৭ অক্টোবর ২০২৩, শনিবার, ১২:৫৫

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকরা খাদ্য সঙ্কটে

বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকরা খাদ্য সঙ্কটে পড়েছেন। টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল না হওয়ায় সেখানে আটকে আছেন প্রায় দেড় শতাধিক পর্যটক। গত তিন দিনে তারা ফিরতে না পারায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও গতকাল বিকেলে সতর্ক সঙ্কেত তুলে নিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এতে আজ শনিবার জাহাজ চলাচল যদি শুরু হয় তবে ফিরতে পারেন আটকা পড়া পর্যটকরা। আটকে পড়া পর্যটকরা জানান, এখানে নিত্যপণ্যের মধ্যে মাছ-মাংস, বিভিন্ন তরি-তরকারির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে ভাত, ডাল ও শুকনা খাবার পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।

এ দিকে নৌচলাচল বন্ধ থাকায় দ্বীপে নিত্যপণ্য ও খাদ্য সামগ্রী সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে প্রচার পাচ্ছে। খাবার সঙ্কট দূরীকরণে শুক্রবার দুপুরে সার্ভিস বোটে দ্বীপে নিত্যপণ্য পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে আবহাওয়া অধিদফতর কর্তৃক ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত জারির ফলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গোপসাগরে ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত থাকার কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিত্যপণ্য আগের মতো আনা যাচ্ছে না। টানা তিনদিন মালামাল কম আসায় দ্বীপে খাদ্যসামগ্রীর কিছুটা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তিনি আেরা জানান, সাগর উত্তাল থাকায় মাছ ধরাও বন্ধ। তবে সতর্ক সঙ্কেত কেটে গেলে এ সমস্যার সমাধান হবে। শিক্ষার্থীসহ যেসব পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন তারা সমুদ্রে গোসল এবং দ্বীপের বিভিন্ন সৌন্দর্য ঘুরে দেখছেন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, আবহাওয়া অধিদফতর কর্তৃক জারিকৃত ৩ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত কেটে গেলে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেয়ার কথা ছিল। শুক্রবার বিকেলে সতর্ক সঙ্কেত তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু জাহাজ পাঠানো যায়নি। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে শনিবার জাহাজ গিয়ে ফেরত আনবে দ্বীপে আটকা পড়াদের।

দ্বীপের বাসিন্দা ও পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে নিত্যপণ্য সামগ্রী নিয়ে যেতে সার্ভিস ট্রলারে মালামাল পরিবহনের নির্দেশনা দিয়েছিল শুক্রবার দুপুরে। বিকেলেই পণ্যসামগ্রী দ্বীপে যাচ্ছে। ইউএনও আরো বলেন, নিত্যপণ্যবাহী বোটগুলোতে আকার ভেদে মাঝি ও তার সহকারীসহ মোট ৫ থেকে ৬ জন পরিবহন করতে পারবে। কিন্তু সতর্ক সঙ্কেত চলাকালীন সময়ে যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। তবে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি হলে রোগী এবং তার সাথে দুইজন স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে চলাচল করা যাবে। সতর্ক সঙ্কেত চলাকালীন সময়ে কোনো স্পিড বোট চলাচল করবে না। গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে পর্যটন মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ পর্যন্ত দুইবার জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এর আগে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে সাত দিনের জন্য এমভি ‘বার আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজকে পরীক্ষামূলকভাবে ওই নৌপথে চলাচলের অনুমতি দেয় জেলা প্রশাসন।

https://www.dailynayadiganta.com/last-page/782338