৮ জানুয়ারি ২০২৪, সোমবার, ৬:৩৫

ঢাকা ৮, ৯ ও ১০ আসনে ভোট দিয়েছে কিশোররা

 

ঢাকা-৮ আসনের ৯ নম্বর ওয়াডের্র ২০ নম্বর ভোটকেন্দ্র ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থায়। নির্ধারিত সময়ে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও খুব বেশি ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি এই কেন্দ্রে। মোট ভোটার প্রায় দুই হাজার ৪০০। বেলা ১টা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ভোট পড়ে ২১ শতাংশের একটু বেশি।

কেন্দ্রে ভোট দিতে আসে ১৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ রাসেল। সে এখনো ভোটার না হলেও ঢাকা-৮ আসনে নৌকার পক্ষে কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছে। তবে সে নিজেও জানে না কার ভোট দিতে এসেছে। রাসেল বলে, কার ভোট দিতে এসেছি জানি না। মহল্লার নেতার সাথে সকালে এসেছি। যারাই আসছে সবাই একটা করে ভোট দিয়েছে। অনেকে দুইটা-তিনটা ভোটও দিয়েছেন। সকালের দিকে খুব বেশি ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়নি ঢাকা-৮, ৯ ও ১০ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে। ভোট শুরু হওয়ার পর ঘণ্টাখানেক সময় পেরিয়ে গেলেও ভোটারের খুব বেশি উপস্থিতি ছিল না। তবে কোনো ধরনের সহিংসতাও চোখে পড়েনি ভোটকেন্দ্রের আশপাশে।

ঢাকা-৮ আসনের ভোটকেন্দ্র রাজধানীর সেগুনবাগিচা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কিছু ভোটার উপস্থিতি দেখা গেছে। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে নারী ভোটারের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের লোকজনকে দেখা গেছে।

সকাল ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে কমনওয়েলথের প্রতিনিধি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন। এই ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই কেন্দ্রের পর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, সেগুনবাগিচা সাউথ উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ঘুরে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে।

সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও ঢাকা-৯ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি খুব একটা ছিল না। এই আসনের একটি কেন্দ্র খিলগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এখানে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী। সকাল সাড়ে ৮টায় ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আছে। এই কেন্দ্রে তিনজন প্রার্থীর এজেন্ট আছে। আশা করি সব প্রার্থীর এজেন্ট আসবে। আমাদের প্রত্যাশা, ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ থাকবে। কেন্দ্রে কোনো ধরনের অনিয়ম হবে না। ভোটাররা নিজ পছন্দমতো ভোট দিতে পারবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, এক ঘণ্টা পার হলেও ভোটার উপস্থিতি অনেক কম। খিলগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে পাঁচটি বুথে দুই হাজার ৪৭০ ভোটার। এর মধ্যে ১ নম্বর বুথে ৫০৫ জন ভোটার। আধা ঘণ্টায় পাঁচজন ভোট দিয়েছেন। ২ নম্বর বুথে ভোটার ৫০২ জন। ভোট দিয়েছেন চারজন। ৩ নম্বর বুথে ৫০০ জনের মধ্যে আটটি ভোট পড়েছে। ৪ নম্বর বুথে ১০ জন ভোটার বুথে আর ১১ জন ভোট দিয়েছেন। ৫ নম্বর বুথে ৪৫৮ জনের মধ্যে ১২ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার তিন হাজার ১৭৬ জন। সবাই মহিলা। বুথের সংখ্যা ৮। সকাল ৯টার একটু পর পর্যন্ত ৫০ জনের মতো ভোটারের ভোট কাস্ট হয়েছে বলে জানান প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন শিপলু। তবে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের লাইন দেখা যায়নি।

ঢাকা-৮ আসনে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও হাবিবুল্লাহ বাহার ইউনিভার্সিটি কলেজের দু’টি ভোটকেন্দ্রে দুইজন প্রার্থীর এজেন্ট দেখা গেছে। বাকি ৯ প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি। এই কেন্দ্রে ঢাকা-৮ আসনের ৮৮ ও ৮৯ নম্বর ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

ভোট গ্রহণ কক্ষগুলো ঘুরে দেখা গেছে, নৌকা ও ফুলের মালা ছাড়া কোনো প্রার্থীর এজেন্ট আসেননি। কেন্দ্রের ১, ২, ৩ ও ৪ নম্বর কক্ষে দেখা গেছে, দুই প্রতীকের প্রার্থীদের এজেন্ট বসে আছেন। অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট দেখা যায়নি।

কেন্দ্রের পোলিং অফিসার বদরুল আলম বলেন, ৮টা ১১ মিনিট পর্যন্ত আমার কক্ষে দুইজন প্রার্থীর এজেন্ট এসেছেন। তাদের একজন নৌকা ও অন্যজন ফুলের মালার। অন্যান্য ভোট গ্রহণ কক্ষের পোলিং অফিসার, সহকারী পোলিং অফিসাররাও একই কথা বলেছেন। ৮৯ নম্বর কেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার এ বি এম সাব্বির বলেন, ১১ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র দুই প্রার্থী এজেন্ট দিয়েছেন। বাকি প্রার্থীরা আমাদের কাছে এজেন্ট দেয়ার জন্য আবেদন করেননি।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/804668