৩ ডিসেম্বর ২০২৩, রবিবার, ৯:০৪

অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় জাতিসঙ্ঘ

অংশীদারদের সম্ভব সবকিছু করা উচিত : মুখপাত্র

 

বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় জাতিসঙ্ঘ। এ জন্য জনগণ, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ নির্বাচনের সব অংশীদারদের সম্ভব সব কিছু করা উচিত।

গতকাল শনিবার নিউ ইয়র্কে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারেক এ সব কথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রায় তিন হাজার প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী মাসে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে- এটা বলার জন্য জাতিসঙ্ঘের কাছে এই সংখ্যাটি কি যথেষ্ট?

মুখপাত্রকে আরো প্রশ্ন করা হয়, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ সরকার পরিবর্তনে আগ্রহী। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল অভিযোগ করছে, বিএনপিসহ কিছু দল গত ২৮ অক্টোবর থেকে হরতাল, অবরোধের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ ধরনের বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যাপারে জাতিসঙ্ঘের মতামত কি? জবাবে ডুজারেক বলেন, সরকার, বিরোধীদল, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে এমন একটি নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে যেখানে জনগণ তাদের মতামত মুক্তভাবে প্রকাশ করতে পারবে, ভোটাররা অবাধে ভোট দিতে পারবে এবং নির্বাচনটা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ হবে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক সুশাসনের প্রতি সম্মান জানাবে : জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ডেনিস ফ্রান্সিস আশা করেন, বাংলাদেশ তাদের দীর্ঘদিনের ইতিহাস অনুযায়ী গণতান্ত্রিক সুশাসনের প্রতি সম্মান জানাবে।

গত শুক্রবার নিউ ইয়র্কে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশকে মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সহায়তা করার জন্য জাতিসঙ্ঘ কী উদ্যোগ নিচ্ছে?

জবাবে ফ্রান্সিস বলেন, আমরা আশা করব বাংলাদেশ তাদের দীর্ঘদিনের গণতান্ত্রিক সুশাসনের বলিষ্ঠ ইতিহাসের প্রতি সম্মান জানাবে এবং আসন্ন নির্বাচনটি মুক্ত ও নিরপেক্ষ হবে। সে অনুযায়ী এটিকে মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়া যাবে। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থকে মাথায় রেখে এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, নিশ্চিতভাবেই এতে বাংলাদেশ আরো সম্ভাবনাময় হয়ে ওঠবে এবং দেশটি জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখতে ও আরো সামনে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
ডেনিস ফ্রান্সিস আরো বলেন, গণতন্ত্র একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি, যার ওপর নির্ভর করে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। বাংলাদেশকে এজেন্ডা ২০৩০ অনুযায়ী টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে।

বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের জন্য শুভ কামনা জানান জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট।