২২ ডিসেম্বর ২০২৩, শুক্রবার, ৮:৫৬

ন্যাশনাল ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কতটা উদ্বেগের বিষয়?

 

বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সাথে সেখানে নতুন একটি পরিচালনা পর্ষদও গঠন করে দিয়েছে তারা।

 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক জানান, ন্যাশনাল ব্যাংকের আগের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙ্গে দিয়ে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘পরিচালনা পর্ষদের একটা নির্দিষ্ট দায়িত্ব থাকে। সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে এবং সেটা যদি আমানতকারী ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থহানি ঘটায় তাহলে সেই ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী পর্ষদ ভেঙে দিতে পারে। একইসাথে নতুন পর্ষদও গঠন করে দেয়ার নিয়ম রয়েছে।’

এই নিয়ম অনুযায়ীই পর্ষদ ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে মেজবাউল হক জানিয়েছেন।

তবে কোনো ব্যাংকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ ধরনের পদক্ষেপ এটাই প্রথম নয়। এর আগে গত ২৮ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের শরীয়াহ ভিত্তিক পাঁচটি ব্যাংককে চিঠি পাঠায়। এতে বলা হয়, ওই ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাব দীর্ঘদিন ধরে ঋণাত্মক এবং তা সমন্বয় করতে ২০ কর্ম দিবসের একটি সময় বেধে দেয়া হয়, যা শেষ হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর।

এই সময়ের মধ্যে তারল্য ঘাটতি সমন্বয় করা না হলে ব্যাংকগুলোকে সতর্কবার্তা হিসেবে ‘সব বা নির্দিষ্ট কোনো ক্লিয়ারিং প্ল্যাটফর্ম’ থেকে বিরত রাখা হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এ ধরনের পদক্ষেপ ব্যাংক খাত নিয়ে কী ধরণের বার্তা দিচ্ছে তা নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মধ্যে দ্বিমত রয়েছে।

অনেকে বলছেন, এটা আসলে দেশের ব্যাংক খাতের ভঙ্গুর ও নাজুক অবস্থাকেই সামনে তুলে ধরছে। আবার অনেকেই বলছেন, ব্যাংক খাতে যে জবাবদিহিতা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপ সেটাই প্রমাণ করে।

কেন নতুন পর্ষদ?
সম্প্রতি গত কয়েক মাস ধরে ন্যাশনাল ব্যাংক নিয়ে দেশে আলোচনা রয়েছে। এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর গত ৪০ বছরের মধ্যে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলেও স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।

ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ‘গুড গভর্নেন্স বা সুশাসন একটা বড় ইস্যু, পর্ষদ ভেঙে দেয়ার একমাত্র কারণই হচ্ছে গুড গভর্নেন্স এনসিওর করা। তারা গুড গভর্নেন্স এনসিওর করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেই কিন্তু এই পর্ষদটা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে।’

নতুন পর্ষদ সুশাসন নিশ্চিত করবে এবং ব্যাংকের দৈনন্দিন কার্যক্রমে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না, সেটাই আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এখন থেকে পেশাদারদের মতো পরিচালিত হবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে ।

তিনি বলেন, নতুন এই ব্যবস্থা নেয়ার পর গ্রাহকদের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। কারণ গ্রাহকদের স্বার্থ আরো সংরক্ষণ করতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

‘গ্রাহকরা আরো রেস্ট অ্যাসিওরড থাকতে পারেন যে আমাদের যে পর্ষদ নতুন এসেছে, তারা কিন্তু গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণের কারণেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছে’, জানান মেজবাউল হক।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ব্যাংকিং খাত সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক-কে বেশ কিছু ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। যে সব ব্যাংকের কার্যকলাপ ভাল না, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কিছু অনৈতিক কাজে যুক্ত থাকে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

এর মধ্যে একটি হচ্ছে ওই ব্যাংকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা। যার দায়িত্ব থাকে পরিচালনা পর্ষদে কী কী সিদ্ধান্ত হচ্ছে এবং সেগুলোর পেছনের কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক-কে জানানো।

তবে যদি পর্যবেক্ষক নিয়োগে কাজ না হয় তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দুই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে। বিশেষ কোনো একজন পরিচালককে বের করে দেয়া এবং পুরো পরিচালনা পর্ষদই বাতিল করে দেয়া।

অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘যখন ব্যাংকগুলোর অবস্থা খারাপের দিকে চলে যায় বা তাদের নৈতিকতা বা অন্যান্য কার্যকলাপ আইনগতভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় তখন বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে এবং সেটা নেয়া উচিত।’

তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে বেশ দেরি করে ফেলে এবং এ কারণে বেশ বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়।

নতুন পর্ষদের যারা থাকেন তাদের বিষয়ে আশা করা হয় যে, তাদের নৈতিকতা থাকবে এবং ব্যাংক খাতে অভিজ্ঞতা থাকার কারণে তারা ওই ব্যাংকটিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতে পারবে। তবে অনেক সময় এটিতে দেরি হয়ে যাওয়ার কারণে অভিজ্ঞতা ও সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও সেই ব্যাংকটির ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয় না।

‘হান্ড্রেড পার্সেন্ট অনেস্ট (শতভাগ সৎ) এবং হান্ড্রেড পার্সেন্ট এফিসিয়েন্ট (শতভাগ দক্ষ) লোক দিয়েও এটাকে তখন উদ্ধার করা সম্ভব নাও হতে পারে।’

ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পর্ষদ সম্পর্কে এইচ মনসুর বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে বসেই হয়তো তারা ঠিক করবে যে কতখানি ক্ষতি হয়ে গেছে, কতখানি লোন, লস ইত্যাদি বিভিন্নভাবে টাকা আত্মসাৎ কার্যক্রম সম্পাদিত হয়েছে এবং সেটার ক্ষতিপূরণ কে দেবে, কী করবে, এবং কিভাবে উদ্ধার করা যাবে আংশিকভাবে হলেও সে চেষ্টা তাদেরকে করতে হবে।’

একে পুরো কৌশলের অংশ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ব্যাংক খাতের জন্য উদ্বেগজনক?
সম্প্রতি বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ দেখা গেছে। ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন এর মধ্যে সর্বশেষ পদক্ষেপ।

এর আগে তারল্য ঘাটতি মেটাতে দেশের পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে সতর্কবার্তা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই ব্যাংকগুলোকে বেঁধে দেয়া সময় শেষ হবে আসছে সপ্তাহে।

দেশের বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ ধরনের পদক্ষেপ কী বার্তা দেয় এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এটা নির্দেশ করছে যে আমাদের ব্যাংকিং খাতের অবস্থা খুবই নাজুক ও ভঙ্গুর।’

তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোর অবস্থা বলতে গেলে বলতে হয় যে, এই ব্যাংকগুলোর তারল্য সমস্যা একটি 'ক্রনিক সমস্যা' হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘তারল্য সঙ্কট একটা একদিন দুদিনের ব্যাপার না। এই ব্যাংকগুলোকে লুণ্ঠন করতে দেয়া হয়েছে তাদের মালিকদের দ্বারা। এই লুণ্ঠনের ফলে এই ভালো ব্যাংকগুলো নষ্ট হয়ে গেছে’, অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের টাকা তাদেরকে দিচ্ছে যেটা আসলে উচিত নয়। কারণ কোনও ধরনের জবাবদিহিতা ছাড়া এই ভাবে তারল্য সরবরাহ করা ঠিক না।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আমেরিকার ব্যাংক খাতে যখন ফেইজ আউট বা দেউলিয়াত্ব চলছিল, তখন সেদেশের সরকার তাদের বেইল আউট করেনি। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার ধারাবাহিকভাবেই এটা করে যাচ্ছে।

এই চর্চা থেকে বের হয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন এই অর্থনীতিবিদ। এর পরিবর্তে পর্যবেক্ষক নিয়োগ বা পর্ষদ বাতিলের মতো পদক্ষেপ নিয়ে দেখতে হবে যে আসলে ব্যাংকগুলো কতখানি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং তার জন্য কী করা উচিত।

তা না হলে এর প্রভাব হবে খুবই মারাত্মক। এরই মধ্যে ব্যাংক খাত সামগ্রিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় এর আমানতে প্রবৃদ্ধি কমে গেছে, ঋণদান ক্ষমতা কমে গেছে, ব্যাংকিং খাতের ওপর সরকারের নির্ভরতা বেড়ে গেলেও সরকার টাকা নিতে পারছে না কারণ ব্যাংকে টাকা নেই।

তার প্রশ্ন, ‘টাকাটা কোথায়? বিদেশে পাচার হয়ে গেছে, বা এমন কোনো ব্যক্তির কাছে ঋণ দেয়া হয়েছে সেগুলো আদায় হবে না।’

ব্যাংকিং খাতে এরই মধ্যে ২৫ শতাংশ ঋণ অনাদায়ী রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সাবেক ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ নুরুল আমিন আবার মনে করেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে তাতে দুটি বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে কর্মকর্তাদের সুশাসন নিশ্চিত করা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে জবাবদিহিতার।

