৭ ডিসেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৬:৫৭

অনিশ্চয়তায় রফতানি বাণিজ্য

 

ডলার সংকটের মধ্যে দেশের শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিদেশে পণ্য রফতানি নিয়ে উৎকন্ঠা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। ভারত ও চীন থেকে বাংলাদেশ আমদানি করলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কাডানা, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানি করে। প্রথম দিকে শুধু তৈরি পোশাক রফতানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হলেও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে একই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। ফলে রফতানিমুখী পণ্য উৎপাদনকারী শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম আশঙ্কার মধ্যে পড়ে গেছেন। শুধু শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরাই নয়, পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিবিদ, বিজ্ঞজনেরাও শঙ্কিত। কারণ গার্মেন্টস শিল্পের প্রায় ৪০ লাখ কর্মীসহ অন্যান্য রফতানিমুখী পণ্য তৈরির সঙ্গে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ লাখ শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত। রফতানি নিষেধাজ্ঞায় পড়লে ওই সব মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। এতে করে বেকারত্ব বাড়বে, সামাজে বিশঙ্খলার সৃষ্টি হবে এবং অপরাধ-অনৈতিকতার সৃষ্টি হবে।

 

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, একজন বায়ার (ক্রেতা) ইতোমধ্যেই তাদের নতুন এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট)-তে এমন একটি ধারা যুক্ত করেছে যে, বাংলাদেশ যদি কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়, তাহলে তারা বাংলাদেশ থেকে পণ্য নেবে না; বা যদি পণ্য চালানের (জাহাজে তুলে দেয়া) পরে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হয়, তবে তারা ওই পণ্যের জন্য পেমেন্ট করতে সক্ষম হবে না।

গত রোববার নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, দেশের বাণিজ্যের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা এলে তা অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা দেবে। ব্যক্তি ও কোনো সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞায় কিছু আসে যায় না। কিন্তু বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য বড় জিনিস। কারণ এখানে একটাই মাত্র পণ্য। সেটার ওপর বিধিনিষেধ এলে অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা আসবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ‘নতুন শ্রমনীতি’ কার্যকর হলে ‘বাংলাদেশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা’ শঙ্কা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক মূল্যায়ন রিপোর্টের পর তৈরি পোশাক মালিকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। ২০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে রাজনৈতিক কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। অতঃপর পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন স্বভাবসুলভ বক্তব্য দিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কথায় সে দেশের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করবে না।’ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম দাবি করেন ‘যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেবে না।’ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘শ্রম আইনের সংশোধন ও বেজা আইনের মাধ্যমে শ্রম অধিকারের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশে। শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে এই অগ্রগতি জানানো হবে। শ্রম ইস্যুতে বাংলাদেশে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।’ সরকারের এই দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যে কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য দিতে অভ্যস্ত তার প্রমাণ হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে। গত ৪ ডিসেম্বর ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি সংবিধানের বাধ্যবাধকতার বাইরে যেতে পারবেন না। দেশি-বিদেশি নানা চাপ, ষড়যন্ত্রের মধ্যে তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। নির্বাচন দেশে যথা সময়ে হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না। ফলে অর্থনৈতিকসহ নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। কিন্তু তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা। তিনি পিছপা হবেন না। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর ব্যবসায়ী মহলেও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর রফতানিমুখী ব্যবসা ও শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করে। গতকাল বুধবার চট্টগ্রামে বিজিএম-এর কার্যালয়ে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, একজন বিদেশি বায়ার (ক্রেতা) ইতোমধ্যেই তাদের নতুন এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট)-তে এমন একটি ধারা যুক্ত করেছে যে, বাংলাদেশ যদি কোনো নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়, তাহলে তারা পণ্য নেবে না; বা যদি পণ্য চালানের পরে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়িত হয়, তবে তারা ওই পণ্যের জন্য পেমেন্ট করতে সক্ষম হবে না।এই শর্ত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের জন্য একটি নেতিবাচক ধাক্কা; যা স্থানীয় রপ্তানিকারকদের অনিশ্চয়তা এবং সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে পোশাক উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যেই কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন এবং ক্রেতাদের থেকে উদ্ভূত সর্বশেষ এই শর্ত তাদেরকে আরও শঙ্কিত করে তুলেছে। বিশ্বব্যাপী পোশাক ব্যবসা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায় রয়েছে ঠিক তখনই এই সমস্যা হাজির হয়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এটি পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়। এখন ব্যাংকগুলো এ ধরনের মাস্টার এলসি বা রপ্তানি আদেশের বিরুদ্ধে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি খুলতে ইচ্ছুক নাও হতে পারে। গত ব্ল্যাক ফ্রাইডে, থ্যাংকসগিভিং এবং সাইবার মানডেতে যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রি বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সময়ে পোশাক পণ্যের বিক্রিতে একটি বড় উল্লম্ফন দেখা গিয়েছিল। পোশাক রপ্তানিকারকরা যদি আগামী ছয় মাস টিকে থাকতে পারেন, তাহলে সামনের দিনে তারা আরো শক্তি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, দেশে রপ্তানি আয়ের অর্ধেকের বেশি আসছে ৫ দেশ থেকে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ফ্রান্স বাংলাদেশ থেকে ২৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনেছে। দেশের রপ্তানি বাজার উন্নত দেশের গুঁটিকয়েক বাজারের ওপরই নির্ভরশীল হয়ে আছে। বাংলাদেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ নিয়ে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরে জার্মানি থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ১২ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং যুক্তরাজ্য থেকে আয় হয়েছে ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এ ছাড়াও, স্পেন ও ফ্রান্স থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে যথাক্রমে ৬ দশমিক ৬২ ও ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। গত এক দশক ধরে এই ৫ দেশে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়ে আসছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) থেকে প্রকাশিত চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্ববাজারে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি লক্ষ্যের চেয়ে ৯ দশমিক ২৩ শতাংশ কমেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রফতানি হয়েছে ২ হাজার ২২৩ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ডলারের পণ্য। যদিও লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ হাজার ৪৪৯ কোটি ৩০ লাখ ডলারের পণ্য রফতানির। আর গত অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে পণ্য রফতানি হয়েছিল ২ হাজার ১৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার ডলারের।

