১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৬:১৭

একতরফা ভোটাভুটির দায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এড়াতে পারবে না

সংবিধানের দোহাই দিয়ে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দায়সারা গোছের ভোটাভুটির দায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এড়াতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। তারা বলছেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, নির্বাচন এখন ‘জোর যার মুল্লুক তার’ পর্যায়ে চলে গেছে। যেভাবেই হোক সরকার নির্বাচন করবেই। তারা বলছেন, গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দেশে বিদেশে যে অচলবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল সেটি থেকে বের হওয়া সম্ভব হলো না। ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই যেন সবকিছু। তারা আরও বলছেন, সরকারপক্ষ থেকেও বলা হচ্ছিল, এবারের নির্বাচন আগের দুটির মতো হবে না। তবে ব্যাপকভাবে মনে করা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন হতে যাচ্ছে ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াতে ইসলামী এতে অংশ নিচ্ছে না দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হচ্ছে না বলে। এটি প্রতিহত করার চেষ্টায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচিও দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে সরকার বদ্ধপরিকর আগের ধারাতেই নির্বাচন করে ফেলতে। বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলায় তারা নিচ্ছে সর্বাত্মক ব্যবস্থা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অবস্থায় যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, তা আইনগত বৈধতা পেলেও রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে মনে হচ্ছে না।

নির্বাচন বিশ্লেষক ইউআইইউর শিক্ষক অধ্যাপক ড. হাসনান আহমেদ বলেছেন, আমি ভাবছি এদেশের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন একটা আপেক্ষিক কথা। একজনের দৃষ্টিতে যেটা অংশগ্রহণমূলক, অন্যের দৃষ্টিতে সেটা অংশগ্রহণমূলক নাও হতে পারে। বিষয়টা নিয়েও মহান রাজনীতিকদের তর্ক সামনে আসছে। ধৈর্য ধরে আমরা ‘রুপালি পর্দায়’ দেখার অপেক্ষায় থাকি। তিনি বলেন, এ নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এর মাধ্যমে...সত্যিকার অর্থে জনগণের ভোটের অধিকারের যে নির্বাচন, সেটি নিশ্চিত করা যাবে না। এ নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা বা ভোটের আস্থা নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি এদেশে এখন আর কোনো ‘নীতি’ নয়, নয় দেশসেবা, সমাজসেবা। সত্য হচ্ছে বর্তমান যুগে রাজনীতি একটা যৌথ প্রচেষ্টা, কৌশল, লাভজনক মিথ্যা বলা এবং টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ব্যবসা। দেশে লুটপাট ও ক্ষমতা খাটানোর একমাত্র সুযোগ হয়ে উঠেছে রাজনীতির পেশা ও রাজনৈতিক আনুগত্য। তাই নির্বাচনে জিততে এত আগ্রহ। 

বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করছে, এই সরকারের কাছে সাধারণ মানুষ নিষ্পেষিত, উপেক্ষিত, বঞ্চিত, নিগৃহীত। নির্বাক, নিস্তব্ধ। বেঁচে থাকার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কৈফিয়ত চাওয়ারও কেউ নেই। রাষ্ট্র নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। সরকারের অপকর্ম পুরো বিশ্বের কাছে দেশের মর্যাদাকে হেয় প্রতিপন্ন করছে, আমাদের ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, উগান্ডার মতো দেশের কাতারে ঠেলে দিচ্ছে। এবার যেভাবে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের আয়োজন চলছে, তাতে দেশ সবদিক দিয়েই ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়বে। 