তিনি বলেন, কোনো একটি ব্যাংকের বোর্ড ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব রয়েছে। সেগুলো পরিপালন না হলে স্বতন্ত্র পরিচালক যারা থাকেন তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অভিযোগ করতে পারেন।

এর ব্যত্যয় হলে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদই বাতিল করে দিতে পারে। এর মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত হয়।

আরেকটি দিক হচ্ছে, কোনো কারণে যদি জনস্বার্থ বা মানুষের আমানত ঝুঁকির মুখে পড়ে বা শেয়ারহোল্ডাররা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন এমন অবস্থা তৈরি হয় তাহলে সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করতে পারে।

‘এনবিএল এর বিষয়টা হচ্ছে সুশাসন সংক্রান্ত আর ইসলামী ব্যাংকের বিষয়টা হচ্ছে অপারেশনাল সংক্রান্ত। কাজেই বার্তাটা যেটা দেয় যে, শেয়ারহোল্ডার বা আমানতকারীরা এইটুকু স্বস্তি পাক যে না, যারা এর লাইসেন্স দিয়েছে তারা এটা দেখভাল করার দায়িত্ব আছেন এবং তারা পরিপালন করছেন।’

নুরুল আমিন মনে করেন বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে যে জবাবদিহিতা রয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপ সেটাই নির্দেশ করছে।

তিনি বলেন, ‘অ্যাকশন কে কখন কোনটা নিলো তার চেয়ে বড় বিষয় হলো, এটা যে সজাগ আছে, দায়িত্ব পালন করছেন এবং ব্যাংকগুলোর জবাবদিহিতা আছে সেটা প্রমাণ করে।’

গ্রাহকদের উদ্বেগের কারণ আছে?
ব্যাংক খাতের এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ গ্রাহকদের উদ্বেগের জায়গা আছে কিনা তা নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকারদের মধ্যে ভিন্ন মত রয়েছে।

অনেকেই মনে করছেন ব্যাংক গ্রাহকদের খুব বুঝে-শুনে বিনিয়োগ করা ও আমানত জমা রাখা উচিত। আবার অনেকেই মনে করছেন, ব্যাংক খাতের এই অবস্থায় এরই মধ্যে যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করেছে তাই গ্রাহকদের আসলে চিন্তার কিছু নেই।

অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, সাধারণ মানুষের অবশ্যই উদ্বেগের জায়গা রয়েছে। কারণ তাদের অর্থের পুরোপুরি গ্যারান্টি দেয়া হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হলে সরকার কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফেরত দেয়ার গ্যারান্টি দিলেও পুরো টাকা ফেরত পাওয়ার কোনো গ্যারান্টি নেই।

‘বাকি টাকার গ্যারান্টি নাই। যদিও সরকার চাইলে তাদের বেইল আউট করতে পারে তবে সেটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের ব্যাপার। কারণ উদ্ধার হলেও তাতে এক-দুই বছর লেগে যাবে এবং এই সময়ের মধ্যে তারা সেই টাকাটা ব্যবহার করতে পারছে না।’

এ কারণে সাধারণ মানুষকে সাবধানতা অবলম্বন করে ভাল ব্যাংক বিবেচনা করে আমানত ও বিনিয়োগ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

‘সরকারকে ভাবতে হবে, এইসব ব্যাংককে এইসব লুণ্ঠন করতে দেয়ার কারণে আলটিমেটলি সরকারকে হয়তো কয়েক লক্ষ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। এই কয়েক লক্ষ কোটি টাকা সরকার অনেক ধরনের উন্নয়নের কাজে ব্যয় করতে পারতো। সেই জায়গাটা এই লুটেরাদের লুটের ভর্তুকি দিতে হবে,’ বলেন নুরুল মনসুর।

তবে আরেক সাবেক ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ নুরুল আমিন অবশ্য মনে করেন যে, এই পর্যায়ে আসলে গ্রাহকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, যখন কোনো ব্যাংক কোনো চেকের বিপরীতে দায় শোধ করতে পারবে না, তখন উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ থাকে। এর আগে নয়।

তিনি মনে করেন, এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্রেক হলে সেক্ষেত্রে আর পরিচালনা পর্ষদ বা সতর্কবার্তায় কাজ হয় না। তখন আরো কঠোর ধরনের ব্যবস্থা নিতে হয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। সূত্র : বিবিসি

 

https://www.dailynayadiganta.com/economics/800429