২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১০:১৩

রেকর্ড বৃষ্টিতে রংপুর, সৈয়দপুর ও নীলফামারী পানির নিচে

গত দু’দিনের টানা বর্ষণে রংপুর নগরী সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এদিকে টানা বৃষ্টিতে রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এর মাঝে কোথাও দেখা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। টানা বৃষ্টির ফলে রংপুর নগরীর বিভিন্ন নিম্ন এলাকায় পানি জট সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সড়কে যানবাহন চলাচল কিছুটা কমেছে। অবিরাম বৃষ্টির কারণে অনেক দোকানপাট খোলেনি। এদিকে কাজের অভাবে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমিকরা। রংপুর নগরীর পানি নিষ্কাশনের অন্যতম মাধ্যম শ্যামাসুন্দরী খাল ও কেডি ক্যানেল দখলে দূষণে ভরাট হয়ে কয়েক দিনের বৃষ্টির পানিতে ভরে গেছে। অনেক স্থানে পানি নিষ্কাশনের অভাবে বিড়ম্বনায় পড়েছে মানুষ। আষাঢ়-শ্রাবণকে হার মানানো আশি^নের অসময়ের এই অবিরাম বৃষ্টিপাতে বির্পযস্ত হয়েছে নগরবাসী। সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর মডার্ন মোড়, লালবাগ, খামার মোড়, নূরপূর, কামাল কাছনা, মাহিগঞ্জ, জুম্মাপাড়া, তাজহাট, বাবুপাড়া, মহাদেবপুর, কামারপাড়া, শালবন, মিস্ত্রিপাড়া, দর্শনা, আশরতপুর, ধাপ এলাকা, মুন্সিপাড়া, হনুমানতলা, মুলাটোল, মেডিকেল মোড়, পাকার মাথা ও জলকরসহ বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন নিচু এলাকায় বাড়িঘর এবং সড়ক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক পাড়া মহল্লার মোড়ে পানিরজট সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ স্বাভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারছে না। ড্রেনের মুখে ময়লা-আবর্জনা জমে বন্ধ হয়ে গেছে। নিম্নাঞ্চলে পানির জট সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। বৃষ্টির কারণে হকার শ্রেণির পেষাজীবীরা বেকার হয়ে দেছে। রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে ১ হাজার ৪শ’ ১৬ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার বিকেল তিনটা থেকে রোববার বিকেল তিনটা পর্যন্ত রংপুরে ২৩৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার, দিনাজপুরে ৩৫০ দশমিক ৪ মিলিমিটার, সৈয়দপুরে ৪২৪ মিলিমিটার, নীলফামারীতে ১৯০ দশমিক ১ মিলিমিটার, কুড়িগ্রামে ৫৯ মিলিমিটার এবং পঞ্চগড় জেলায় ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঐ কর্মকর্তা াাবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে আরও জানান, আগামী দুই দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করলেও এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো আশঙ্কা দেখা দেয়নি।

