল করেছে তা একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার নির্বাচন বলে আমি মনে করি।

যুগান্তর : অনেক ভোটারই তো এবারের নির্বাচনে ভোট দিয়েছে। তাহলে কি এটি অংশগ্রহণমূলক হয়নি?

আসিফ নজরুল : অনেক ভোটার কি ভোট দিয়েছে? এখানে সিইসি বলেছেন ২৭ শতাংশের মতো, তারপর উনি এক ঘণ্টা পর বলেছেন ৪০ শতাংশ। আমার মতে, এটা করে কৌশলে নির্বাচনে ২৭ শতাংশ, নাকি ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে, এ ধরনের একটা বিতর্কের জন্ম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আসলে বিতর্কটা হওয়া উচিত, নির্বাচনে আসলে ২৭ ভাগ ভোট পড়েছে, নাকি আরও অনেক কম পড়েছে। আমার ব্যক্তিগত যে পর্যবেক্ষণ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব খবর দেখি, আশপাশের লোকজন থেকে যেসব কথা শুনি, তাতে আমার তো মনে হয় ১০ শতাংশও ভোট পড়েছে কিনা, সন্দেহ আছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেক ছবি আমরা দেখেছি, যেখানে শিশুরা ভোট দিয়েছে, এক ব্যক্তি অনেক ভোট দিয়েছে। একাধারে একটা প্রতীকে সিল মারা হয়েছে। কাজেই এ নির্বাচনে আসলে কতটা ভোট পড়েছে, সেটা একটা গবেষণার বিষয়। আমার মনে হয় না, নির্বাচনে এমন ভোট পড়েছে যেটাকে আমরা সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল বলতে পারি।

যুগান্তর : এ নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য কী কল্যাণ বয়ে এনেছে? না এনে থাকলে ভবিষ্যতে এর প্রভাব কী হতে পারে?

আসিফ নজরুল : গণতন্ত্রের জন্য এ নির্বাচন কোনোই কল্যাণ বয়ে আনছে না। গণতন্ত্র মানে হচ্ছে বহু মতের চর্চা। বিশেষ করে সংসদে সত্যিকারের বিরোধী দলের উপস্থিতি এবং এটা হচ্ছে সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারে এরকম প্রতিষ্ঠানগুলোর উপস্থিতি। এ তিন দিক দিয়েই গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ এ নির্বাচনে জনগণের বিকল্প বাছার সুযোগ ছিল না। এবারের সংসদে প্রকৃত কোনো বিরোধী দল থাকবে না, এটা আপনারা সবাই জানেন। এরা হয় সরকারের অনুগত অথবা সরকারের ডামি অথবা সরকারি দলে যোগদানে ইচ্ছুক। কাজেই এরা কখনোই সরকারকে কোনোরকম জবাবদিহিতার আওতায় আনবেন না। আর এরকম একতরফা নির্বাচন হলে রাষ্ট্রের যে প্রতিষ্ঠানগুলো থাকে, সেগুলো সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে পড়ে, অনুগত হয়ে পড়ে। যেমন, এ ধরনের সরকারগুলোতে আপনি দেখবেন, গত দুই টার্মের সরকারের আমলে যে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যেমন ব্যাংক লুটপাট করার ঘটনা, প্রকল্প অতিমূল্যায়িত করার ঘটনা, শেয়ার মার্কেট লুটপাট হওয়ার ঘটনা-এগুলোর কোনোটারই সুষ্ঠু তদন্ত করবে না দুদক। বা করলেও সেটা খুব কম ক্ষেত্রে নামেমাত্র করবে; কিন্তু ১৫ বছর আগে বা ২০ কিংবা ২৫ বছর আগে কী দুর্নীতি হয়েছে, তারা দেখবেন যে বিপুল বিক্রমে দশগুণ উৎসাহ নিয়ে তা খুঁজতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অর্থাৎ দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের দুর্নীতির দিকে নজর রাখার চেয়ে সরকারের সহায়ক হিসাবে বিরোধী দলগুলোর আমলে কী হয়েছিল, তাতেই উৎসাহী হবে। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকেই এটা করতে দেখা যায় ভুয়া ও একতরফা নির্বাচনের পর।

যুগান্তর : নির্বাচনের পর আমরা দেখেছি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বাদে বিদেশি অনেক রাষ্ট্রই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছে। তাহলে কি এ নির্বাচন বিদেশি মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি?

