২২ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৭:২৮

বিপজ্জনক নগরজীবন

 

নাগরিক সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক দশক আগে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগ করা হয়েছিল। এক দশক পর দেখা যাচ্ছে নাগরিক সেবার আরো অবনতি ঘটেছে। ঢাকা সিটিকে যারা বসবাস করেন সেই নাগরিকরা নিয়মিত কর পরিশোধ করলেও সেবা বলতে তেমন কিছুই পাচ্ছেন না। প্রতিদিন এসিড মশা বাহিত ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে। যত্রতত্র আবর্জনা, উন্নয়নের নামে রাস্তা খোড়াখুড়ি হচ্ছে কিন্তু সময় মতো তা ঠিক করা হচ্ছে না। হালে সিটি করপোরেশনের মেয়রদের ‘নগর পিতা’ হিসেবে অবিহিত করা হয়। সে হিসেবে রাজধানী ঢাকা মহানগরীতে দু’জন নগরপিতা। কিন্তু ঢাকা মহানগর যেন পিতৃহীন অবস্থায় ভাগাড়ের শহরে রূপ লাভ করেছে।

 

রাজধানী ঢাকার নাগরিক সমস্যা এখন প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে। চারশ’ বছরের পুরনো এবং ঘনবসতিপূর্ণ এই নগরীতে কোনো ক্ষেত্রেই স্বস্তি নেই নগরবাসীর। নানা সমস্যায় জর্জরিত মেনে নিয়েই বসবাস করতে হয় এই ঢাকায়। প্রতিদিনের চলার পথে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখী হতে হয় নগরবাসীকে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, যানজট, নগরের রাস্তা-ঘাটের নাজুক অবস্থা, ডেঙ্গু মশার আক্রমণ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বৃষ্টি হলেই পানিবদ্ধতা, ফুটপাথ দখল, ড্রেন অপরিষ্কার, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, ম্যানহোলের ঢাকনা খোলা, উন্নয়ন কাজে ধীরগতি, সেবা খাতে সমন্বয়হীনতা, কোনো কোনো এলাকায় রাস্তার আলোর স্বল্পতাসহ নানা সমস্যা নিয়েই বসবাস করতে হচ্ছে রাজধানীর কর্মব্যস্ত মানুষকে।

অবস্থাটা এমন যে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি কখন থাকবে কখন থাকবে না তা নগরবাসী জানেন না। উন্নয়নের লক্ষ্যে কোনো রাস্তা খোঁড়খুড়ি হলে কতদিনে কাজ শেষ হবে এবং কাজ শেষে কতদিন পর সড়ক মেরামত করা হবে কেউ জানে না। আবার ঘর থেকে বের হয়ে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছিতে পারবেন কিনা সে অনিশ্চয়তা নিয়েই বের হতে হবে। আবার পুলিশ বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নামে কোথায় কখন গতিরোধ করে তল্লাশী করে তা বোঝার উপায় নেই।

ঢাকার অধিকাংশ এলাকার সড়কের অবস্থা নাজুক। এসব সড়কের কারণে প্রতিদিনই দুর্ভোগে পড়তে হয় নগরবাসীকে। বছরের পর বছর এসব এলাকার মানুষ কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। সঠিকভাবে সড়কের উন্নয়ন করা হলে দীর্ঘদিন ভালো থাকার কথা। কিন্তু এখন দেড় থেকে দুই বছর না যেতেই ভালো সড়কের অবস্থাও খারাপ হচ্ছে। যখন-তখন বিভিন্ন সংস্থা অপরিকল্পিতভাবে সড়ক কাটছে। সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অপরিকল্পিত রাস্তা কাটার কারণেও সড়কে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসসিসি সূত্র বলছে, বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস দায়িত্ব নেয়ার পর গত তিন বছরে সড়ক সংস্কার ও উন্নয়নে খরচ হয়েছে ২৪৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যয় হয়েছে ১১১ কোটি ১২ লাখ টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে সড়ক সংস্কারে ব্যয় হয় ১০৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরে সড়কের উন্নয়নে ২৬৩ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি।

