১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার, ১২:১৪

দলীয়করণে আস্থা হারাচ্ছেন আমলারা

গণতান্ত্রিক দেশে প্রশাসন হতে হবে দলমতের ঊর্ধ্বে। প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রুল আব বিজনেজ মেনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবেন। চাকরিবিধিতেই আমলাদের রাজনীতি করার ওপর বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। রাজনীতিকরা নির্বাচনের মাধ্যমে যেহেতু ক্ষমতায় আসা-যাওয়া করেন ফলে আমলাদের কাজ করতে হবে দল নিরপেক্ষভাবে। কর্মচারীরা কাউকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য যেমন অপচেষ্টা করবেন না, তেমনি কাউকে ক্ষমতায় আনার জন্যও ভূমিকা রাখবেন না। কয়েক বছর ধরে প্রশাসনে ব্যক্তিস্বার্থের প্রতিযোগিতায় কারণ দলীয়করণ প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে দলবাজির প্রতিযোগিতা দেখা যায়। নিরপেক্ষ ভুমিকার বদলে কে কতবড় দলবাজ তা প্রমাণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন।


যারা আমলাদের ব্যবহার করছেন তারা আমলাদের নানাভাবে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। প্রশাসনে পদ ছাড়াই নির্বাচনের আগে কর্মকর্তাদের খুশি করতে এ ধরনের ঢালাও পদোন্নতি দেওয়ার ফলে জনপ্রশাসনের আদর্শ কাঠামো ভেঙে যাচ্ছে। আবারে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে পদোন্নতি দেয়া হবে বলে জানা গেছে। একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক দেশের জন্য দলমত নিরপেক্ষ প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই। এটা খুবই জরুরি। এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এদিকে নিরপেক্ষ প্রশাসন করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন প্রশাসন বিশেষজ্ঞ সাবেক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব এবং সিনিয়র সচিবরা। তাদের দাবি প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দলীয় লোকজন নেই, প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্বপালন করছে। কোনো রাজনৈতিক দলে কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, খুশি করতে ভোটের আগে পদোন্নতি এটা ঠিক নয়। পদোন্নতি দেয়া জনপ্রশাসনের রুটিন কাজ। সেটাই করা হয়েছে। গত শনিবার জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেন এক হয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে তারা যেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকেও নিয়ন্ত্রণ করছে। ক্ষমতার পালাবদলের জন্য তাদের যেন আওয়ামী লীগকেও প্রয়োজন পড়ে না।

এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, প্রশাসনে এটা রাজকোষের অপচয়, পদ দিলেও তাঁদের প্রয়োজনীয় কাজ দিতে পারবে না মন্ত্রণালয়। এতে জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হবে। তিনি বলেন, আমি সব সময় বলে আসছি, লিখে আসছি-প্রশাসন হবে দলমতের ঊর্ধ্বে। সবাই পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবে। কেউ রাজনীতি করবেন না। রাজনীতি করবেন রাজনীতিবিদরা। কর্মচারীরা কাউকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য যেমন চেষ্টা করবেন না, তেমনি কাউকে ক্ষমতায় আনার জন্যও ভূমিকা রাখবেন না। একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক দেশের জন্য দলমত নিরপেক্ষ প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই। এটা খুবই জরুরি।

এ বিষয়ে পিএমআরএসের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, সরকার পুরোপুরি প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের খুশি করতে ও সন্তুষ্ট রাখতেই পদ না থাকলেও ঢালাওভাবে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দলীয় কর্মকর্তাদের বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৩ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগে এভাবে পদোন্নতি দিয়েছে, এবারও তাই করা হয়েছে।বর্তমান সরকার প্রশাসনকে এমনভাবে সাজিয়েছে। যাতে আরেকটি নির্বাচন করে তারাই আবার ক্ষমতায় আসতে পারে। এমন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসাতে হবে, যাতে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