সূত্র মতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সরকার ও সরকারপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচনমুখী। এদিকে নির্বাচন বিবাদ নিয়ে এখনো সংলাপের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ বলছে, সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে কিনা সরকারের কাছে সেটিই বিবেচ্য। সরকারের দায়িত্ব সংবিধান রক্ষা করা, আর নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচনের তফসিল দেওয়া। কিন্তু রাজনৈতিক সমঝোতা না করে সংবিধান ও কমিশনের তফসিল অনুযায়ী যদি নির্বাচন হয়, সেটি নিশ্চিতভাবেই আবারও একটি একতরফা নির্বাচনই হবে। সরকার জেনে-বুঝেই আবারও একটি একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের সবচেয়ে বড় অংশীদার হচ্ছে রাজনৈতিক দল। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক বা পারস্পরিক দায়িত্বের বিষয়গুলো সংবিধানে বা আইনে লেখা নেই। আইনে না থাকলেও রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে কার্যত বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। নির্বাচন তো শুধু পুলিশী প্রহরায় ভোটাভুটি নয়। নির্বাচনে কতটি দল অংশগ্রহণ করল, তার চেয়ে বড় বিষয় হলো কারা অংশগ্রহণ করল। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মূল রাজনৈতিক দল বিশেষ করে সরকার ও বিরোধী দলের অংশগ্রহণ। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনটি প্রশ্নবিদ্ধ কারণ, সে নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করেনি। ঠিক একই যুক্তিতে এবারও প্রধান বিরোধী দল যদি নির্বাচনে না আসে তবে সে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যাবে। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন যে কারণে প্রশ্নবিদ্ধ, ঠিক একই কারণে ২০১৪ সালের নির্বাচনও প্রশ্নবিদ্ধ। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি দেশের ভোটাররা নির্বাচনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে পারল কিনা সেটিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। ভোটের দিন খুব সুষ্ঠু পরিবেশ, ভোটারদের দীর্ঘ লাইন-কিন্তু ভোটাররা ভোট দিতে পারল না-একে কি সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যায়? এমন নির্বাচনের নজিরও কি আমাদের নেই? কাজেই, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পূর্বশর্ত হলো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দল ও জনগণ অংশগ্রহণ করতে পারে। 

নির্বাচন পর্যবেক্ষক আইনজীবী এরশাদুল আলম প্রিন্স বলেছেন, একটি প্রকৃত অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে যে উৎসাহ-উদ্দীপনাপূর্ণ পরিবেশ থাকে তা এখন নেই। তবে, একেবারেই যে নেই তাও নয়। সরকারি দলের একতরফা আনন্দ ও উৎসাহের কমতি নেই। এবার নির্বাচন কমিশন সে একতরফা উদযাপনে শরিক হলো। মনোনয়ন ফরম বিক্রি নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের যে শোডাউন গণমাধ্যমে প্রকাশ পেল, কমিশন সে ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিশাল মিছিল নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে মনোনয়ন কেনাবেচার হিড়িক কমিশনের নজরে পড়েনি। 

সাবেক কূটনীতিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক এম হুমায়ুন কবির বলেন, আমার মনে হয় একটা অসম্পূর্ণ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি আমরা। বিএনপির মতো একটা বড় দল এবং তাদের সঙ্গে অন্য আরও যেসব দল আছে, তারাও যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, তাহলে নির্বাচনের খাতিরে একটা নির্বাচন হবে। কিন্তু এতে সংকট উত্তরণের পথ হিসাবে নির্বাচনের যে গুরুত্ব, তা কতটা অর্জিত হবে, সেই প্রশ্নটা থেকেই যাবে। সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কথাবার্তা হচ্ছে, সেগুলোতেও কিন্তু নির্বাচনের গুরুত্ব আরও বেশি হালকা হয়ে যাচ্ছে। যেমন, এ নির্বাচনে ডামি ক্যান্ডিডেট রাখা যেতে পারে বলা হচ্ছে বা যেসব দলকে নতুনভাবে আমরা আবির্ভূত হতে দেখছি, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রেও যে ধরনের আলোচনা পত্র-পত্রিকায় আসছে, তাতে করে নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে রাজনৈতিক সংকট আছে, সেই সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে এ নির্বাচন খুব একটা অর্থবহ অবদান রাখবে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে না। যদি তা না হয়, সেক্ষেত্রে যে আশঙ্কাটা অনেকেই করছেন সেটা হলো, আমাদের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট দীর্ঘায়িত হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অবস্থা যদি চলতে থাকে, তাহলে তার একটা অন্য ফলাফল বা প্রতিক্রিয়াও খুব শিগগিরই দেখা যাবে। যদি রাজনৈতিক অবস্থার উত্তরণ না ঘটে, তাহলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়ার আশঙ্কাও করছেন সবাই। এছাড়া সামাজিকভাবে দেশের যে অগ্রগতিগুলো অর্জন হয়েছে গত কয়েক দশকে, সেই জায়গাগুলোতেও এক ধরনের জটিলতার আশঙ্কা থেকে যাবে। তারা বলছেন, দেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ৫০-৫২ বছর ধরে সম্পর্ক বজায় রেখে যে ধরনের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে এবং যে ধরনের সুযোগ-সুবিধাগুলো পাচ্ছে, এখন সেই জায়গাগুলোতেও খুব অস্বস্তিদায়ক অবস্থায় পড়তে হবে। একইসাথে বিভিন্ন স্তরের বৈশ্বিক যোগাযোগ থেকে দেশের বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেবে। সর্বোপরি দেশ বহুমুখী সংকটের মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্ষমতাসীনদের উচিত রাজনৈতিক দলগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে একটা সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য, জনগণের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করা। তাহলে এর মাধ্যমে যে শুধু রাজনৈতিক সংকট থেকেই দেশ বের হবে তা নয়, দেশের অর্থনীতিতেও যে গতি আছে, সেটাও চালু রাখা সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারো একতরফা নির্বাচন হলে শুধু পশ্চিমা মহল থেকে কী ঘটতে পারে তা নয়, জাতীয়ভাবেও অর্থাৎ রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক জীবনে এর কী প্রভাব পড়বে, এর ভেতর দিয়ে ঠিক কী ধরনের রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে দেশ যাবে সেটি নিয়েই সবাই শংকিত। 

জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের হিসাব অনুযায়ী, নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৯টি দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। এদের মধ্যে ১৯টি দল ৫০টির কম আসনে তাদের দলীয় প্রার্থী দিয়েছে। অপরদিকে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থার দাবিতে মাঠের বিরোধীদল বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বয়কট করেছে। আর বিএনপির হিসাবে, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মোট ৬০টি দল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সর্ববৃহৎ দল বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর অংশগ্রহণ ছাড়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যে অংশগ্রহণমূলক হবে না সেটি নিশ্চিত। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল অলি আহমদ বীরবিক্রম (অব.) বলেছেন, বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে বাদ দিয়ে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণ ছাড়া যেভাবে একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে দেশ, তাতে বিরাজমান রাজনৈতিক সংকট আরও তীব্র হবে।

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার লক্ষণ দেখছে না ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সম্প্রতি টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে ও পরের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। পর্যবেক্ষণে আমাদের ধারণা হয়েছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ বলতে যা বোঝায়, তা আমরা এবারও দেখতে পাচ্ছি না। তিনি আরও বলেছেন, হয়তো এ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে ক্ষমতায় কারা অধিষ্ঠিত থাকবেন, সেটিও নির্ধারণ করার সুযোগ হবে কিন্তু সত্যিকার অর্থে জনগণের ভাটের অধিকারের যে নির্বাচন, সেটি নিশ্চিত করা যাবে না। এ নির্বাচনের ওপর জনগণের আস্থা বা ভোটের ওপর জনগণের আস্থা নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে।

জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) চায় বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচন হোক শান্তিপূর্ণ ও সবার অংশগ্রহণমূলক। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, ইইউ গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন দেখতে চায়। যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেছেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে উৎসাহিত করে, যাতে বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশী বিদেশীদের এমন বক্তব্যকে পাশ কাটিয়ে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন যে দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না সেটি বুঝা যাচ্ছে।  

কাউন্সিল ফর ন্যাশনাল এজেন্ডা (সিএনএ), ফেমা’র সাবেক দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষক বোরহানউদ্দীন ইউসুফ বলেছেন, ‘ভালো’ নির্বাচনের জন্য কী করতে হবে? প্রধান বিরোধী পক্ষের দাবি একতরফাভাবে বাতিল করা সাংবিধানিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরায় বহাল করা। এটি হচ্ছে সহজ ও স্বাভাবিক পথ। ‘ভালো’ নির্বাচনের জন্য এর বাইরে বিকল্প পথ হলো সমঝোতার মাধ্যমে অন্তর্র্বতীকালীন জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। এর বাইরে কিছু চিন্তা করতে হলে উভয় পক্ষকে বসতে হবে উদার মানসিকতা নিয়ে। 

https://www.dailysangram.info/post/543100