ডিএনসিসি সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রথমবার ২০১৯ সালে মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছিলেন আতিকুল ইসলাম। পরের বছর ২০২০ সালে আবার তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। তার চার বছরের মেয়াদে সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতে মোট ব্যয় হয়েছে ৮৫৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪৩ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৬৪ কোটি এবং সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে অঞ্চলভিত্তিক সড়ক, ফুটপাত, নালাসংস্কার ও নির্মাণকাজে। আর চলতি অর্থবছরে এই খাতে আরও ৬৮২ কোটি টাকা ব্যয়ের বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকা-কাঁচপুর আট লেনের মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কটির কার্পেটিং, পিচ, পাথর, সুরকি উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন মহাসড়কের অর্ধেক দখল করে মাছ ও কাঁচা বাজারের দোকান বসানো হয়। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী আড়তের সামনের অংশ পুরোটাই পিকআপ ও পণ্যবাহী ট্রাকের অবৈধ পার্কিংয়ে দখল থাকে। তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই সড়কে যানজট লেগেই থাকে। বেহাল সড়কের কারণে এক মিনিটের পথ অতিক্রম করতে এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা তৈরি হয়েছে যাত্রাবাড়ী কাঁচা বাজার আড়তের সামনের অংশে। সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে প্রায় সময় পণ্যবাহী ট্রাক, লরি ও পিকআপ উল্টে দুর্ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানান।

বাবুবাজার সেতুর নিচের এই সড়কে রিকশা-মোটরসাইকেল চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। গেন্ডারিয়া সড়কও খানাখন্দে ভরা। দয়াগঞ্জ মোড় থোকে জুরাইন রেলগেট পর্যন্ত গেন্ডারিয়া নতুন সড়কে সর্বশেষ সংস্কারকাজ করা হয়েছিল ২০২০ সালে। কাজ শেষ হওয়ার কিছুদিন পরই সড়কের এক পাশ পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের অধীনে চলে যায়। বর্তমান সড়কের এক পাশ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এই অংশের প্রায় পুরোটাই ব্যবহারের অযোগ্য বলে বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা বলছেন।

টিকাটুলী এলাকার কে এম দাস লেন এলাকার মূল সড়কের প্রায় পুরোটা খানাখন্দে ভরা। পাশের গোপীবাগ এলাকার বিভিন্ন সড়কের একই অবস্থা। খানাখন্দে ভরা সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে মানুষকে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা হলের সামনের সড়কের অবস্থা বেহাল। যাত্রাবাড়ী এলাকার পশ্চিশ মাতুয়াইল হাজী মমিন খান রোড থেকে খানকা শরীফ পর্যন্ত মেরামতের কাজ শুরু করলেও দীর্ঘদিনেও শেষ করা হচ্ছে না। একই এলাকার গোবিন্দপুর মোখলেছ মাতবর রোডে খানাখন্দ ও বিভিন্ন জায়গায় গর্ত রয়েছে। কামরাঙ্গীরচরের কয়েকটি এলাকার রাস্তা ভাঙা থাকলেও কাজ হচ্ছে না। চকবাজারের ওয়াটার ওয়ার্কস রোড, নাজিমুদ্দিন রোড ও বংশালের বেগমবাজার এলাকার সড়কের অবস্থা খারাপ।

পুরান ঢাকার মিটফোর্ট হাসপাতাল রোড এলাকায় রাস্তা খানা খন্দ। প্রতিদিন হাজারো মানুষকে এই সড়কে চলতে হয় ঝুঁকি নিয়ে। নয়াবাজার এলাকার কয়েকটি সড়কের পাশে রয়েছে ময়লার স্তুপ। এই এলাকার আরো কিছু সড়কে রয়েছে খানাখন্দ। ডিএনসিসির নতুন ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে সড়কের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ উত্তরখান, দক্ষিণখান ও হরিরামপুর (তুরাগ) এলাকায়। ওই তিন এলাকার প্রধান রাস্তাগুলোর অবস্থাও বেহাল।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের বলেন, ডিএসসিসি এলাকার বিভিন্ন অলিগলির রাস্তা দেখা যায় কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু রাস্তা কাটিংয়ের কারণে ফিনিসিং করা হয়নি। আর নতুন ওয়ার্ডগুলোতে রাস্তার কাজ পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছরই প্রকল্প দেয়া হচ্ছে এবং এসব প্রকল্পের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বড় রাস্তা ও গলির রাস্তার কাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে স্থানীয়দের চলাফেরা সহজ হবে।

নগরবাসীর আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমূল পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে দায়িত্বে নেয়ার পরপরই উদ্যোগ নেন দুই মেয়র। এজন্য নগরীর প্রতিটি এলাকায় স্থাপন করেন এসটিএস। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে এসটিএসের বাইরেও ফেলা হয় ময়লা। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ফ্লাইওভারের নিচেও স্থাপন করা হয় ময়লা ফেলার এসটিএস। তার পরও কিছু এলাকায় দেখা যায় রাস্তার উপর ফেলা হয় গৃহস্থালী ময়লা। এতে রাস্তা দিয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

