ডেঙ্গুতে নভেম্বর মাসেও মৃত্যুর মিছিল। গত দু’সপ্তাহে মারা গেছেন ১৪৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। দেশে এই নিয়ে ডেঙ্গুতে এবছরে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯৬ জনে। একদিনে আরও ১ হাজার ৪৭০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে গ্রামে। মৃত্যুও বেশি গ্রামে। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ১ লাখ ৪ হাজার ২২৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৮১৫ জন।
মৃত ১ হাজার ৪৯৬ জনের মধ্যে নারী ৮৫৩ জন এবং পুরুষ ৬৪৩ জন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৬২৪ জন এবং রাজধানীতে ৮৭২ জন।
ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৪৭০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৩১৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ হাজার ১৫১ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ১ হাজার ৪৭০ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯০৫ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১ হাজার ৫৫৫ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪ হাজার ৩৫০ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০৪ জন এবং নারী ১ লাখ ১৮ হাজার ১৩৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৪১ জন।
অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরে শনাক্ত রোগী ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৬ জন। অক্টোবরে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৭৬৯ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৩৫৯ জন। নভেম্বরের ১৪ দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৩ হাজার ৮৬৭ জন এবং মারা গেছেন ১৪৮ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। বর্তমান রোগীর চেয়ে আরও ১০ গুণ বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।