১০ অক্টোবর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৯:০৮

ডেঙ্গুতে প্রাণহানি ১১০০ ছুঁই ছুঁই

একদিনে ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯৬ জনের প্রাণ গেছে ডেঙ্গুতে। অক্টোবর মাসেও ডেঙ্গুর দাপট চলছে। চলতি মাসের আট দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ১০৭ জন। একদিনে আরও ২ হাজার ৬৬০ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে গ্রামে। মৃত্যুও বেশি গ্রামে। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ২ লাখ ২৬ হাজার ২২৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৮৮ হাজার ৮৪৩ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮১ জন।
বিজ্ঞাপন

মৃত ১ হাজার ৯৬ জনের মধ্যে নারী ৬১৭ জন এবং পুরুষ ৪৭৯ জন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৪০৫ জন এবং রাজধানীতে ৬৯১ জন।

ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২ হাজার ৬৬০ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬৪৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ১১ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ২ হাজার ৬৬০ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮২০ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২ হাজার ৭৫৬ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬ হাজার ৬৪ জন। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ২ লাখ ২৬ হাজার ২২৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৯৪ জন এবং নারী ৮৯ হাজার ৩৩০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৩০৮ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরে শনাক্ত রোগী ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৯৬ জন। অক্টোবরের ৯ দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২২ হাজার ৮১৮ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০৭ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। বর্তমানে রোগীর চেয়ে আরও ১০ গুণ বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।

https://mzamin.com/news.php?news=77803