জনভোগান্তির আরেক নাম রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি। বছরজুড়েই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক, অলি-গলি, ফুটপাথে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। গর্তের পাশেই মাটি তুলে রাখা হয়। যা শুকিয়ে ধুলোবালির সৃষ্টি হয়। মানুষের চোখেমুখে পড়ে, নোংরা হয় পরনের কাপড়চোপড়। ম্যানহোলের ঢাকনাও খোলা থাকে। নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না ড্রেনগুলোও। পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো আতিকুল ইসলাম বলেন, রোড ক্র্যাশ একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ যা আমাদের সকলকে প্রভাবিত করে। ঢাকায় ছোট গাড়ির আধিক্য যানজটের অন্যতম কারণ। আবার যানজট হতে মুক্ত হলে বেপরোয়া গতি লক্ষ্য করা যায়। যান্ত্রিক যানগুলো জেব্রা ক্রসিং ও সিগনালে সঠিকভাবে থামাকে পথচারীদের সড়ক পারাপারে ঝুঁকি কমে আসবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সড়কসমূহকে নিরাপদ করার জন্য আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটিসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি। ফুটপাথ নির্মাণ, জেব্রা ক্রসিং অঙ্কনসহ অবকাঠামোগত উন্নতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সমন্বয় এবং জনসচেতনতামূলক প্রচারণার পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এখন যেসব সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলো টেকসই হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিতে পিচঢালাই উঠছে না, সড়কে গর্তও হচ্ছে না। আগে তো রাস্তা আরও কম টেকসই হতো।

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রফেসর শামসুল হক বলেন, সারা বছর চলাচলযোগ্য রাখতে হলে মানসম্মত সড়ক বানাতে হবে। পাশাপাশি বর্ষায় পানিবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। পিচঢালাই দেওয়া সড়ক যত ভালোভাবেই তৈরি করা হোক না কেন, পানিবদ্ধতা হলে তা টিকিয়ে রাখা কঠিন। বর্ষা হলেই যে পানিবদ্ধতা হয় তা নয়, অনেক সময় ড্রেন উপচে, ম্যানহোল উপচেও সড়কে পানি আসে। গুণগত মান ঠিক না থাকায় অলিগলির রাস্তা টেকে না। আমাদের এখানে প্রথমে রাস্তা বানানো হয়। এরপর নিচে যাওয়ার জন্য রাস্তা কাটা হয়। নিচের কাজ থেকে থাকলে তা শেষ করে ওপরের কাজটা করব। সড়কে কিছুদিন পর কাটাকাটির মানে হলো সঠিক পরিকল্পনার অভাব।

প্রতিদিনই মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে মারা যাচ্ছে একাধিক ব্যক্তি। মশার উপদ্রব বেড়েছে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। কীটতত্ত্ববিদদের দাবি, প্রকৃতপক্ষে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সরকারের হিসাবের দ্বিগুণের বেশি হবে। এছাড়া এখনো প্রতিদিন হাজারো মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে।

নাগরিকদের অভিযোগ, নাগরিক সেবায় সিটি করপোরেশনের যেসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে, তার মধ্যে মশা নিধন অন্যতম। কিন্তু এ কাজটিই ঠিকভাবে করছে না ডিএসসিসি ও ডিএনসিসি। ফলে বছরজুড়ে মশার বিস্তার ঘটছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, মশা নিধনে বছরজুড়েই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা। কিন্তু তারপরও মশা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। আগে শুধু বর্ষা মৌসুমে এডিস মশা জন্মাতো। এখন দেখা যায়, সারা বছরই মানুষের ডেঙ্গু হচ্ছে। আবার শুষ্ক মৌসুমের এডিস মশা বর্ষায় জন্মাচ্ছে। তারপরও এসব বিষয় মাথায় রেখে মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।

ইতোমধ্যে মশা নিধন প্রসঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মশা নিধন নিয়ে ডিএনসিসির আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু এত বড় কার্যক্রম নাগরিকদের সচেতনতা ছাড়া সফল করা সম্ভব নয়। তাই নিয়মিত লার্ভিসাইডিং ও এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান, ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকার মসজিদ ও মাদরাসার এক হাজার ইমাম-খতিব, স্কুল-কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, ছাদবাগানে এডিসের লার্ভা শনাক্তে ড্রোনের ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া মশক নিয়ন্ত্রণে মশার প্রজাতি ও আচরণ নির্ণয় করে সঠিক, কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে গবেষণা চলছে।

https://dailyinqilab.com/national/article/618773