২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ৩:৪৫

কিভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব?

অধ্যক্ষ মোঃ শাহাবউদ্দিন

দেশের জনগণ এখন উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দলের নেতানেত্রী-কর্মীরা। দীর্ঘ সময় ধরে দেশে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যারপরনাই পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক, আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে। বিরোধীদল আন্দোলন করছে সরকারের বিরুদ্ধে, সরকারি দল তো তা মোকাবেলা করার জন্য শান্তির নামে সমাবেশ করে চলছে।

বাংলাদেশে গণতন্ত্রের কবর হয়েছে বলে বিরোধীরা সোচ্চার আওয়াজ করছে। বিশেষ করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের অদ্ভুত কলাকৌশল জাতিকে স্তম্ভিত করে চপেটাঘাত করেছে। বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের মাথা অবনমিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ নির্বাচনী কর্মকা-ে কমবেশি সকলেই নির্বাচনী কুটকৌশলে আক্রান্ত। কেউ কেউ আগ বাড়িয়েও বাহবা সংগ্রহে মাত্রাতিরিক্ত দলবাজি করেছেন। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হওয়ায় এর কুফল গোটা জাতিকে সব দিক দিয়ে কলুষিত করে ফেলেছে। সরকারি ও বেসরকারি সকল পর্যায়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা যখন সরকারি দলের সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জনে একনিষ্ঠ হয়ে পড়ে তখন সে দেশে ভিন্ন মতাবলম্বী বা বিরোধী দলের অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ১৫টি বছর ধরে বাংলাদেশে প্রায় এ ধরনের রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে। এর কোনো মোকাবেলা করার ক্ষমতা বা প্রতিরোধ করার শক্তি বিরোধী দলের আয়ত্তে নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকারি দলের শক্তি একাকার হয়ে গেছে। বিরোধী দল জুলুম, অত্যাচার, জেল-নির্যাতন, কারাবরণ, গুম, খুন পঙ্গুত্ব বরণের মাধ্যমে বছরের পর বছর সময় অতিক্রম করছে। বিরোধীদের কান্নার আওয়াজ আকাশে পৌঁছিলেও এখনো আসমানী ফয়সালা নাজিল হয়নি। জাতিসংঘ নামক বিশ্ব মোড়লও তেমন ভূমিকা রাখতে পারেনি দীর্ঘ ১৫টি বছর। যে কারণেই বা যেভাবেই হোক বিশ্ব বিবেকের একটি পক্ষ যারা ক্ষমতাধর এবং তাদের পৃথিবীব্যাপী মিত্ররা অনেক দেরিতে হলেও বাংলাদেশের নাজুক অবস্থার প্রতি একটি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে গণতন্ত্র, মানবতা, স্বাধীন মতপ্রকাশের স্লোগান নিয়ে এদেশের সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, বাইরে থেকে বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে একের পর এক এ দেশে আগমন করছে। ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারের সাথে তারা মতবিনিময় করলেও দেখা যায় সকলের একটি কমন চাপ তাহলো এ দেশের নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আমেরিকা এ ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করার নিমিত্তে ভিসানীতিসহ বিভিন্ন কৌশলে এ দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে সরকারকে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে।

এহেন পরিস্থিতিতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের অনেক সদস্য অধিক আগবাড়িয়ে জোরেশোরে প্রতিনিয়ত বক্তব্য দিচ্ছেন, হ্যাঁ আমরা তো এবার নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সার্বিকভাবে প্রস্তুত, কেউ কেউ বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা অতীতের মত যেন সমালোচিত কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হয় সে জন্য দৃঢ় আছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী অনেক সময়ই একথা জোর দিয়ে বলে থাকেন আওয়ামী লীগের অধীনেই একমাত্র নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এখানে বিরোধীদল ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যে বদনাম করে থাকে তার কোনো অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায় না এবং বহির্বিশ্বে এ দেশের নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাঘামি তাও বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।

সেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে কেন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে? দেশের সংবিধান অনুসারে পৃথিবীর দেশে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে, এ দেশেও তাই হবে। এই বক্তব্য সরকারের ও সরকারি দলের। নির্বাচন কমিশন তো এর বাইরে আর কিছুই বলার ক্ষমতা রাখে না। তাদেরকে আরপিওর মাধ্যমে যেভাবে হাত-পা বেঁধে চলাফেরা করতে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তারা তাই করছে। এজন্য নির্বাচনী বিধিবিধান লঙ্ঘন করে তাদের কারো করার কিছুই থাকে না। তাই কোনো বিষয়ে সরকারের নিকট তাদের প্রতিকার চেয়ে আবেদন করতে হয়। তাদের ক্ষমতা এতটুকুই বহির্বিশ্বে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতাও ততটাই শক্তিশালী যে, সরকার ও তার নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায়। নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশন সরকারের বিভিন্ন শাখা ও সরকারি দলের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগে সার্বভৌম, যা আমাদের দেশে নেই।

এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে যখন নির্বাচনে জড়িত ব্যক্তিরা নৈতিকতা হারিয়ে অসত্যের আশ্রয় গ্রহণ করে কথা বলতে থাকে এবং যারা ক্ষমতার অধিকারী থেকে অনুরূপ নীতি বিবর্জিত বক্তব্য দিতে থাকে তখন আর মোকাবেলা করার মতো কোনো শক্তি সামনে টিকতেও পারে না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে যখন বলা হয় গণতান্ত্রিকভাবে এই সরকার নির্বাচিত হয়েছে তখন এর বিচারের ভার দেয়ার মতো এ দেশে আর কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায় না।

প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্যবৃন্দ যখন বলেন, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই, আমরা এ বিষয়ে প্রস্তুত তখন দেশের জনগণ এই কথা কিভাবে গ্রহণ করে। এই কথার আড়ালে কি কথা লুকিয়ে আছে তা অনেকে মুখ ফুটে না বললেও এটা যে সত্য কথা নয়, তা ভাবতে তাদের কষ্ট হয়।

নিরপেক্ষ নির্বাচন কি সরকারের কাম্য?
এক কথায় না। নিরপেক্ষ নির্বাচন সরকারের জন্য অন্তত এখন একেবারেই কাম্য হতে পারে না। কারণ সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এ দেশে দুর্নীতি, দলীয়করণ, গুম, খুন, অত্যাচার-নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, ঘুষের সয়লাব এবং দলীয় লোকেরা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ, অর্থ আত্মসাৎ, শেয়ার কেলেঙ্কারি, ব্যাংকসহ অর্থকরী প্রতিষ্ঠান যেভাবে অর্থশূন্য করে ফেলেছে তা বিরোধীরা ভুলে যাবে না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি, গ্যাস-বিদ্যুৎ বিভিন্ন সামগ্রীর দাম লাগামছাড়া হওয়ায় জনগণের জীবনযাত্রায় কুড়াল মেরেছে। ডলারের দাম বৃদ্ধিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস এবং আমদানি-রফতানির বিরাট পার্থক্য সৃষ্টি হওয়ায় জিডিপির পরিমাণ অনেক নিচে চলে এসেছে।

নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সরকার পরাজিত হবে, তাই তাদের পক্ষে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করে নিজের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারার কাজ কখনো তারা করতে পারেন না। তাদের অস্তিত্বের প্রশ্নেই নিরপেক্ষ সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
আগামী নির্বাচনে তাদের পরাজয় হলে তাদের ভাগ্যে কি নাজিল হবে তা তারা অনুধাবন করেই উক্তি করেছেন, বিরোধীরা ক্ষমতায় আসলে তাদের ২ লাখ লোক মারা যাবে কেউ কেউ বলেছেন তাদের অস্তিত্ব বিলীন হবে।

এহেন পরিস্থিতিতে কোন পাগলও নিজের অস্তিত্ব বিপন্ন করার পথে পা দিতে পারে না। যে কোন কলাকৌশলে বাঁচার চেষ্টা করবে। আওয়ামী লীগকেও তাই করতে হবে এবং করছেও তাই। সরকারের নিরপেক্ষ নির্বাচনের কৌশলী বক্তব্যের আড়ালে কি আছে?

১. দলীয় লোকেরা অতীতের নির্বাচনী কার্যক্রমে যে যা করেছেন নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে তা কোনক্রমেই ত্যাগ করতে পারেন না।

২. নির্বাচনের ক্ষমতার দৌড় কতদূর সেটা বিভিন্ন নির্বাচন ও উপনির্বাচনে পরিলক্ষিত হয়েছে। কারণ তারা ঠুঁটো জগন্নাথের পরিচয়ে পরিচিত।

৩. নির্বাচনী কার্যক্রমে যারা সম্পৃক্ত তাদের ভূমিকাও পক্ষপাতদুষ্ট। এ বিষয়ে দু’একটি ঘটনা মূল্যায়ন করা যায়। গোপনে নয় প্রকাশ্যেই তারা সরকারের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। মানুষ চুরি করলেও গোপনে করে সেখানে প্রকাশ্যভাবে যখন কোন কর্মকর্তা একটি পক্ষ অবলম্বন করে কথা বলেন, তখন ভিতরে ভিতরে তারা কি করতে পারেন তা কি বুঝতে বাকী থাকে? দেখা যাক এ বিষয়ে কি দেখা যাচ্ছে।
ডিসি জামালপুর কি বলেন?

