২২ নভেম্বর ২০২৩, বুধবার, ৭:২২

শ্রমিক দমন-পীড়নে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

 

শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের ওপর চলমান দমন-পীড়নে উদ্বেগ প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, আমরা সম্প্রতি ন্যূনতম বেতনের দাবিতে আন্দোলনকারী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নের বৈধ কর্মকাণ্ডকে অপরাধীকরনের নিন্দা জানাই। শ্রমিকরা যাতে সহিংসতা ও দমন-পীড়নের ভীতি ছাড়াই সমাবেশ ও সিবিএ’র অধিকার ভোগ করতে পারে, তা সরকারকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। এটাই আমাদের নীতি। বাংলাদেশ ও বৈশ্বিকভাবে কাজে মাধ্যমে আমরা এসব মৌলিক অধিকারকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গতকাল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার এসব কথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, শ্রমবিষয়ক নতুন নীতি ঘোষণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তারের সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছেন। বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সাম্প্রতিক আন্দোলনে বাংলাদেশে পাঁচজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র কি এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। মুখপাত্র আরো বলেন, গত সপ্তাহে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোরালোভাবে বলেছেন যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার সুরক্ষায় আমরা বিশ্বজুড়ে সরকারগুলো, শ্রমিক, শ্রম অধিকারবিষয়ক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন, নাগরিক সমাজ এবং বেসরকারি খাতের সাথে যুক্ত থাকি। বাংলাদেশ এবং বিশ্বের অন্য যেকোনো স্থানে আমরা সেটাই অব্যাহতভাবে করে যাব।

মিলারকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আরো একটি একপক্ষীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিরোধীদের ওপর ক্র্যাকডাউন চালাচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপের আহ্বান আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনরোধে আপনারা কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

জবাবে মুখপাত্র বলেন, আমরা কোনো দলের পক্ষে অবস্থান নেই না। বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাই তাই চাই। আর তা হলো- শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজ ও অন্য অংশীদারদের সাথে অব্যাহতভাবে যুক্ত থেকে তাদের বাংলাদেশের জনগণের জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাই।

মিলারকে আরো প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ৩০টির বেশি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। কেবল মাত্র বিরোধী বিএনপি বর্জন করছে। বিএনপির বর্জনের সিদ্ধান্ত অংশগ্রহণমূলক ও বৈধ নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্বিগ্ন করে কি না?

জবাবে মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে আমাকে টেনে না আনার অনুরোধ করব। আমি শুধু বলব, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমাদের লক্ষ্য বরাবরই একটাই। আর তা হলো, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/793309