২৯ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৭:১৬

ভিসানীতি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা নিয়ে তৎপর ছিল কূটনীতি

তফসিল ঘোষণার পর পর্দার অন্তরালে

 

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের আশঙ্কা ও প্রাকনির্বাচন পর্যবেক্ষক মিশনের কর্মকাণ্ডকে ঘিরে ২০২৩ সালে কূটনৈতিক তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগাদা দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো একটি অবস্থান নেয়। অন্য দিকে রাশিয়া, চীন ও ভারতের অবস্থান ভিন্ন। চীন ও ভারত নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে আখ্যায়িত করে সতর্ক অবস্থানে থাকে। কিন্তু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোকে দায়ী করেছে রাশিয়া। বছরের শেষ দিকে বিরোধী রাজনৈতিকদের সাথে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার চাপ প্রয়োগ ও আরব বসন্তের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানায় রাশিয়া।

অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানকে সমর্থন দিয়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশ সময় ২৪ মে মধ্যরাতে এ ঘোষণা দেন। এই নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা অবৈধ কাজে সহযোগীদের ভিসা ইসুর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনী।

ঘোষণায় বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করতে সহিংসতার আশ্রয় নেয়া এবং ভোটার, নাগরিক সমাজ বা গণমাধ্যমের মতো প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা দেয়া। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সবার দায়িত্ব। বাংলাদশের গণতন্ত্র এগিয়ে নেয়াকে সহায়তা করতে এই নীতি ঘোষণা করা হলো।

এ দিকে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। এ সময় দেশটির বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাথে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু। এ সময় বাংলাদেশের জন্য ইতঃপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ভিসানীতি প্রয়োগের বিষয়টি অবগত করা হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সাথে প্রধানমন্ত্রী পৃথক বৈঠক হয়।

ভিসানীতি কাদের ওপর আরোপিত হয়েছে, তা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে অক্টোবরে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির ভিসার তথ্য গোপনীয়। এটি প্রকাশ করা হবে না। যে সব বাংলাদেশী নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা রয়েছে, কিন্তু ভিসানীতির আওতায় পড়েছেন, দূতাবাস থেকে ইমেইলের মাধ্যমে তাদের জানিয়ে দেয়া হবে। তবে যাদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নেই, তারা আবেদন না করার পর্যন্ত কিছুই জানতে পারবেন না। তিনি বলেন, ভিসানীতি ঘোষণার পর থেকে বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভীতি প্রদর্শন, সভা-সমাবেশে যোগ দেয়ার স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকাতে সহিংসতার আশ্রয় নেয়া এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক দল, ভোটার, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের অংশগ্রহণ ঠেকানোর মতো কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িতরা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

বিশ্বের শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ সেপ্টেম্বর দিল্লি যান। সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ যোগ দেন। এ সময় ভারতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথাপোকথনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিস্তৃত ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বলে ওয়াশিংটনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের কৌশলগত যোগাযোগবিষয়ক সমন্বয়ক জন কিরবি।

২৮ অক্টোবর পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াসহ ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ দিন এক পুলিশ ও একজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ, বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সরকার ব্যাপক ধর-পাকড় অভিযান শুরু করে। পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বিএনপি সমাবেশ-মিছিলের মতো প্রকাশ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পরিবর্তে ধারাবাহিক হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চালাতে থাকে। অন্য দিকে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেয়। এই প্রেক্ষাপটে ১৩ নভেম্বর কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড লুর এ সংক্রান্ত চিঠি নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে দেখা করেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র চায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও অবাধে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এ জন্য সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থেকে সংযম পালনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষাবল্বন করে না। কোনো ধরনের পূর্বশর্ত ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষকে সংলাপে বসার আহ্বান জানাচ্ছে। গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সমভাবে ভিসানীতি প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।

বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাদের হাতে চিঠি পৌঁছে দেয়া সম্ভব হলেও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাথে দেখা করতে পিটার হাসের দুই দিন সময় লেগে যায়। ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রদূতের কাছে থেকে ডোনাল্ড লুর চিঠি গ্রহণ করে বলেন, আজই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। সংলাপের সময় কোথায়?

১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল। আর এর পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক তৎপরতা পর্দার অন্তরালে চলে যায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ৩০ নভেম্বর বিদেশী কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। কিন্তু উত্তেজনাকর এ পরিস্থিতিতেও পশ্চিমা কূটনীতিকরা কোনো প্রশ্ন করেননি।

১৫ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করেন, গত ১২-১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশে সরকারবিরোধীরা রাস্তাঘাট অবরোধ করে, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আমরা এসব ঘটনার সাথে ঢাকায় পশ্চিমা কূটনৈতিক মিশনগুলোর, বিশেষ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক লক্ষ্য করছি। ভোটের ফলাফল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সন্তোষজনক মনে না হলে আরব বসন্তের মতো বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হতে পারে। তিনি বলেন, এমন আশঙ্কার দৃঢ় ভিত্তি রয়েছে যে পশ্চিমা শক্তিগুলোর জন্য ‘অসুবিধাজনক’ বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহগুলোয় নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর চাপ প্রয়োগ করা হতে পারে। বাংলাদেশের শিল্প খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর ওপর আঘাত আসতে পারে। সেই সাথে কিছু সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে নাগরিকদের গণতান্ত্রিক রায় প্রদানে বাধাদানের ‘তথ্যপ্রমাণহীন’ অভিযোগ তুলে পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে তিউনিশিয়া, মিসর, লিবিয়া, সিরিয়া, ইয়েমেন ও বাহরাইনে একের পর এক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ, গণঅভ্যুত্থান ও সশস্ত্র সঙ্ঘাত দেখা দেয়। এর ফলে কয়েকটি আরব দেশে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটে। সিরিয়া ও ইয়েমেনে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় এবং সরকারের সাথে সশস্ত্র সঙ্ঘাত শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতা আজো চলছে। এই ঘটনাপ্রবাহ আরব বসন্ত নামে পরিচিতি।

সেপ্টেম্বরে দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে ও পরে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ ঢাকা সফর করেন। স্বাধীনতার পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশে এটিই প্রথম সফর। অন্য দিকে ৩০ বছর পর ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট ঢাকা আসেন। আর বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে দিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠকের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও ফ্রান্স এখন পরস্পরবিরোধী অবস্থানে। কাছাকাছি সময়ে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের সফর ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অন্য দিকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মুখে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিশেষ করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা ও ভিসানীতি নিয়ে সরকারের ভেতর নানা ধরনের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর এই চাপ সামাল দিতে বরাবরের মতোই তৎপর ছিল ভারত। ইতোমধ্যে ওয়াশিংটনকে দেয়া এক কূটনৈতিক বার্তায় দিল্লি জানিয়েছে, বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল হয়ে পড়লে ভূ-রাজনৈতিক দিক থেকে তা ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্র-কারো জন্যই সুখকর হবে না। জবাবে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র অবগত। তবে বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব অবস্থান রয়েছে। পরবর্তী সময়ে দিল্লিতে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে। এতে দুই পক্ষ বাংলাদেশ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করলেও ইস্যুটি নিয়ে একমত হতে পারেনি বলে কূটনৈতিক মহলের ধারণা।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/802207