চলতি বছরের ২৫শে নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৪৪৯ শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে এবং একই সময়ে ধর্ষণের শিকার হয় ২৯২ জন শিশু। গতকাল বাংলাদেশের শিশু অধিকার পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে আয়োজিত শিশু অধিকার সংলাপে এসব তথ্য জানানো হয়। এই সংলাপের আয়োজন করে সমন্বয়কারী কয়েকটি সংস্থা। সংলাপে গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কো-অর্ডিনেটর তামান্না হক রীতি। তিনি বলেন, সারা দেশে ২০২০ সালে ১ হাজার ৭১৮ জন, ২০২১ সালে ১ হাজার ৪২৬ জন, ২০২২ সালে ১ হাজার ৮৮ জন এবং ২০২৩ সালে ২৫শে নভেম্বর পর্যন্ত ৯৭১ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ২০২২ সালে ৫১৬ জন শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। এ বছর ২৫শে নভেম্বর পর্যন্ত ৪৪৯ জন শিশু হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ বছর ৮১ জন শিশু শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে বখাটেরা উত্ত্যক্ত করে ৫৬ শিশুকে। গতবছর সেই সংখ্যা ছিল ৬৬টি।
শিশু ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি জানান, ২০২০ সালে ১ হাজার ১৮ জন, ২০২১ সালে ৭৭৪ জন, ২০২২ সালে ৫৬১ জন এবং ২০২৩ সালের ২৫শে নভেম্বর পর্যন্ত ২৯২ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০২৩ সালে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ১৯ জন। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে ৩ জন।
২০২৩ সালে এ পর্যন্ত শিক্ষকের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৩৯ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষকের কাছে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ২৮ জন শিশু। সংলাপে আরও বলা হয়, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এখনো বাল্যবিয়ের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। যা মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। দেশের ৫১ শতাংশ কিশোরী বাল্যবিয়ের শিকার হচ্ছে। এবং তাদের ২৭ শতাংশের বিয়ে হচ্ছে ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই। বিভিন্ন দৈনিক সংবাদপত্রের পাওয়া তথ্যসহ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যানুসন্ধান, আসক-এর হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরাম এবং কম্যুনিটিভিত্তিক সংগঠন কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য ও সমন্বয়কারীদের নিজস্ব পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে আসে।
