২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৪:৫৪

পড়াশোনাবিমুখ শিক্ষাক্রম

 

কোনো রকম গবেষণা ছাড়াই অনেকটা ঢাক-ঢোল পিটিয়েই চালু করা হয়েছিল সৃজনশীল পদ্ধতি। বলা হয়েছিল এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আর মুখস্থ করার প্রয়োজন নেই, বন্ধ হয়ে যাবে কোচিং সেন্টার। শিক্ষার্থীরা শিখবে সৃজনশীলতার মাধ্যমে। কিন্তু সেই পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছে। সৃজনশীল সেই পদ্ধতি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বুঝে ওঠার আগেই আবার শিক্ষাক্রমে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফের সেই পুরোনো অজুহাতেই (মুখস্থ বিদ্যা প্রয়োজন হবে না, কোচিং বন্ধ হবে) নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অথচ এটি বাস্তবায়নের আগে করা হয়নি আলোচনা, করা হয়নি সৃজনশীল পদ্ধতি ব্যর্থতার কারণ বিশ্লেষণ, নেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতি, শিক্ষক প্রশিক্ষক। অনেকটা তাড়াহুড়া করেই পুরো পদ্ধতি পাল্টে দিতে যাচ্ছে শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা। হঠাৎ করেই বাদ দেয়া হয়েছে পরীক্ষা, মূল্যায়নে আনা হয়েছে ভিন্ন পদ্ধতি, থাকছে না বিভাগ (মানবিক, বাণিজ্য, বিজ্ঞান)। এটি একদিকে শিক্ষার মান যেমন ধ্বংস করে দিবে, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বিমুখ করবে বলে মনে করছেন সচেতন শিক্ষাবিদ ও অভিভাবকরা। বিষয়টি নিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, বাতিলের দাবিতে আন্দোলনও করছেন। কিন্তু সরকার কোনো কিছুকে আমলে না নিয়ে বরং কারিকুলামের সমালোচনা করায় কয়েকজনকে গ্রেফতার করে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন শিক্ষাক্রমটি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির একক সিদ্ধান্তে করা হয়েছে। তিনি এটির বিষয়ে অনড়। কেউ যাতে এ বিষয়ে কোনো সমালোচনা করতে না পারে সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে তার চাপেই এনসিটিবি চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়।

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব নয় মন্তব্য করে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর আনু মুহাম্মদ বলেন, আমাদের এই নতুন শিক্ষাক্রম অন্য দেশের শিক্ষাক্রম থেকে অনুবাদ করে চালানো হচ্ছে। বর্তমান সরকার সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করেছিল। এর কোনো মূল্যায়নই তারা করেনি, বরং এই পদ্ধতি গাইডনির্ভরতা বাড়িয়েছে। খেলার মাঠ, গবেষণাগার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতসহ আনুষঙ্গিক আয়োজন না করে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, সরকার নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল করবে। মাঝখানে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে। অনেক শিক্ষকই এই শিক্ষাক্রম চান না। কিন্তু তারা ভয়ে বলতে পারছেন না। যারা চান না, তারা কী করে শিক্ষা দেবে? এগুলো নিয়ে সমালোচনা যৌক্তিক। কিন্তু সরকার কোনো সমালোচনা শুনতে চায় না। সরকার সমালোচনা পছন্দ করে না, তারা তোষামোদি পছন্দ করে।

জানা যায়, মুখস্থ করে শেখাকে বাদ দিয়ে হাতে-কলমে শেখার শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়ার কথা বলে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছে। শুরুতে বিষয়টিকে অনেকে স্বাগত জানালেও পাঠদান পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীদের বিছানা গোছানো, রান্না-বান্না শেখা, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তে গ্রুপভিত্তিক মূল্যায়ন, পাঠ্য বইয়ের পরিবর্তে বাচ্চাদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন তুলে দেয়ার ব্যবস্থাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা। এর সঙ্গে পাঠ্য বইয়ে আপত্তিকর শব্দ, বিষয় পড়ানোয় উদ্বিগ্ন তারা।

আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, নতুন কারিকুলামে বাচ্চাদের অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হয়। এতে প্রতিবার নতুন নতুন উপকরণ কিনতে হয়, যা আমাদের ওপর বাড়তি খরচের বোঝা চাপিয়েছে। আরেকজন অভিভাবক বলেন, এই শিক্ষায় আমাদের সন্তানরা ওয়েটার ছাড়া আর কিছু হবে না। আমাদের সন্তানরা আর রোকসানার মতো পাইলট কিংবা ডাক্তার হতে পারবে না।

ভিকারুননিসা স্কুলের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, এই শিক্ষাক্রম যারা করেছে তাদের সন্তানরা হয় বিদেশে পড়াশোনা করে, না হয় ইংরেজি মাধ্যমে। এই কারিকুলামে কি তাদের সন্তানরা পড়বে? এমন একজন কেউ দেখাতে পারবে?

