২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বুধবার, ১০:৩৮

ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৩১২৩ রোগী

দেশে ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৩ হাজার ১২৩ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে চলতি মাসের ১৭ তারিখে ৩ হাজার ১২২ রোগী ভর্তির সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল দেশে।

একদিনে ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ৯৪৩ জনের প্রাণ গেছে ডেঙ্গুতে। চলতি মাসেই প্রাণ গেছে ৩৫০ জনের। গত মাসের তুলনায় মৃত্যুর হারও বেশি চলতি মাসে। গত মাসে গড়ে দৈনিক ১১ জন করে মারা গেছেন। রাজধানীর চেয়ে দ্বিগুণের বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে গ্রামে। মৃত্যুও বেশি গ্রামে। দেশে ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগী মৃত্যু ও শনাক্তে পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এরমধ্যে রাজধানীতে ৮০ হাজার ৪৯০ জন এবং ঢাকার বাইরে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯১ জন। মৃত ৯৪৩ জনের মধ্যে নারী ৫৩৬ জন এবং পুরুষ ৪০৭ জন। মোট মৃত্যুর মধ্যে ঢাকার বাইরে মারা গেছেন ৩২৬ জন এবং রাজধানীতে ৬১৭ জন।

ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৩ হাজার ১২৩ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৭৪ জন এবং ঢাকার বাইরে ২ হাজার ৩৪৯ জন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নতুন ৩ হাজার ১২৩ জনসহ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ১৫৮ জনে। ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩ হাজার ৫৮১ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬ হাজার ৫৭৫ জন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৩ হাজার ৮৮১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি রোগীর মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮ জন এবং নারী ৭৫ হাজার ৭৯৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮২ জন।

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে আক্রান্ত ১৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ জন, মার্চে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১১ জন এবং এপ্রিলে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। জুন মাসে ৫ হাজার ৯৫৬ জন এবং মারা গেছেন ৩৪ জন। জুলাইতে শনাক্ত ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন এবং মারা গেছেন ২০৪ জন। আগস্টে ৭১ হাজার ৯৭৬ জন শনাক্ত এবং প্রাণহানি ৩৪২ জন। সেপ্টেম্বরের ২৬ দিনে শনাক্ত রোগী ৭০ হাজার ৭৩ জন এবং মারা গেছেন ৩৫০ জন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক ডেঙ্গু রোগী বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন, তাদের হিসাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের খাতায় নেই।

https://mzamin.com/news.php?news=75952