৭ মে ২০১৭, রবিবার, ১০:২২

নেপথ্যে ৫১ কোটি টাকার টেন্ডার!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারির নেপথ্যে রয়েছে ৫১ কোটি টাকার টেন্ডারবাজি। ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে গত এক মাস ধরে পাহাড়বেষ্টিত সবুজ ক্যাম্পাসটিতে চলছে তুমুল উত্তেজনা।

সূত্র মতে, গত এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনলাইনে ৩টি প্রকল্পের জন্য ৫১ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করে। এই টেন্ডারের কাজ কারা পাবেন তা নিয়ে চলে তুমুল বাকবিতণ্ডা।
ক্যাম্পাসের কলা অনুষদের ঝুপড়ি, শাটল ট্রেন, আবাসিক হল, ডাইনিংসহ সবখানেই ছাত্রলীগের
দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের দেখা গেছে এ নিয়ে আলোচনা করতে। একপর্যায়ে বড় ধরনের সংঘাতে রূপ নেয়।
তুচ্ছ বিষয় নিয়ে নানা ঘটনা ঘটলেও তার পেছনে রয়েছে টেন্ডার পাওয়া-না পাওয়ার হিসাবনিকাশ। গত ৪ঠা মে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালানোর মানে হচ্ছে পুরো টেন্ডারটি নিজেরাই ভাগ করে নেয়া। এর আগে ৯৩ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়েও হয়েছে বড় ধরনের সংঘাত।
তবে সমঝোতা করতে গত শুক্রবার নগরীর একটি কোচিং সেন্টারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতাসহ বর্তমান নেতারা গোপন বৈঠক করেছেন বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে। চবি ছাত্রলীগে এই মুহূর্তে দুটি গ্রুপ সক্রিয়। গত ৩ মাসে ১০টির বেশি হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে।
৫১ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে বর্তমানে চবি ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, আসলে টেন্ডার-ফেন্ডার কিছু না। কিছু লোকজন বাইরে থেকে দলে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। আমাদের কেউ কোনো টাকা পয়সার সঙ্গে জড়িত না।
ক্যাম্পাসের সচেতন মহল জানান, টেন্ডারবাজির ঘটনা নিয়ে রোজরাতে গুলির শব্দ পান আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এক পক্ষ অপর পক্ষকে শক্তির কথা জানান দিচ্ছেন গুলিতে। ইতিমধ্যে পুলিশ আবাসিক হলে রেইড দিয়ে গুলি ও ধারালো অস্ত্র পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।


http://www.mzamin.com/article.php?mzamin=64428&cat=3/