বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছে বাঁশখালীর আলোচিত খানখানাবাদ ইউনিয়নের প্রেমাশিয়া এলাকার সৌদি অর্থায়নে নির্মিত সাইক্লোন সেল্টার কাম প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া রোয়ানুতে সহ¯্রাধিক লোক এই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়ে জীবন রক্ষা করেছ
১ মে ২০১৭, সোমবার, ৮:১৫

বাঁশখালীর অধিকাংশ আশ্রয় কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী

বিগত ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে বাঁশখালীর প্রায় ৪০ হাজারের অধিক মানুষ মারা যাওয়ার পর সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দাতা সংস্থারা চট্টগ্রামের বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে ১১৮টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করে। এ উপজেলার উপকূলীয় ৮টি ইউনিয়নের জনগণের দুর্যোগকালীন সময়ে একমাত্র আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত হয় এ আশ্রয় কেন্দ্রগুলো। কিন্তু উপকূলবাসীর জীবন রক্ষাকারী এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর বিগত দিনে কয়েকটি সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যায় এবং কয়েকটি ভেঙে পড়ে আর বেশ কিছু আশ্রয় কেন্দ্র জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রতিটি দুর্যোগেই সাধারণ জনগণের একমাত্র আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত হলেও জীবন রক্ষাকারী এই আশ্রয় কেন্দ্রগুলো দুলছে জোয়ারভাটায়। ১১৮টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে জাইকা নির্মিত সাধনপুর ইউনিয়নের রাতারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রটি ইতিমধ্যে সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। একইভাবে খানখানাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রেমাশিয়া রোসাঙ্গ্রী পাড়া রেডক্রিসেন্ট সাইক্লোন সেল্টারটিও সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। পুকুরিয়া ইউনিয়নে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও তার মধ্যে একটি ব্যবহার অনুপযোগী। সাধনপুরে ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে একটি সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। খানখানাবাদে ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও একটি সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যায় এবং ২-৩টি ব্যবহার অনুপযোগী। বাহারছড়ায় ৯টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। কালীপুরে ৩টি, কাথারিয়ায় ৪টি, সরলে ৯টির মধ্যে ৩টি ব্যবহার অনুপযোগী। পৌরসভার জলদীতে ৭টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। শীলকূপে ৩টি, গন্ডামারায় ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও তার মধ্যে ৭-৮টি ব্যবহার অনুপযোগী, চাম্বলে ৩টি থাকলেও একটি ব্যবহার অনুপযোগী, শেখেরখীলে ৬টি, পুঁইছড়িতে ৫টি, ছনুয়ায় ১২টি থাকলেও তার মধ্যে বেশ কয়েকটির অবস্থা জরাজীর্ণ। বাঁশখালীর উপকূলীয় এলাকার জনগণকে দুর্যোগকালীন মুহূর্তে বাঁচাতে উপকূলীয় এলাকার আশ্রয় কেন্দ্র যথাযথ সংস্কার এবং নতুন করে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের উপকূলীয় এলাকার জনগণ সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। সরেজমিনে পরিদর্শনকালে খানখানাবাদ এলাকার শহিদ উদ্দিন সিকদার বলেন, উপকূলীয় এলাকার জনগণকে বাঁচাতে এবং দুর্দিনে রক্ষা পেতে অবশ্যই আরো বেশী আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা প্রয়োজন। তার সাথে সাথে যেসব আশ্রয় কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সেগুলো রক্ষার্থে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

http://www.dailysangram.com/post/282128-