৯ মে ২০১৭, মঙ্গলবার, ৯:১৮

দশ মাসে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ পিছিয়ে

চলতি অর্থবছরের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এপ্রিল মাসে পণ্য রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছে ২৭৭ কোটি ৫৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২২ হাজার ৫৬৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা, যা এ সময়ের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৮২ শতাংশ কম। অর্থ বছরের দশ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। গত এপ্রিল মাসে ৩৮৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মে মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এপ্রিল মাসে পণ্য রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছিল ২৬৮ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়েছে।
বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বাড়লেও গত মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৭৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মার্চ মাসে পণ্য রপ্তানিতে মোট আয় হয়েছিল ৩১০ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২৪ হাজার ৮৯৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
মে মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সব ধরনের পণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছিল মোট ৩ হাজার ৪২৫ কোটি ৭১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাস অর্থাৎ জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ হাজার ৯৯৯ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৮৭২ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ কম।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসের পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবারের রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ হাজার ৭৬৩ কোটি ৭২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মেয়াদে তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২ হাজার ৩১৩ কোটি ৭৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এ খাতের রপ্তানি আয় আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে নিটওয়্যার খাতের পণ্য রপ্তানিতে ১ হাজার ১২৫ কোটি ৪১ লাখ ৭০ হাজার এবং ওভেন গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানিতে ১ হাজার ১৮৮ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
এছাড়া বছরের ব্যবধানে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানি আয় ৩ দশমিক ১০ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বাড়ার তালিকায় রয়েছে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, হোম টেক্সটাইল পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, রাবার, প্লাস্টিক পণ্য, কৃষি পণ্য, ক্যামিকেল পণ্য ইত্যাদি।

http://www.dailysangram.com/post/283117-