আসিফ নজরুল : এ নির্বাচনকে বিদেশিদের কারা শুভেচ্ছা জানিয়েছে বা কারা এতে আপত্তি তুলেছে এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি এগুলোর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করি দেশের মানুষের প্রতিক্রিয়া। বিদেশিরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানায় বিভিন্ন স্বার্থের দৃষ্টিকোণ থেকে। সেটা যে কোনো দেশ, ভারত হোক, পাকিস্তান হোক বা আমেরিকা হোক, তারা যত কথাই বলুক, তাদের কাছে নিজের দেশের স্বার্থ আগে, তারপরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ। ফলে তারা যে খুব নির্মোহভাবে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বা হয়নি, এ ধরনের মন্তব্য করে, সেটা আমার সবসময় মনে হয় না। আবার তারা যেটা বলে, সেটা যে কূটনৈতিক ভাষা হিসাবে বলে, নাকি মিন করে, সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। যেমন আপনি জানেন যে অনেক সময় এ ধরনের নির্বাচনে জিতে আসার পর বিদেশি রাষ্ট্রগুলো বলে, আমরা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বা সরকারের সঙ্গে কাজ করব। সরকারের সঙ্গে ‘বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল’ কাজ করা বা নিত্যনৈমিত্তিক কাজ করা আর সরকারকে মেনে নেওয়া কিংবা নির্বাচনের প্রশংসা করা এক জিনিস না। আমরা যারা নির্বাচনটা নিয়ে প্রশ্ন তুলি, এ নির্বাচন সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিত্বশীল কিনা প্রশ্ন তুলি, এমনকি কেউ কেউ এ ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে আসা সরকারগুলো বৈধ কিনা সে প্রশ্ন তুলি, আমরা কি এ সরকারকে মেনে নিই না? আমরা কি ট্যাক্স দেই না? আমরা কি এ সরকারের নিয়ম-কানুন মেনে নেই না? আমরা কি এ সরকারের আমলে নাগরিক দায়িত্ব পালন করি না? তো মেনে নেওয়া, নিত্যনৈমিত্তিক কাজ করা আর বৈধতার স্বীকৃতি দেওয়া এক জিনিস না। এখন বিদেশিরা ভবিষ্যতে কী প্রতিক্রিয়া দেখাবে-না দেখাবে, সেটার চেয়েও আমার অনেক বেশি প্রত্যাশা থাকবে, সরকারের শুভ বোধোদয় হোক বা বাংলাদেশের মানুষ সরকারকে এ বোধোদয় ঘটাতে বাধ্য করুক। সেটা আমার কাছে অনেক বেশি ইতিবাচক মনে হবে।
যুগান্তর : একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই কি সর্বোৎকৃষ্ট? এর বিকল্প কোনো ব্যবস্থা কি আদৌ আছে? যেহেতু এ প্রশ্নে সরকার ও বিরোধী দল দুই মেরুতে অবস্থান করছে।

আসিফ নজরুল : বাংলাদেশের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবশ্যই সর্বোৎকৃষ্ট; কিন্তু এটার কোনো বিকল্প নেই, আমি তা মনে করি না। এ বিকল্পগুলো নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। একটা তো হতেই পারে নির্বাচনকালীন সরকার। যেখানে ক্ষমতাসীন সরকারও থাকবে, বিরোধী দল থাকবে। যেহেতু সংসদে বিরোধী দল নামেমাত্র, এজন্য সংসদের বাইরে থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকবে, ওয়ান-টেন টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকতে পারে। এছাড়া অনির্দিষ্টসংখ্যক টেকনোক্র্যাট উপদেষ্টা কিংবা সংসদের বাইরে থাকা দলগুলোর মধ্য থেকেও উপদেষ্টা থাকতে পারে। এটা নিয়ত ভালো থাকলে করা যেতে পারে। এছাড়া কিছু কিছু বিষয়, যেমন বাংলাদেশে হয় কী, এই ৫-১০ শতাংশ বেশি ভোট পেলেই দেখা যায় একটা দল দুশ-সোয়া দুশ আসনে জিতে আসে। এবং আরেকটা দল দেখা যায় ৫ থেকে ১০ শতাংশ কম ভোট পেয়েছে, এজন্য সে মাত্র ৩০ থেকে ৫০টা আসন পায়। বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ, দুটো দলের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা অতীতে ঘটেছে। আবার দেখা যায়, কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছোট ছোট দল আছে, যেমন সিপিবি’র মতো দল, তারা হয়তো দুই শতাংশ ভোট পেল; কিন্তু সংসদে তার কখনো প্রতিনিধি থাকে না। এখন এসব সমস্যার সমাধান করা যায়, যদি আমরা সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা করতে পারি। অর্থাৎ কোনো নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ পায় ৩০ শতাংশ ভোট, তাহলে আওয়ামী লীগ পাবে ৩০ শতাংশ সংসদে আসন। বিএনপি যদি পায় ৩০ শতাংশ ভোট, তাহলে বিএনপি সংসদে পাবে ৩০ শতাংশ আসন। যদি সিপিবি পায় দুই শতাংশ ভোট, তাহলে সংসদে তাদের আসন থাকবে দুই শতাংশ। আবার নুরুল হক নূরের দল যদি পায় তিন শতাংশ ভোট তাহলে সংসদে তার থাকবে তিন শতাংশ আসন। এটা করা গেলে সব দলের জন্য একটা উইন উইন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ধরনের শাসনতান্ত্রিক সংস্কার আমরা করতে পারি নাকি, এসব বিকল্প এখন থেকেই খুব সিরিয়াসলি ভাবা দরকার।