এক সময় পাট বাংলাদেশের রফতানিতে প্রধান পণ্য ছিল। এখন সেটা নেই। তৈরি পোশাক এখন প্রধান রফতানি পণ্য। তবে পরিসংখ্যানে জানা যায়, অর্থমূল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ থেকে রফতানি হওয়া শীর্ষ পাঁচ পণ্য হলো তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং হোমটেক্সটাইল। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশের মোট রফতানির ৯১ দশমিক ৫ শতাংশজুড়েই ছিল এ পাঁচ পণ্য। এর মধ্যে আগের অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে পোশাক রফতানি বেড়েছে মাত্র ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি ২০ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমেছে। কৃষিপণ্যের রফতানি কমেছে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি কমেছে বা ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ। হোমটেক্সটাইল পণ্যের রফতানি কমেছে ৪২ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ হিসেবে শীর্ষ পাঁচ পণ্যের মধ্যে পোশাক ছাড়া বাকি চার পণ্যের রফতানিতেই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতিকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সাবেক সভাপতি ও প্লামি ফ্যাশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল হক বলেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে আলোচনাটা হচ্ছে, এটা আমাদের জন্য কোন সুখকর কোনো সংবাদ নয়। যে ধরনের নিষেধাজ্ঞা হোক না কেন। সেটা যদি তারা ডিউটি বাড়িয়ে দেয় বা অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করে তা তো আমাদের ব্যবসার জন্য খারাপই হবে। ফলে এই পরিস্থিতিতে আমরা আসলে এক ধরনের অস্বস্তি বা অস্থিরতার মধ্যে আছি।

সোয়েটার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হান্নান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম শামসুদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এখন পরিস্থিতির শিকার। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে সেটা তো রাজনৈতিক কারণে। আমরা আসলে রাজনৈতিক কারণে ভিকটিম হয়ে যাচ্ছি। গার্মেন্টস সেক্টরে ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এর ৭০ শতাংশ নারী। এর মধ্যে আবার ১০ লাখেরও বেশি নারী শ্রমিকের বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এরা যাবে কোথায়?

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রফতানি হয় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ, অষ্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ কয়েকটি দেশে। বাংলাদেশ কার্যত গার্মেন্টস সেক্টরে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এছাড়াও চামড়াজাত পণ্য, কৃষিপণ্য, পাট দিয়ে নানা পণ্য তৈরিতে আরো কয়েক লাখ শ্রমিক কাজ করেন। যেসব জায়গায় গার্মেন্টস রয়েছে সে অঞ্চলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য গড়ে উঠেছে হাট-বাজার, নানা দোকান, বাসাবাড়ি সেগুলোতেও অনেক কর্মসংস্থান হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিলে একই পথ অনুসরণ করবে কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ দেশ, অষ্ট্রেলিয়া ও জাপান। এতে করে কোটি শ্রমিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে যাবেন।

গতকালও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মার্কিনীদের সঙ্গে বাণিজ্যে এখনও কোনো প্রভাব পড়েনি, তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো অনুসরণ করা হচ্ছে। অথচ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এক ধরনের চাপ রয়েছে বাংলাদেশের ওপর। সন্তুষ্ট না হলে ‘বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা’ আসতে পারে।

https://dailyinqilab.com/national/article/622146