তবে ড. জাফর ইকবালসহ এর পক্ষে থাকা শিক্ষাবিদরা বলছেন, নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন হলে মুখস্থ করার দরকার নেই, কোচিং ব্যবসা বন্ধ হবে। আর শিক্ষার্থীরা এটিকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের এই কথার সত্যতাও পাওয়া গেছে। কারণ পরীক্ষা পদ্ধতি না থাকা, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কোনো তাগাদা না থাকায় খুশিই তারা। কারণ আগের মতো তাদের বই পড়ার চাপ থাকছে না, পরীক্ষায় বসতে হবে না, গ্রুপে অংশ নিলেই হবে মূল্যায়ণ। শিক্ষার্থীদের কথা বলে নতুন কারিকুলামকে হালাল করার যে সুযোগ নিচ্ছেন ড. জাফল ইকবালরা। সেটির সমালোচনা করেছেন অনেকে। সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা বলেন, সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করার সময়ও ড. জাফর ইকবালরা একই কথা বলেছিলেন। তারা সেই সময়ে বলেছিলেন, সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হলে শিক্ষার্থীদের আর মুখস্থ করতে হবে না। কোচিং বাণিজ্য চলছে, এটি আর চলবে না, বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু তাদের সেই পদ্ধতি ব্যর্থ হয়েছে। সেটি যে ব্যর্থ হলো, কেন ব্যর্থ হলো? সে বিষয়ে কোনো গবেষণা বা চিন্তাও তারা করেননি। এখন আবার একই অজুহাত তুলে নতুন কারিকুলামের পক্ষে তারা কথা বলছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। আগামী বছর (২০২৪ সালে) দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণি এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে এ শিক্ষাক্রম চালু হবে। ২০২৫ সালে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণি এবং এবং দশম শ্রেণি যুক্ত হবে। ২০২৬ সালে একাদশ ও ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণি যুক্ত হবে।

সূত্র জানায়, নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের দায়িত্ব জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি)। মাঠপর্যায়ে তা কার্যকর করার দায়িত্ব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের। শিক্ষা বোর্ডগুলোরও এ ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে। স্বাভাবিকভাবে শিক্ষাক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণেও মাউশি অধিদপ্তরের বড় ভূমিকা থাকার কথা। কারণ মাঠপর্যায়ের চিত্র তারাই ভালো জানে। কিন্তু মাউশি অধিদপ্তরকে পাশে ঠেলে এনসিটিবি একক সিদ্ধান্তে সব করছে বলে অভিযোগ।

মূল্যায়ন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, একজন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করে ত্রিভুজ, বৃত্ত ও চতুর্ভুজ চিহ্ন দেবেন শিক্ষকরা। ত্রিভুজ হচ্ছে সবচেয়ে দক্ষ বা ভালো, বৃত্ত হচ্ছে মোটামুটি ভালো এবং চতুর্ভুজ মানে উন্নতি প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হতে হলে স্কুলে তাদের উপস্থিতির হার ও বিষয়ভিত্তিক পারদর্শিতা বিবেচ্য হবে। ৭০ শতাংশ ক্লাসে উপস্থিত থাকলে তাকে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা যাবে। তিনটি বিষয়ের ট্রান্সক্রিপ্টে কোনো শিক্ষার্থীর অর্জনের মাত্রা যদি ‘চতুর্ভুজ’ হয় তাহলে তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তরণের জন্য বিবেচনা করা যাবে না। আর পারদর্শিতার বিবেচনায় কোনো উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ক্লাসে উপস্থিতি কম হলে পরের ক্লাসে তাকে উঠতে দেওয়া হবে কি না তার সিদ্ধান্ত নেবেন শিক্ষকরা।

সেগুনবাগিচা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা দিতে হয় না, তাই আমরা খুব খুশি। তাদের কী শেখানো হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘর গোছানো, রান্না, এছাড়া শিক্ষকরা অভিনয়ের মাধ্যমে নানা বিষয় শেখান। পরবর্তীতে গ্রুপভিত্তিক সেটি আমাদের করে দেখানো হয়।

একজন অভিভাবক বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে লিখিত পরীক্ষা নেই বললেই চলে। শিক্ষার্থীরা একক বা দলগত কাজ করবে। আর মূল্যায়ন করবেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা যদি দলগত কাজের জন্য দলের সব শিক্ষার্থীকে চতুর্ভুজ দিয়ে দেন তাহলে কিছু করার থাকবে না। দলগত কাজ একজন শিক্ষার্থীর ওপর নির্ভর করে না। আগে যে অভিভাবক দু’জন শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়াতেন, এখন তিনি পাঁচ-ছয়জনের কাছে প্রাইভেট পড়ান। শিক্ষক প্রাইভেটে কী পড়ালেন সেটা বিষয় নয়, শিক্ষার্থী যে প্রাইভেট পড়ে সেটাই বড় বিষয়।’

