২১ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১১:১১

চট্টগ্রামে জ্বলছে না চুলা সিএনজি স্টেশনে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন

 

চট্টগ্রামে তীব্র গ্যাস সঙ্কট চলছে। গ্যাসের অভাবে বাসাবাড়িতে জ্বলছে না চুলা। রান্না-বান্না নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহিণীরা। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের অপেক্ষায় যানবাহনের দীর্ঘলাইন। গ্যাসনির্ভর শিল্প কারখানার উৎপাদন স্থবির হয়ে পড়েছে। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর কর্মকর্তারা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় সঙ্কট বেড়ে গেছে। কবে নাগাদ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে তাও অনিশ্চিত।

চট্টগ্রামে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৩১২ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে গত কয়েকদিন ধরে পাওয়া যাচ্ছে ২৮০ থেকে ২৮০ মিলিয়ন। অথচ শীতকালেই গ্যাসের চাহিদা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেড়ে যায়। চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে গৃহস্থালী এবং সিএনজি ফিলিং স্টেশনে সঙ্কট বেড়ে গেছে। সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাসাবাড়িতে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বিশেষ করে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মহানগরীর বিশাল এলাকায় চুলা জ্বলছে না। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

নগরীর জামালখান, চকবাজার, আসকারদীঘির পাড়, মুরাদপুর, জুবিলী রোড, মাদারবাড়ি, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সঙ্কট চলছে। বাসাবাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। অনেকে হোটেল রেস্তোরাঁ থেকে খাবার কিনে খেতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ আবার শুকনো খাবার কিনে দিন পার করছেন। গ্রাহকরা জানান, গত কয়েক মাস ধরে গ্যাসের সঙ্কট চলছে। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে গ্যাসের সরবরাহও কমে গেছে। মহানগরীর সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে যানবাহনের দীর্ঘলাইন পড়ে গেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় এমন বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গ্যাসের অভাবে শিল্প কারখানার উৎপাদনও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশে ক্রমবর্ধমান ডলার সঙ্কটের কারণে এমনিতেই নাজুক অবস্থায় রয়েছে দেশের শিল্পখাত। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সঙ্কটের মধ্যে এখন যোগ হয়েছে গ্যাস সঙ্কট। পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকায় পুরোদমে কারখানা চালু রাখা যাচ্ছে না। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

কর্ণফুলী গ্যাসের কর্মকর্তারা জানান, একদিকে সরবরাহ কমে গেছে অন্যদিকে চাহিদা বেড়েছে। এর ফলে সঙ্কট বেড়ে গেছে। তাছাড়া সার সঙ্কট নিরসনে সার কারখানাগুলো পুরোদমে চালু রাখতে হচ্ছে। চট্টগ্রামের ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেডে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ দেয়া হচ্ছে। এ কারণে আবাসিক খাতে গ্যাসের সঙ্কট আরো বেড়ে গেছে। কর্মকর্তারা জানান, আপাতত চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই। ফলে সামনের দিনগুলোতে সঙ্কট আরো তীব্র হবে।

https://dailyinqilab.com/national/article/625295