ডলারের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে দেশে ফের ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে চায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এজন্য দাম বৃদ্ধি পর্যালোচনা করতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম মোল্লা চিঠি দিয়েছেন। দেওয়া হয়েছে। বুধবার সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, খোলাবাজারে ডলারের দাম বাড়ায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো দরকার। ভোজ্যতেল আমদানিতে ডলারে মূল্য বর্তমানে ১২২ থেকে ১২৪ টাকা। অথচ সবশেষ যখন ভোজ্যতেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়, তখন মূল্য ধরা হয়েছিল ১১১ টাকা।
তবে বাজার বিশ্লেষকরা জানায়, খোলাবাজারে প্রায় ১০ দিন ধরে ডলার রেট ১২২-১২৪ টাকা উঠেছে। কিন্তু এ অল্প সময়ে বেশি দামে এলসি করে ভোজ্যতেল দেশে আনেনি। কারণ, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানি করে দেশে আনতে এক থেকে দেড় মাসের বেশি সময় লাগে। অথচ কোম্পানিগুলো ডলারের মূল্য চড়া-এমন অজুহাতে এখনই দেশের বাজারে তেলের দাম বাড়াতে যাচ্ছে, যা অযৌক্তিক। তবে যখন বাড়তি ডলারে এলসি করা ভোজ্যতেল দেশে আসবে, তখন দাম বাড়ানো যেতে পারে।
বুধবার এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সূত্র জানায়, ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পর্যালোচনা শেষে কোম্পানিগুলোকে নিয়ে বৈঠক করবে কমিশন। এরপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সর্বশেষ ১৭ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ওই সময় বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর পাম অয়েলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল মন্ত্রণালয়।