২৩ জানুয়ারি ২০২৪, মঙ্গলবার, ৬:৫৩

দেশের এক-তৃতীয়াংশে শৈত্যপ্রবাহ

 

শীতে কাঁপছে সারাদেশ। দেশের এক তৃতীয়াংশে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ। দেশের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শীতের মাত্রা বেশী। আজ দেশের কোনো কোনো অঞ্চলে তাপমাত্রা আরো নিচের দিকে নেমে যেতে পারে। কোনো কোনো অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। ঠাণ্ডা প্রবাহের সাথে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বায়ুপ্রবাহ নিম্ন তাপমাত্রার সাথে যোগ হয়ে বাড়াচ্ছে শীতের মাত্রা। এ ছাড়া দুপুর পর্যন্ত কুয়াশা থাকতে পারে কোনো কোনো অঞ্চলে। ফলে মাটিতে সূর্যের আলো না পৌঁছানোর কারণেও শীতের মাত্রা বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

 

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে রাতের ঠাণ্ডা। এই শীতে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কারণ প্রচণ্ড শীতের কারণে প্রথম শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে সর্দি ও কাশি এবং এরপর যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের নিউমোনিয়া হয়ে যেতে পারে। নিউমোনিয়া একটি ব্যয়বহুল চিকিৎসা, কেবল শুরুতে চিকিৎসা নিতে পারলে সহজে সুস্থ হওয়া যায়। দেরি হলে সুস্থ হতে বেশি সময় ও অর্থ খরচ করতে হয়। এদিকে ঢাকার ফুটপাথে এখনো গরম কাপড়ের দোকানে দামে বেশ উত্তাপ রয়েছে। কিছু কিছু মানুষ উচ্চমূল্যে হলেও শীত নিবারণে এখনো গরম কাপড় কিনছেন। যদিও সুয়েটার অথবা জ্যাকেটের বাজার এখন আর জমছে না।

চলতি শীত মৌসুমের মধ্যে গতকাল ঢাকায় নিম্নতাপমাত্রায় নতুন রেকর্ড হয়েছে। এই শীত মৌসুমে তাপমাত্রা এর আগে আর কখনো এত নিচে নামেনি ঢাকায়। গতকাল ঢাকায় নিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দিনাজপুরে ও বদলগাছীতে ৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই শীতে এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার রাত থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায়, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় এবং খুলনা, ঢাকা বিভাগের ৫ জেলায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ দেশের এই ২১ জেলাতেই সীমাবদ্ধ না থাকারও পূর্বাভাস দিয়েছে। আজ আবার আরো কিছু অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। গতকাল রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ ছাড়াও খুলনা বিভাগের যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় এবং ঢাকা বিভাগের মাদারীপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া শৈত্যপ্রবাহের মতো নিম্ন তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জে। এ ছাড়া এর আশে-পাশের জেলাগুলোও ছিল তীব্র শীতের কবলে।

আবার এর মধ্যেই দেশে শুরু হতে পারে বৃষ্টি। হয়তো বিশাল পরিমাণে বৃষ্টি হবে না কিন্তু এই শীতে সামান্য বৃষ্টি হলেই মানুষের মধ্যে শীতের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কানাডার সাসকাচুয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে আজ মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে বুধবার মধ্যরাতের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টিটা হতে পারে। পশ্চিমা লঘুচপের প্রভাবে যে আর্দ্রতা আসবে তা বাংলাদেশে পূবালী বায়ুর সাথে মিলে মেঘের সৃষ্টি করবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

গতকাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার ও কাল বুধবার রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে তবে এই বৃদ্ধিতে শীতের মাত্রা খুব বেশি কমবে না। তবে এরপরের রাতে তাপমাত্রা আরো কমে যেতে পারে।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, আবহাওয়া খুবই অনিশ্চিত একটি বিষয়। ২৪ ঘণ্টার পর দীর্ঘ মেয়াদি যত পূর্বাভাস দেয়া হয় সেগুলো সবসময় সঠিক হয় না, ফলে কোনো দেখা যায় কোনো কোনো সময় দীর্ঘ পূর্বাভাসগুলো বাস্তবে সত্য হয় না।

নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, চলমান শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে নীলফামারীর জনজীবন। ঘন কুয়াশা না থাকলেও কনকনে ঠাণ্ডা আর হিমেল বাতাসে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষজন। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় তারা কাজে যেতে না পেরে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। অনেকে শীতবস্ত্রের অভাবে দিনভর খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সোমবার নীলফামারীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে এটাই নীলফামারীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে ৯ দশমিক তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন জানান সোমবার সকাল ৬টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তিনি জানান প্রচণ্ড ঠাণ্ডা থাকলেও ঘন কুয়াশা না থাকায় বিমান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এ দিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে আসায় নীলফামারী জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
লালপুর (নাটোর) সংবাদদাতা জানান, নাটোরের লালপুরে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.২ ডিগ্রিতে নেমেছে। গতকাল সকালে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিস। গতকাল এই উপজেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কারণে কনকনে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বিরাজমান ছিল। দিনের একপর্যায়ে সূর্যের দেখা মিললেও দিনভর তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকে। মাঘ মাসে শীতের সাথে হিমেল হাওয়ায় ঠাণ্ডার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পায়। এ দিকে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উপজেলার সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে জেলা শিক্ষা অফিস।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান চলতি মৌসুমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.২ ডিগ্রিতে নেমেছে যা চলমান আবহাওয়া আরো দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি ও দামুড়হুদা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গায় আবারো বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। হাড় কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। তীব্র শীতের ফলে জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, গতকাল সকাল ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯০ শতাংশ। এর আগে, রোববার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, সোমবার চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীতে রাতভর টিপ টিপ বৃষ্টির মতো কুয়াশায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গতকাল সকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত দুই সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রা ৯ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। কারণে উপজেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দুই দিন পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসায় গতকাল বিদ্যালয় ছুটির এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জাকির হোসেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: জাকির হোসেন বলেন, আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রিপোর্ট করা হয়েছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির কম হওয়ায় নীলফামারী জেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষকদের সময়মতো স্কুলে যেতে হবে।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে আরএমও ডা: নাজমুল হুদা বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এ সময় চলাফেরায় সবাইকে সাবধান হতে হবে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ঠাণ্ডা লাগানো একেবারেই যাবে না।

বগুড়ায় তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় শীতের তীব্রতা বেড়ে ১০ ডিগ্রির নিচে নামার কারণে গতকাল সোমবার সকালে বগুড়া জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। তবে প্রাইভেট সেন্টার ও কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশনা না থাকায় যথারীতি চালু রয়েছে । এতে শিক্ষার্থীরা প্রচণ্ড শীতে ক্লাশ করছে।

বগুড়া আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ আলম জানান , সকাল ৯টায় জেলায় এই মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। জেলার উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ মাসজুড়েই এমন অবস্থা থাকবে। বগুড়া জিলা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক (প্রভাতী) আনোয়ার হোসেন জানান, সকালে জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশনার পর স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসার হযরত আলী বলেন, জেলার সব মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সব উপজেলা শিক্ষা অফিসকে জানানো হয়েছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় জেলার সব প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম জানান, পরিপত্র অনুযায়ী দুই শিক্ষা অফিসার তাদের উপপরিচালকের (ডিডি) সাথে কথা বলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছেন।

পাবনা প্রতিনিধি জানান, শীতের তীব্রতায় জবুথবু হয়ে পড়েছে পাবনার জনজীবন। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বাইরে বের হওয়াই যেন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী মানুষগুলো সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। প্রচণ্ড শীতের কারণে জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত রোববার ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় পাবনা জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার এক দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/808496