১. জামালপুরের ডিসি ইমরান সাহেব ১১ই সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে কার পক্ষে ভোটের কথা বলেছেন?

২. ১৫ই আগস্ট জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি শ্যামলচন্দ্র ধর নৌকার প্রতীক ভোটের কথা বলায় জামালপুর পুলিশ লাইনে তাকে স্থানান্তর করা হয়।

৩. কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুক আহমদ ১৫/৮/২৩ জাতীয় শোক দিবসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের পক্ষে মনের দিক দিয়ে মিনতি জানায়।

৪. গত জুলাই মাসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সিনিয়র সচিব খাজামিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় নড়াইলের কানিয়া উপজেলা ফুলদাহ গ্রামে কুরবানি ঈদে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পথসভা বৈঠক করে। আওয়ামী লীগের নমিনী প্রত্যাশা করে। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের কয়েক দিন আগে সাতক্ষীরা কলারোয়ায় তৎকালীন ওসি মারুফ সরকারি দলের পক্ষে ভোট চান।

গত ৫ বছরে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারি দলের পক্ষে স্থানীয় সরকারের একাধিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পক্ষপাতমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। উপরের এই বিষয়গুলো দৈনিক বিভিন্ন পত্রিকায় সাথে সাথেই প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-২৫(১) ধারায় (রাজনীতি ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ) বলা হয়েছে কোন রাজনৈতিক দলের বা অঙ্গ সংগঠনের সদস্য না হওয়া, দেশে বিদেশে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা যাবে না। গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) ১৯৭২-১২(১) প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগের কোন চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসর গ্রহণ করেছেন উক্ত পদত্যাগ বা অবসর গমনের ৩ বছর অতিবাহিত না হলে নির্বাচনের অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

সাম্প্রতিক চারঘাট থানার ওসি মাহবুব সাহেব বলেছেন, চারঘাট বাঘা আসনের প্রতিমন্ত্রী (পররাষ্ট্র) শাহরিয়ার আলমের কথা ছাড়া আমি আর কারো কথা মানতে আমি এখানে আসি নাই। যদিও ঘুষের দায়ে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে গাইবান্ধা থেকে চারঘাটে আনা হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপিকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক আসনে বিজয়ী করার কথা ছিল, কিন্তু নির্বাচনে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এমনভাবে দলীয়করণের পক্ষে নির্বাচন করে যা দেখে আওয়ামী লীগও লজ্জা পেয়েছিল কিভাবে বিএনপির আসন সংখ্যা এত কম সংখ্যক হলো। এছাড়া পূর্বে উল্লেখিত প্রকৃত ভোটার সংখ্যার চাইতে অধিক ভোট কাস্ট হওয়া- এগুলোতে জাতি কি মনে করে।

আমরা কি আশা করতে পারি ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের কাজে জড়িত থেকে পক্ষপাতমূলক ভূমিকা রেখেছিল এবং আজ অবধি আরো যারা আওয়ামী ঘরনার কর্মকর্তা, কর্মচারী বিভিন্ন পদে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছে এবং দলীয় নেতা কর্মীরা দুর্নীতির মাধ্যমে ফুলে ফেঁপে কলাগাছ হয়েছে তারা কি তাদের চরিত্র বদলাবে? বদলাতে পারে তাদের আওয়ামী প্রীতি? তারা নিরপেক্ষ থেকে ভোট করলে যে গনেস উল্টে যাবে এবং সমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে সে কথা কি তারা বুঝতে অক্ষম?

মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাম্প্রতিক এক সমাবেশে বললেন স্বাধীনতা বিরোধীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। কারা স্বাধীনতা বিরোধী। কারা বিরোধীদল এবং ক্ষমতায় আসতে পারে? বিএনপি ছাড়া তো নয়? তাহলে এই সরকারের অধীনে কিভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব?
আমরা কি দেখতে পেয়েছি সাতধোয়া দিলেও কয়লা তার ময়লা পরিষ্কার হয় কিংবা তেঁতুল বীজ বপন করলে যে গাছ জন্মে তা থেকে কমলা লেবু পাওয়া যায়? যদি তা সম্ভব না হয় তা হলে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এ সরকারের অধীনে কোনক্রমেই নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রশ্ন করতে চাই বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করতে চাইলে কি আওয়ামী লীগ তাদের অধীনে নির্বাচন করতো। কখনোই না। তাই জাতির স্বার্থে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করাই হলো এখন সরকারের বড় দায়িত্ব।

https://www.dailysangram.info/post/536631