২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৭:২০

অ্যাপ জটিলতায় ষষ্ঠ সপ্তম শ্রেণীর ফল প্রকাশে বিলম্ব

দীর্র্ঘ এক মাসেও নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর ফল অ্যাপ অনুযায়ী তৈরিই করতে পারছে না শিক্ষককরা। নভেম্বর মাসের মধ্যে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করে মধ্য ডিসেম্বরে ফল প্রকাশ করতে আগে থেকেই নির্দেশনা থাকলেও অ্যাপ অনুযায়ী ফল প্রকাশে জটিলতা তৈরি হয়েছে। ফলে এখন ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

এ দিকে নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়ন গত ৩০ নভেম্বর শেষ হলেও এখনো শিক্ষার্থীদের ফল দিতে পারেনি বহু স্কুল। নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের অ্যাপ নৈপুণ্যে তথ্য অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জটিলতায় পড়েছিলেন বহু শিক্ষক। ফলে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অ্যাপ ব্যবহার করে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে পারলেও বহু প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। এ পরিস্থিতিতে যে প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা অ্যাপের মাধ্যমে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে পারেনি তাদের আপাতত ম্যানুয়ালি রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে (রোববার) ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বার্ষিক মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করতে বলেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। এ বিষয়ে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে মাউশি থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে জারি করা আদেশ প্রকাশ করা হয়েছে।

সূত্র মতে মাউশির সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম অনুসারে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের পারদর্শিতা নির্দেশক (চও) ও আচরণিক নির্দেশক (ইও) সংক্রান্ত ডাটা বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সফলভাবে নৈপুণ্য অ্যাপে ইনপুট দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক ও আচরণিক মূল্যায়নের ট্রান্সক্রিপ্ট এবং রিপোর্ট কার্ড তৈরি করে ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নৈপুণ্য অ্যাপ ব্যবহার করে এখনো রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করতে পারেননি, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আপাতত ম্যানুয়ালি রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুত করে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে মূল্যায়নের পদ্ধতি সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে রিপোর্ট কার্ড হস্তান্তর করতে হবে। তবে আপাতত শিক্ষার্থীদের ম্যানুয়ালি প্রস্তুতকৃত রিপোর্ট কার্ড হস্তান্তর করা হলেও এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নৈপুণ্য অ্যাপ ব্যবহার করেই মূল্যায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মাউশির নির্দেশনা ছিল নৈপুণ্য অ্যাপের মাধ্যমে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। প্রথম দিকে অনেক স্কুলের শিক্ষকই এই অ্যাপের মাধ্যমে ডাউনলোড করে ইনপুন আউটপুট দিতে ব্যর্থ হন। ফলে দ্বিতীয়বার সময় বাড়ানো হলেও শেষ পর্যন্ত অনেক স্কুল এবং শিক্ষক অ্যাপের মাধ্যমে রেজাল্ট কার্ড তৈরি করতে সমর্থ হননি। ফলে ঘোষণা দেয়ার পরও ২০ ডিসেম্বর থেকে গতকাল ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেক স্কুল তাদের ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি। এ অবস্থায় এখন নতুন করে সময় বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করতে আবারো সময় বাড়িয়ে দিয়েছে মাউশি।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/802180