যুগান্তর : একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ের বিষয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতার পেছনে কী কী ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

আসিফ নজরুল : বিরোধী দলগুলোর ব্যর্থতা-ত্রুটি নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলার সুযোগ এখন আবার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা সবসময় জানি যে, বিজয়ীর প্রশংসা সবাই করে আর বিজিতের দোষ-ত্রুটি খুঁজে বের করে। এটাও বলা হচ্ছে, বিএনপির একটা ‘প্ল্যান বি’ থাকা দরকার ছিল। সরকার যদি কোনোভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না মানে তাহলে অন্য কোনো বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া যায় কিনা, মানে সর্বদলীয় সরকারের, এ ধরনের চিন্তা থাকা প্রয়োজন ছিল। এরকম অনেক কিছু বলা যেতে পারে। বিএনপির বিভিন্ন ইস্যুতে আরও জনসম্পৃক্ত হওয়া উচিত ছিল। এরকম আরও অনেক কিছু বলা যেতে পারে। তবে এ নির্বাচন ঠেকাতে বিরোধী দল যে ব্যর্থ হলো, এটার মূল কারণ কিন্তু বিরোধী দলের জনসম্পৃক্ততা কম, আগ্রহ কম, কর্মসূচি কম ছিল-এটা আমি মনে করি না। এর মূল কারণ হচ্ছে সরকারের নিপীড়ন এবং দমন নীতির সক্ষমতা। আমি সবসময় বলি, এ সরকার আগের যে কোনো সরকারের তুলনায় দমন-নিপীড়নমূলক কাজে অনেক বেশি দক্ষ হয়েছে। ১৫ বছরে দিনে দিনে এ দক্ষতা আরও বেড়েছে। এছাড়া এ সরকার ঐতিহাসিকভাবে ভারতের সমর্থন পেয়ে আসে, কারণ এ সরকারের আমলে ভারতকে অনেক বেশি কিছু দেওয়া হয়েছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ভারতকে এমন কিছু দিয়েছি, যা তারা কখনো ভুলবে না। এত সুবিধা দেওয়া হয়েছে যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখা ভারত তার স্বার্থে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করে। এখানে ভারত একটা অত্যন্ত শক্তিশালী রোল প্লে করেছে। এসব কারণ উপস্থিত থাকার বাস্তবতায় বিরোধী দলের পক্ষে আসলেই কতটুকু করার ছিল, কতটুকু করার ভবিষ্যতে আছে, সেটা এখনই চট করে বলা যাবে না। আমি মনে করি, অবশ্যই বিরোধী দলের ‘সোল সার্চিং’-এর প্রয়োজন আছে। যে কোনো পরিস্থিতিতে বিকল্প খুঁজে নেওয়া বা সমান্তরাল পথ খুঁজে নেওয়াই হচ্ছে বিরোধী দলের দায়িত্ব। তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অভিজ্ঞতার আলোকে কী কী করতে পারে, বর্তমান অভিজ্ঞতার আলোকে কী কী করতে পারে, এটা আসলে তাদেরই খুঁজে বের করতে হবে। এজন্য সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে, বিভিন্ন দলের সঙ্গে কথা বলতে হবে। মুক্তভাবে তাদের সমালোচনাগুলো শুনতে হবে। তবে এর পাশাপাশি আমাদের সমাজে যারা কথা বলি, তাদের এবং গণমাধ্যমের উচিত এ নির্বাচনটা হয়ে যাওয়ার পেছনে বিরোধী দলের ব্যর্থতা খোঁজার পাশাপাশি সরকারি দলের নিপীড়নযন্ত্র কীভাবে কাজ করেছে, সেটাও হাইলাইট করা।

https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/767302