২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৩:২৪

দাম নির্ধারণের প্রভাব নেই বাজারে

নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল করতে গত সপ্তাহে কয়েকটি পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু ব্যবসায়ীরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আমলে নিচ্ছে না। দেশের বিভিন্ন বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি দেখভাল করছে মাঠ প্রশাসন। তার পরেও সব কটি পণ্যেই নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে ৫ থেকে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। এতে বিপাকে পড়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত দর অনুযায়ী আলু খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ ৬৪ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা, বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হওয়ার কথা ৪৮ টাকায়, বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া পেঁয়াজ, আলু ও ডিম এই তিন পণ্যের মধ্যে একটির দামও পাইকারি বাজারে কমেনি। তাই আমরা কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি না। দেশী পেঁয়াজ ৮০ টাকা, আলু ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। ডিমের হালি ৫০ টাকা। উপরন্তু বাজারে এ সব পণ্যের সরবরাহ কমেছে। ভোক্তা অধিদফতরের লাগাতার অভিযানে লোকসানের ভয়ে তারা দোকানে নতুন করে পেঁয়াজ ও আলু তুলতে চাইছেন না। পাইকারি বাজারেও দেশী পেঁয়াজ ও আলুর সরবরাহ কমেছে।

সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি সবজিই গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ থেকে ১০ টাকা কেজিতে বেড়েছে। বরবটি, টমেটো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ১২০ টাকা অতিক্রম করেছে গাজর। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। তুলনামূলক কম দাম বলতে শুধু পেঁপে আর মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা। মূলা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কচুর মুখি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস চাল কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, পটোল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৬০ টাকায়। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, যার মধ্যে লম্বাকৃতির বেগুন প্রতি পিস ৬০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৮০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা আর দেশী মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে বাজারে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় আর খাসির গোশত প্রতি কেজি ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি আঁটি লাল শাক, মুলা শাক ও কলমি শাক ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্য দিকে পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, লাউশাকের আঁটি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাঙ্গাশ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর এক কেজি ওজনের রুই মাছের দাম ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দুই-আড়াই কেজি ওজনের দাম ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, আর তিন কেজির বেশি ওজনের হলে দাম হাঁকা হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি। মাঝারি ও বড় সাইজের কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কই মাছ প্রতি কেজি ৩২০ টাকা, পাবদা মাছ প্রতি কেজি ৩৮০ থেকে ৪৬০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, কাতল মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা, রূপচাঁদা প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা, ইলিশ ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ১২০০ টাকা, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/779275