২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৯

রাতের হাটে টাকা উড়ে

কাওরান বাজার। রাজধানীর কেন্দ্রীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারের হাট। মাছ,মাংস, সবজি, ফলমূল থেকে শুরু করে মুদিসামগ্রী- নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুই মিলে এখানে। রাতের নিস্তব্ধতায় যখন নগরবাসী ঘুমিয়ে তখন ভিন্নচিত্র এখানকার। রাত যত গভীর হয়, কাওরান বাজারের ব্যস্ততা তত বাড়ে। আড়তদার, পাইকার, ক্রেতা-বিক্রেতা ও শ্রমিকদের ব্যস্ত সূচিতে সরগরম থাকে এই বাজার। সন্ধ্যার পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ট্রাকে করে আসতে শুরু করে পণ্য। শ্রমিকরা সেগুলো নামিয়ে রাখে আড়তে। এরপর রাতভর চলে বেচাকেনা। সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে মানুষ।

বদলে যেতে থাকে রাতের দৃশ্যপট। দিনেও কেনাবেচার চিত্র দেখা যায়। তবে রাতের তুলনায় অনেক কম। এই বাজারকে ঘিরে রয়েছে হাজারো স্বপ্ন। অনেকে ক্ষুদ্র থেকে বড় ব্যবসায়ী হয়েছেন এখান থেকে। হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করেন সংসারের খরচ মেটাতে। কেউবা রাতভর পরিত্যক্ত পণ্য কুড়ান। পরে সেগুলো স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করেন। কাওরান বাজারের ক্রেতাদের অধিকাংশই ঢাকার খুচরা বিক্রেতা এবং বড় বড় হোটেল-রেস্তরাঁ। এখানকার পণ্য কয়েকহাত বদল হয়ে পৌঁছায় সাধারণের কাছে। এভাবেই এই বাজারে প্রতিরাতে লেনদেন হয় কোটি কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাওরান বাজারে সরকারি-বেসরকারি আড়ত রয়েছে ৭০০টি। শ্রমিক রয়েছে দশ হাজারের বেশি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শত শত পণ্যবোঝাই ট্রাক আসে। আলু, পিয়াজ-রসুন, শাক-সবজি, মাছ, মাংস, ফলমূলসহ এ জাতীয় বিভিন্ন পণ্য প্রতিরাতে পাইকারি দামে বিক্রি হয় আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা।

সরজমিন দেখা যায়, দিনের বাজারের চিত্র থাকে কিছুটা নীরব। ঘড়ির কাঁটা ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে পুরোই বদলে যায় রাতের দৃশ্যপট। সন্ধ্যা ভেদ করে রাত যতই বাড়তে থাকে ততই অচেনা হয়ে উঠে বাজারটি। শিশু-বয়স্ক থেকে শুরু করে সব বয়সীদের থাকে আনাগোনা। রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে বড় ট্রাকে বিভিন্ন জেলা থেকে আসতে শুরু করে এসব পণ্য। এরপর শ্রমিকরা ট্রাক থেকে নামিয়ে থরে থরে সাজিয়ে রাখে পণ্যগুলো। আড়তে আড়তে ব্যবসায়ী শ্রমিকদের থাকে অপেক্ষা। সড়কজুড়ে থাকে দীর্ঘ ভ্যানের সারি। ঝুড়ি মাথায় এদিকে-সেদিকে ছুটতে থাকে মিন্তিরা। নারী-পুরুষ বিক্রেতারা মিলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তাদের পণ্য সাজাতে। মধ্যরাতের পর থেকে শুরু হয় বেচাকেনা। রাত যত বাড়ে ততই ট্রাকের সারি দীর্ঘ হয়। এই ট্রাকের সারি কাওরান বাজার ছাড়িয়ে মূল সড়কে চলে যায়। এক একটি পণ্যবাহী ট্রাক আসলেই তার পিছু পিছু ছুটে ভ্যান নিয়ে শ্রমিকরা। পণ্য নামাতে রাতভর চলে এই প্রতিযোগিতা। আড়ত ছাড়াও রাস্তার উপরে হরেক রকমের সবজি সাজিয়ে রাখে আড়তদাররা। শুরু হয় হাজারো মানুষের হাঁকডাক, দর কষাকষি, মালবোঝাই বস্তা ওঠানামার পদচারণা, ব্যবসায়ী আর আড়তদারদের মধ্যে চলে লাভ-ক্ষতির হিসাব। হাজারো মানুষের ভিড়ে কাওরান বাজারে জমে ওঠে কেনাকাটার উৎসব। এরপর দরদামে মিললে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে তা সরবরাহ করে। পণ্যবাহী ট্রাক ঘিরে চলে হইহুল্লোড়। এ সকল পণ্যে আড়তদারদের কাছ থেকে ঢাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী ও বড়-ছোট হোটেল, রেস্তরাঁর মালিকরা কিনে নেন। অনেক নারী-শিশুকে আবার দেখা যায় এই বাজারে পড়ে থাকা পণ্য কুড়াতে। এই পণ্য দিয়ে চলে তাদের জীবিকা নির্বাহ। আবার কেউ কেউ ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সঙ্গে থাকা ঝুপড়িতে। পাইকারি পণ্যের পাশাপাশি খুচরা পণ্যও বিক্রি হয় এ বাজারে।