মোঃ জাকির হোসেন সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা যানান, চারদিনে অবিরাম বর্ষণে নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভাসহ উপজেলার সব ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। রেকর্ড বৃষ্টিপাতে রেলওয়ে কারখানা সহ শহরের প্রায় সব পাড়া মহল্লার অলিগলি পথ, নিচু বাড়িঘর ও পুকুর ডোবায় থৈ থৈ পানি। আর গ্রামাঞ্চলের ফসলের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়াসহ চারপাশে বর্ষার পানি। ফলে অভাবনীয় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সর্বস্তরের জনজীবন। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সেদিন থেমে থেমে হলেও শুক্রবার সকাল থেকে লাগাতার চলছে। শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে। শহরের প্রাণকেন্দ্র শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ ডা. সামসুল হক সড়ক, পৌরসভা সড়কসহ পৌর এলাকার বাঁশবাড়ী, মিস্ত্রীপাড়া, হাতিখানা, নিচু কলোনী, মুন্সিপাড়া, কয়ানিজপাড়া, নয়াটোলা, গোলাহাট, নিয়ামতপুর জুম্মাপাড়া, কাজিপাড়া, নতুন বাবুপাড়ার, সাহেবপাড়া, ইসলামবাগ, রসুলপুর, রাস্তাগুলো পানির নিচে। এসব এলাকার অনেক বাড়ি ঘর, দোকান, গোডাউনে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে জলাবদ্ধতার শিকার পুরো পৌরবাসী। বাড়ির আসবাবপত্র, দোকানের মালামাল পানিতে ভিজে নষ্ট হওয়ার উপক্রম। বাজারে কাঁচামাল পঁচে যাওয়ায় সংকট দেখা দিয়েছে। এতে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে গেছে। একদিকে পানিবদ্ধতা, অন্যদিকে উপার্জনহীন। তার উপর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ চরম সমস্যায় পড়েছেন। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে এবং পানিবন্দি মানুষ চুলা জ্বালাতে না পেরে অনাহারে রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও বৃষ্টির পানির আধিক্যের ফলে নিম্নাঞ্চলসহ অনেক উঁচু এলাকাতেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ধানের ক্ষেত, পুকুর পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও পানির স্রোতের চাপে রাস্তা ভেঙে গেছে। সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়া সহ পুকুর ডুবে মাছ বেরিয়ে গেছে। নিচু বাড়ি ঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ পানিতে আবদ্ধ অবস্থায় দিনাতিপাত করছেন। খেটে খাওয়া হতদরিদ্র দিনমজুর মানুষেরা আয় করতে না পেয়ে না খেয়ে আছেন।

পৌরবাসীর অভিযোগ ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হওয়ায় পানি বের হতে পারছেনা। একারণে সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সেখানে এত বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষের অসচেতনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণেই সৈয়দপুরের এই দুরবস্থা। পরিকল্পিতভাবে ধারাবাহিকতার সাথে অচল ড্রেন মেরামত, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে নতুন ড্রেন নির্মাণ ও নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করলে এই দুর্ভোগ পোহাতে হতনা। তাদের মন্তব্য হলো প্রতিবছর এমন শোচনীয় অবস্থা দেখা দিলেও নাগরিকদের কষ্ট লাঘবে জনপ্রতিনিধিদের কোন উদ্যোগ নেই। এতে কিছু কিছু এলাকায় শুকনা মৌসুমেও রাস্তায় পানি জমে থাকে। আর বৃষ্টি হলে ড্রেন উপচে পানিসহ নোংরা ময়লা আবর্জনা ঢুকে পড়ে বাসায়। জমা পানিতে মশার উৎপাদন বাড়ায় উৎপাতও বেড়েছে। এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুঃসহ যন্ত্রণায় বছরের পর বছর কাটছে এলাকাবাসীর। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএসডাব্লিউ) সাদেকুর রহমান বলেন, অতিবৃষ্টিতে কারখানার কয়েকটি সপে (উপ-কারখানা) পানি জমেছে। এতে কাজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সেই সাথে বিদ্যুৎ না থাকায় সপগুলো বন্ধ রয়েছে। পার্বতীপুর ক্যারেজ লোকোমেটিভ কারখানায়ও (কেলোকা) একই অবস্থা। পানি নিষ্কাশনের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা কার্যকর না হওয়ায় এমন পানিবদ্ধতার সমস্যা বলে মন্তব্য করেন তিনি। এক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তিনি পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

