১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ৬:০১

পুলিশের লেখা এজাহারে স্বাক্ষর করে মামলা দায়ের করেছেন বিআরটিসি বাসের ড্রাইভার

প্রায় এক যুগ আগের ৫টি মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে গতকাল সোমবার ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে ৪টি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল আর একটি মামলায় চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। গতকাল ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উত্তরা পূর্ব থানার একটি মামলায় বাদী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেন বিআরটিসি বাসের ড্রাইভার মকবুল আহমদ। তিনি আইনজীবীদের জেরায় বলেন, আসামীদের নামসহ পুলিশ এজাহার লিখেছে, তাতে তিনি স্বাক্ষর করেছেন, তিনি পড়ালেখা জানেন না, এজাহারও পড়েননি।

গতকাল সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আইনজীবীরা এসব তথ্য জানান। উত্তরার টঙ্গী ব্রিজের কাছে একটি বিআরটিসি বাস পুড়ানোর অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলালসহ ৫১ জন আসামী রয়েছেন।

আসামীদের পক্ষে গতকাল আদালতে শুনানীতে ছিলেন, ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোছলেহ উদ্দিন জসিম, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, ঢাকা বারের সাবেক সহ সভাপতি এস এম কামাল উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, রোকন রেজা, আজমত হোসেন, আবু বকর সিদ্দিক, লুৎফর রহমান, এম আর মাসউদ, আব্দুল হাই, শামসুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান প্রমুখ।

এডভোকেট রোকন রেজা বলেন, প্রায় এক যুগ আগের ২০১২ সালের পুরনো একটি মামলায় বিআরটিসি ড্রাইভার সাক্ষ্য দিয়েছেন।

টঙ্গী ব্রিজের কাছে যাত্রীবিহীন গাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। গাড়ি পুড়ানোর এ মামলায় জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানকে হয়রানি করার জন্য আসামী করা হয়েছে। উনি একজন সজ্জন ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী এমবিবিএস ডাক্তার ও সাবেক বিসিএস ক্যাডার, জাতীয় নেতা। তিনি অসুস্থ থাকার কারণে ২০১০ সালের পর থেকে রাজনৈতিক কোন কর্মসূচীতেও ছিলেন না। এ ঘটনার সাথে তার দূরতম কোন সম্পর্ক নেই।

তিনি আরো বলেন, এ মামলায় বাদী মকবুল আহমেদসহ তিনজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। অন্য দু’জন হলেন, মাহবুবুর রহমান ও রাশিদুল। মামলার বাদী মকবুল আহমেদ জেরায় বলেছেন, মামলার এজাহার পুলিশ লিখেছে উনি স্বাক্ষর করেছেন। তিনি পড়ালেখা জানেন না, এজাহারও পড়েননি। অপর দু’জন সাক্ষী ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না।

https://www.dailysangram.info/post/535244