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষা আন্দোলন সম্মিলিত অভিভাবক ফোরামের আহ্বায়ক তাহেরা আক্তার রুপা বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা না থাকলেও ‘শিক্ষার্থী কাজে’র চাপ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। রাত ২টা-৩টা পর্যন্ত জেগে ওদের প্রোজেক্টের কাজ করতে হচ্ছে। একেকটা প্রোজেক্টের জন্য অনেক ধরনের অতিরিক্ত জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। এতে আমাদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এ শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিও আজগুবি। পরীক্ষাবিহীন এমন শিক্ষাব্যবস্থায় আমাদের সন্তানদের ধ্বংস হতে দিতে পারি না। আমরা আশা করি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ শিক্ষাক্রম বাতিল অথবা সংস্কার করবেন।

শিক্ষা ও শিশুরক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা বলেন, নতুন কারিকুলামে হাতে-কলমে শিখে তারপর তত্ত্বে আসার যে শিক্ষা, এটা কোনো সাধারণ ধারা নয়। এ কারিকুলাম জাতির সঙ্গে রাষ্ট্রের, সরকারের এবং মন্ত্রণালয়ের প্রতারণা। কারিকুলাম নিয়ে এক ধরনের খেলা খেলছে। শিক্ষার মান কমে যাওয়া নিয়ে সারাদেশেই প্রশ্ন। মানোন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষিত শিক্ষক প্রয়োজন; ক্লাসরুমের মান উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের বেতনবৃদ্ধি দরকার। অথচ সরকার তার থেকে অনেক দূরে।’

জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকরা নতুন শিক্ষাক্রমে এখনো অভ্যস্ত হতে পারেননি। মাত্র ৭ দিনে ‘নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষকদের পাঠানো হচ্ছে ক্লাসরুমে। যদিও এই প্রশিক্ষণ ও পদ্ধতি নিয়েও শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। প্রশিক্ষণ পেলেও অনেকেই তা বুঝে উঠতে পারেননি। আবার অনেক স্কুলেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ল্যাবরেটরি ও উপকরণ নেই।

নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে সরব রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর কামরুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, শিক্ষায় বরাদ্দ যেন কম লাগে, তারা যেন ইংরেজি মাধ্যমে ঝুকে, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা যেন ভালো হয়, এটিই এই শিক্ষাক্রমের উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থী একই রকম হবে না, কেউ চিত্রাঙ্কনে ভালো হবে, কেউ বিজ্ঞানে। কিন্তু এখন সকলকে ঘাড়ে ধরে ১০টি বিষয় পড়ানো হবে। ফলে যে বিজ্ঞান, গণিত পছন্দ করে না, আগ্রহ নেই তার জন্য মান নামিয়ে আনা হচ্ছে।

শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতির সমালোচনা করে তিনি বলেন, কোথাও চাকরি না পেয়ে, অনেক চেষ্টা করে কিছু না পেয়ে শিক্ষকতা পেশায় আসছেন। আবার এখানেও দিতে হয় বড় অঙ্কের ঘুস। তাদের দায়িত্ব দিচ্ছেন মানুষ গড়ার। আর বেতন যা দেয়া হয় তা ড্রাইভারের চেয়েও কম। ফলে মানসম্পন্ন শিক্ষক, পর্যাপ্ত বেতনসহ আরো অনেক কিছু না দিয়ে একটা খোলসে শিক্ষাক্রম দিবেন এটা হয়ে যাবে, এটা জাতির জন্য অনেক বড় ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, কোনো দেশেই রাতারাতি কারিকুলাম পরিবর্তন করে না, করা যায় না। আস্তে আস্তে করতে হয়। এখানে যা হচ্ছে তা জাতির সঙ্গে উপহাস মাত্র।

শিক্ষাক্রম প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও এনসিটিবির সদস্য প্রফেসর মো. মশিউজ্জামান বলেন, শিক্ষাক্রম নিয়ে বিরোধীতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। আমরা ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এটি নিয়ে গবেষণা করেছি। বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রম দেখে শিক্ষকদের নিয়ে কাজ করে আমাদের দেশের বাস্তবতায় এটি করেছি। রান্না-বান্না, ঘর গোছানা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে আমরা সব শ্রেণির মানুষকে সম্মান জানাতে চাই। সবাই রান্না শিখলে ক্ষতি কি? ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত হবে, তখন কাজের বুয়া রান্না করে দেবে বা বউ রান্না করে দেবে এই প্রত্যাশা করা ঠিক না।

https://dailyinqilab.com/national/article/626743