তথ্যমতে, ১৭শ’ শতাব্দী থেকেই এখানে বাজার ছিল। ১৮শ’ শতাব্দীর শেষের দিকে কাওরান সিং নামের একজন মাড়োয়ারি ব্যবসায়ী এখানে প্রথম মার্কেট খোলেন। তার নামেই এই বাজারের নামকরণ হয়েছে। অন্যমতে, শূরী বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতবর্ষের সম্রাট শেরশাহ শূরী (১৫৩৮-১৫৪৫) সুলতানি বাংলার রাজধানী সোনারগাঁ থেকে পাঞ্জাবের মুলতান পর্যন্ত ৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘সড়ক-ই-আযম’ বা ‘গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড’ নির্মাণ করেন। তিনি প্রথমে ঘোড়ার ডাকের ব্যবস্থা করেছিলেন। দ্রুত সংবাদ আদান-প্রদান, পথচারীদের নিরাপত্তা, রাত্রিযাপন, সংবাদবাহকের ঘোড়া বদল ইত্যাদি কারণে এই সড়কে নির্দিষ্ট দূরত্বে তার প্রশাসন নিরাপত্তাচৌকি ও সরাইখানা স্থাপন করেছিল। ইতিহাস বলে, সড়ক-ই-আযম কাওরান বাজারের পাশ দিয়ে অথবা কোনো সংযোগ সড়কের মাধ্যমে এই বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল। এখানেও ছিল একটি সরাইখানা। এর ফারসি শব্দ ক্যারাভাঁ, অর্থ সরাইখানা। ‘ক্যারাভাঁ’ বা ক্যারাভেন থেকেই ক্যারভাঁন বাজার। তার থেকে কালের পরিক্রমায় এই স্থানের নামকরণ হয়েছে কাওরান বাজার।

জানা যায়, কাওরান বাজার ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার। ২০০২ সালের হিসাব অনুযায়ী এই বাজারে ১ হাজার ২৫৫টি দোকান আছে। এরমধ্যে ৫৫টির মালিক ঢাকা সিটি করপোরেশন। এই বাজারের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে প্রতিটি সবজি এবং ফলের জন্য আলাদা আলাদা নির্ধারিত আড়ত রয়েছে। রয়েছে মাছের বিশাল পাইকারি বাজার। এ ছাড়াও রয়েছে নির্ধারিত কামারপট্টি, ইলেক্ট্রিক ও ইলেকট্রনিকস মার্কেট, হার্ডওয়্যার ও স্যানিটারি মার্কেট। আছে মুরগির আড়ত। জুতা ও জামা কাপড়ের বিশাল মার্কেট। রয়েছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জন্য খোলাবাজার। ফলের আড়তের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট হলো এখানে যাবতীয় সকল দেশীয় ফল সবসময় পাওয়া যায়। যে সকল আড়তগুলো সবচাইতে নামকরা ও জনপ্রিয় তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মেঘনা ফার্ম, স্বদেশ ফার্ম, সোনার বাংলা বাণিজ্যালয়, আমেনা ট্রেডার্স, কিরণ ট্রেডার্স, শাহ আলী ফার্ম।