এবিষয়ে জানতে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বৃষ্টি প্রাকৃতিক ব্যাপার। এটা আটকানো বা হওয়ার পর পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা মানুষের হাতে নেই। শহরের ডোবা তথা জলাধারগুলো দখল ও ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এব্যাপারে আমরা পরিষদগতভাবে উদ্যোগ নিয়েছি। তবে জনগণের অসহযোগিতার কারণে সফল হতে পারিনি। আগামীতে এদিকটাই গুরুত্বের সাথে দেখা হবে। আর আমি বর্তমানে ঢাকায় জরুরি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি। সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার বলেন, নৌকার মেয়র তার সরকারের মতই লুটপাট নিয়ে ব্যস্ত। নিজের আখের গোছানোয় সচেষ্ট থাকলেও জনগণের ভোগান্তি লাঘবে তাঁর কোন ভ্রুক্ষেপ নাই। বিগত সাড়ে তিন বছরে পৌরসভার উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়ন কাজ করা হয়নি। ড্রেনেজের অচলাবস্থায় পানিবন্দি হওয়া সৈয়দপুরবাসীর চির দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, সাবেক এমপি ও পৌর মেয়র জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মরহুম আমজাদ হোসেন সরকার মেয়র থাকাকালে এমন দুর্যোগের সময় শহরব্যাপী ব্যাপক সহায়তা কার্যক্রম চালানো হতো। যাতে লোকজন কষ্ট না পায়। অথচ আজকে মেয়র সৈয়দপুরেই নেই। পৌর পরিষদের অন্যান্য সদস্যরাও নির্বিকার। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে শুকনো খাবার ও অন্যান্য ত্রাণ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম বলেন, এ দুর্যোগে যারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছে তাদের পাশে বিত্তবানদের দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন পৌর এলাকায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই নগণ্য এবং যে সকল ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং অল্প বৃষ্টিতে সৈয়দপুর তলিয়ে যায়। জনপ্রতিনিধিদের যেহেতু এদিকে ভূর”ক্ষেপ নাই, তাই এনিয়ে কথা বলেও কোন কাজ হবেনা। সেজন্য কথা না বলে কাজে নেমেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে শহর শাখার উদ্যোগে পানিবন্দী মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ শুরু করেছি। পৌরসভার ২, ৩, ৬, ১৪, ১৫ নং ওয়ার্ডে আমাদের খাদ্য পৌঁছিয়েছি। অন্যান্য ওয়ার্ডে ও উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে সব ইউনিয়নে দেয়া হবে। জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সংগঠনের দিকে চেয়ে না থেকে প্রতিটি এলাকার সামর্থ্যবান মানুষদের নিজ নিজ উদ্যোগে আশেপাশের সংকটাপন্নদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনের সাথে। তিনি বলেন, তীব্র তাপদাহের পর এটা আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তপ্ত মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে শহর ও গ্রামাঞ্চলে কিছু কিছু এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানুষ কষ্টে পড়েছে। এমতাবস্থায় বৃষ্টি থামানোর কোনো পথ নাই। কিন্তু সংকটাপন্ন লোকজনের জন্য সহযোগিতা করা প্রয়োজন। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে পানিবন্দী মানুষের মাঝে শুকনা খাবার ১৫০০ পরিবারের মাঝে বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ত্রাণ প্রদানের জন্য ইউএনও এর সাথে পরামর্শক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পৌর এলাকার পানিবদ্ধতা নিরসন বা ড্রেনেজ অচলাবস্থা নিয়ে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি এবং রাতেই ইউনিয়নগুলোতে পানিবন্দী মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বা খাদ্য বিতরণ করা হবে।

নীলফামারীতে ৪ দিনের বৃষ্টিতে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত
নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীতে টানা ৪ দিনের বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। অব্যাহত ভারী বৃষ্টিতে উপজেলা প্রশাসন মাঠ, রাস্তা-ঘাট ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানিতে তলিয়ে গেছে । জেলার ছোট-বড় সব নদীল পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শাকসবজী ও বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মৎসচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে কাজে যেতে না পারায় কেটে খাওয়া মানুষজন নিদারুন কষ্টের মধ্যে পড়েছে।

ডোমার উপজেলার মাছ চাষি আব্দুর রহিম জানান, তার পাঁচ বিঘার দুইটি পুকুর রয়েছে। টানা ৪ দিনের বৃষ্টিতে পুকুরের ৩ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে গেছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নুরুল ইসলাম জানান অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বেড়েছে। রবিবার বিকেল ৩টা থেকে পানি তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার সামন্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

https://www.dailysangram.info/post/536370