২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৭:১৭

দুই দফা সময় বাড়িয়েও হজযাত্রী নিবন্ধন ২১ শতাংশ

 

দুই দফা সময় বাড়িয়েও হজযাত্রী নিবন্ধনের কোটা পূরণ হয়নি। গতকাল পর্যন্ত চূড়ান্ত নিবন্ধন হয়েছে মাত্র সাড়ে ২৬ হাজার। এ বছর হজযাত্রীর মোট কোটা রয়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের। ফলে গত দেড় মাসে মাত্র ২১ শতাংশ কোটা পূরণ হয়েছে। বাকি রয়েছে এখনো ৮১ ভাগ। এ পর্যায়ে আবারো সময় বাড়াতে বাধ্য হয়েছে ধর্মমন্ত্রণালয়। ১৮ দিন সময় দিয়ে আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সুযোগ দিয়ে গতকাল ফের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।

চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী বছরের ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছরের মতো আগামী বছরও বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটা ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটা এক লাখ ১৭ হাজার জন। গত ১৫ নভেম্বর থেকে হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হয়। প্রথম দফায় শেষ সময় দেয়া হয় ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু তখন ২৬ দিনে মাত্র ছয় হাজার ৫৯৫ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেন। যা মোট হজযাত্রীর মাত্র ৫ শতাংশ। পরে দ্বিতীয় দফা সময় দেয়া হয় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু গতকাল রাত ৭টা পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ২৬ হাজার ৪৬৩ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই হাজার ৯৫৬ জন এবং বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে করেছেন ২৩ হাজার ৫০৭ জন। যা মোট হজযাত্রীর মাত্র ২১ শতাংশ। এখনো এক লাখের বেশি হজযাত্রী নিবন্ধন করতে বাকি রয়েছেন। দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানোর সময় ধর্মমন্ত্রণালয় জানিয়েছিল ৭ জানুয়ারির মধ্যে হজযাত্রীর তালিকা সৌদি আরবে পাঠানোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এজন্য ৩১ ডিসেম্বরের পর আর সময় বাড়ানো হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু তার পরও কোটা পূরণ হয়নি। ফলে আবারো সময় বাড়াতে বাধ্য হয়েছে মন্ত্রণালয়। গতকাল শেষ কর্মদিবসে নতুন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ধর্মমন্ত্রণালয় জানিয়েছে আগামী ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন হজে গমনেচ্ছুক ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা: আবু তাহির স্বাক্ষরিত সময় বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি, হজ এজেন্সি, হজ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় হতে হজ চুক্তির আগেই হজযাত্রীর চূড়ান্ত সংখ্যা জানানোর তাগিদ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ বিবেচনায় সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। এ সময়ের মধ্যে দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধন বা প্যাকেজের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করে চূড়ান্ত নিবন্ধন করা যাবে। প্রাথমিক নিবন্ধন করা হলে প্যাকেজের অবশিষ্ট মূল্য আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবশ্যিকভাবে একই ব্যাংকে জমা দিয়ে চূড়ান্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় হজে যাওয়া যাবে না এবং প্রদত্ত অর্থ ফেরত দেয়া হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

হজ এজেন্সি মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন, অনেকেই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। এ ছাড়া বিরোধীদলের হরতাল-অবরোধসহ টানা কর্মসূচি চলছে। বেশির ভাগ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। অন্য দিকে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে হজ নিবন্ধন শুরু হয়েছিল, চলে এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু এবার সৌদি সরকার হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনায় হজ চুক্তির আগেই হজ নিবন্ধন শেষ করতে হচ্ছে। আগেভাগে নিবন্ধনের তথ্য অনেকে জানেনও না। তাই এবার নিবন্ধনে খুবই ধীরগতি চলছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/802199