পনেরো বছর ধরে কাওরান বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করেন হানিফ। তিনি বলেন, আড়তদারদের কাছ থেকে পাইকারি দামে পণ্য ক্রয় করে খুচরা বিক্রি করি। রাতে বাজার ঘুরে ঘুরে একটু কম দাম পেলে ক্রয় করি। অধিকাংশ ক্রেতা যেখানে একটু দাম কম পাবে সেইটা কিনবে। দিনের চেয়ে রাতে এই বাজারের চিত্র পুরোই বদলে যায়। টমেটো, গাজর, শসা এগুলো বিক্রি করি। দশ হাজার টাকার কাঁচামাল কিনলে তারমধ্যে তিন হাজার টাকা লাভ থাকে। আর বিক্রি করতে না পারলে এটি নষ্ট হয়ে যায়। ব্যবসা হচ্ছে ভাগ্যের উপর। মিন্তিদের খরচ যায় প্রতি খাঁচি ২০ টাকা দরে। দিনে ১০০ টাকার পলিথিন লাগে। এক একটা ঝুড়ি ভাড়া নিতে হয় ২০ টাকা দিয়ে। এখানে সকাল নয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত দোকান চালাই। দোকান ভাড়া দৈনিক ৩০০ টাকা। এই আয় দিয়ে সংসার চালাতে হয়। যদিও সংসারের পুরো খরচটা মিটাতে হিমশিম খেতে হয়। চিকিৎসা ব্যয় তো আছেই। রাত নয়টা বাজলে খুচরা ব্যবসায়ীরা উঠে যায়। এরপর এই স্থান আড়তদারদের দখলে চলে যায়। এক রাতে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয় এই বাজারে।

হাজেরা বেগম একজন পাইকারি বিক্রেতা। ৭০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা থানকুনি ও কচুশাক বিক্রি করেন। নরসিংদী থেকে সপ্তাহে দু’দিন তিনি ঢাকার কাওরান বাজারে আসেন শাক নিয়ে। সারারাত কাওরান বাজারে থাকেন। সকাল হলে আবার ফিরে যান গ্রামে। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। হাজেরা বেগম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা করি। তিন বছর আগে শ্বাসকষ্টে স্বামী মারা যায়। ছোট ছোট মোটা করে থানকুনি ও কচুশাক বিক্রি করি। অন্যের চাষের জমিতে মালিকের ফসল উঠার পর এই শাকগুলো থেকে যায়। পরে এগুলো আমরা উঠিয়ে ঢাকা এনে পাইকারি দামে বিক্রি করি। গ্রামের এই শাকের চাহিদা কম। সকালে শাক উঠিয়ে সেগুলো বস্তা ভরে নরসিংদী থেকে রওনা দেই। বিকালে এখানে পৌঁছে এলোমেলো শাকগুলো ছোট ছোট মোটা তৈরি করি। এক মোটা ৫ টাকা দামে বিক্রি হয়। ২০ মোটা ৬০-৭০ টাকা দাম। যত শাক নিয়ে আসি তত বিক্রি হয়। কিন্তু এই শাকগুলো সবসময় থাকে না। এজন্য সপ্তাহে দুইদিন আসতে হয় শাক নিয়ে। এক সপ্তাহে ২০০০-৩০০০ টাকা বিক্রি করি। আবার কখনো ১০০০-১২০০ টাকা। আসতে যেতে ৩০০ টাকা খরচ হয়। আমার মেয়ে ও নাতনি নিয়ে আমার সংসার।

কাওরান বাজারের শ্রমিক আবুল হোসেন বলেন, ট্র্রাকে আসা সবজি নামিয়ে এনে আড়তে রাখি। কখনো ঝুড়িতে আবার কখনো বস্তায় এই মাল বহন করি। নেত্রকোনা থেকে ঢাকায় এসে ৫ বছর ধরে এই বাজারে শ্রমিকের কাজ করি। প্রতিরাতে ১০০০-১২০০ টাকা আয় হয়। আবার কখনো এই টাকার চেয়ে কম হয়। রাত ১২টা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কাজ করি। দিনে আর কোনো কাজ করি না। বেশির ভাগ সময় আড়তে ঘুমাই।

ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা বলেন, কৃষকের কাছ থেকে নিজে ক্রয় করে নিয়ে আসি। সিজন অনুযায়ী সবজির পরিবর্তন হয়। প্রতিদিন দুই ট্রাক মাল আনি। এই দুই গাড়িতে দুই-তিন লাখ টাকার পণ্য আনা হয়। ১৮ টাকা দিয়ে পেঁপের কেজি আনলে ১৯-২০ টাকা বিক্রি করি। গাড়ি ভাড়া, শ্রমিকের খরচ তো আছেই। আমার বাবা এই ব্যবসা করে গেছেন। এখন আমরা দুই ভাই ব্যবসা করি। সকাল নয়টা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়। দিনে গিয়ে পণ্য সংগ্রহ করে আসতে আসতে রাত হয়ে যায়।

কাওরান বাজার ক্ষুদ্র কাঁচামাল আড়ত ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. মোশারফ হোসেন মণ্ডল মানবজমিনকে বলেন, এই বাজারে সিটি করপোরেশনের অধীনে বরাদ্দকৃত আড়ত রয়েছে ৩৫০টি। বেসরকারি ভাবে আড়ত রয়েছে ৩৫০টি। পাইকারি পণ্য নিয়ে এক রাতে কয়েক শ’ ট্রাক আসে। টোটাল বাজারে এক রাতে আলু, টমেটো, পিয়াজ, রসুন, আদা, শাক-সবজি, মরিচ, ফল বিভিন্ন পণ্য প্রতিরাতে পাইকারি বিক্রি হয় আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ কোটি টাকা। বাজার বুঝে কখনো কখনো কম-বেশি হয়। শীত বাড়লে বিক্রি আরও বেড়ে যায়। তখন এক ঘরে ১০-২০ লাখ টাকা বিক্রি হয়। একটা আড়তে সর্বনিম্ন ৩ লাখ টাকা বেচাকেনা হয়। এদিকে মাছের বাজারের হিসাব তো রয়েছে। একটা আড়তে শ্রমিক মিনিমাম চার জন থাকে। মালিক, শ্রমিক, কর্মচারী, মিন্তি সবমিলিয়ে একটা ঘরে ১৫ জন লোক সংযুক্ত থাকে। কোনো কোনো ঘরে কমবেশি রয়েছে। আড়তগুলোতে মোট শ্রমিক রয়েছে ১০ হাজারের মতো। এই বাজারটি রয়েছে বলে এখানে এত মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে। তিনি বলেন, এই বাজারটি অনেক বড় একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। যারা গ্রাম-গঞ্জ থেকে ট্রাকে ভরে পণ্য নিয়ে আসে তাদেরও দশজনের মতো লোক সংযুক্ত থাকে। টোটাল ৫০ লাখ লোক এই বাজারে কর্মসংস্থানের উপর নির্ভরশীল। ঢাকা শহরে প্রতিদিন ১ থেকে দেড় কোটি লোকের খাবার আমরা যোগান দেই। সারা ঢাকায় খুচরা ব্যবসায়ীরা এই বাজার থেকে পণ্য ক্রয় করছে। যারা ভোক্তা তারাও কম দামে পণ্য কিনতে পারছে। বাজারে সঙ্গে ৪ কোটি লোক সম্পৃক্ত।
কাওরান বাজার ফল ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বাবুল মানবজমিনকে বলেন, বর্তমানে তরমুজ, আনারস, পেঁপে, কদবেল, পেয়ারা, দেশি মাল্টা, ড্রাগন এসব জাতীয় ফল দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে আসছে। রাত যত বাড়ে তত পণ্যবাহী ট্রাক বাজারে আসতে শুরু করে। পুরো বাজারে প্রতি রাতে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়। শুধু ফলের আড়তে প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি বিক্রি হয়। ১৬০ জনের মতো আড়তদার রয়েছেন। পণ্যবাহী গাড়ি আসার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন লেবার মিলে মাল নামিয়ে আড়তের সামনে রাখে। এক একটা ঘরে শ্রমিক রয়েছে ৫-৬ জন। এখন নরমাল সময় চলছে। সিজনের সময় বিক্রি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। পুরো বাজারটিতে হাজার কোটি টাকা বিক্রি হয়। প্রান্তিক চাষীদের কথা চিন্তা করে ঢাকা শহরে কাওরান বাজারে সাড়ে ১১ হাজার দোকান রয়েছে। এই বাজার সরানোর কথা বলা হয়েছে সেটি করলে জনগণের ওপর বিশাল প্রভাব পড়বে।

https://mzamin.com/news.php?news=75035