অপর দিকে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ এস এম আব্দুল হালিম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় গণতন্ত্র ও বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার কর্তৃক জনগণের ভোটাধিকার হরণ। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু রাষ্ট্রের মালিকানা এখন জনগণের হাতে নেই। বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় অসীন হয়েই নানাবিধ চালাকি ও হীন কৌশলের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্যে সর্বব্যাপী দলীয়করণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। অথচ নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ।

এদিকে প্রশাসনে দলবাজি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক সচিব এবং প্রশাসন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি আবু আলম মো. শহিদ খান বলেন, যতদিন দল এবং রাজনীতিতে প্রকৃত শুদ্ধি অভিযান হবে না, ততদিন প্রশাসনে সফল হবে না। একটি সুস্থ গণতান্ত্রিক দেশের জন্য দলমত নিরপেক্ষ প্রশাসনের কোনো বিকল্প নেই। এটা খুবই জরুরি।

এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, সরকার এখন পুরোপুরি প্রশাসনের ওপর নির্ভরশীল। জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের খুশি করতে ও সন্তুষ্ট রাখতেই পদ না থাকলেও পদোন্নতি দিচ্ছে। নিরপেক্ষ প্রশাসন করতে হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

জানা গেছে, সংবিধানের ভাষায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা কোনো দলকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা যেমন করবে না, তেমনি কোনো সরকারকে ক্ষমতা থেকে ফেলে দেওয়া ষড়যন্ত্রও করবে না। আমলারা আইন ও বিধিবিধানের মধ্যে থেকে রাজনৈতিক সরকারের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে। কারণ দেশ চালাবেন রাজনীদিবিদরা। সংবিধান, সংসদ এবং সরকার সবার ওপরে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের সেবক হিসাবে কর্মচারীর মতো কাজ করবেন। এমন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

প্রশাসনে প্রায় সময় আমরা মন্ত্রীদের মুখে বলতে শুনি-দল ও প্রশাসনের মধ্যে নানারকম ভূত ঢুকে পড়েছে। যাদের বিভিন্ন নামেও ডাকা হয়। কয়েকটি শব্দ তো সবার মুখে মুখে উচ্চারিত হয়। যেমন-হাইব্রিড, কাউওয়া, অনুপ্রবেশকারী, ষড়যন্ত্রকারী ইত্যাদি। কিন্তু এ নিয়ে খোদ সরকারপন্থি কর্মকর্তাদেরও অনেকের প্রশ্ন। তারা বলেন, এত তথ্য যখন আমরা জেনে ফেলেছি এবং বাস্তবে এসব অভিযোগ ও অনুমানের অনেকখানি তো সত্যও বটে, তাহলে এদের বিরুদ্ধে কার্যকর শুদ্ধি অভিযান শুরু হচ্ছে না কেন? কবে সেই শুদ্ধি অভিযান হবে। একেবারে সময় চলে গেলে, না নির্বাচন শেষ হলে?

এদিকে সরকারি দল সমর্থক বলে পরিচিত সাবেক ও বর্তমানে কর্মরত বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, আমরাও কখনো চাইনি প্রশাসনে নোংরাভাবে দলীয়করণ করা হোক। তবে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে যেভাবে প্রশাসনকে দলীয়করণ করে শত শত কর্মকর্তাকে পদোন্নতিবঞ্চিত, চাকরিচ্যুত করাসহ নানাভাবে হয়রানির রেকর্ড তৈরি করা হয়েছিল তা থেকে পুরো জাতি মুক্তি চেয়েছিল। পাশাপাশি সবার দাবি ছিল,যেন জড়িতদের শাস্তি হয় এবং ক্ষতিগ্রস্তরা কিছুটা হলেও বেনিফিট পায়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে একটি প্রতিকার কমিটিও করে দেন। তারপর অনেকে চাকরি ফিরে পান। এছাড়া কিছু কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হয়। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই জোট সরকার আমলের ৮০ শতাংশ (চারদলীয় জোট সরকারপন্থি) আমলারা রাতারাতি সব আওয়ামী লীগার হয়ে গেল। পরে দিনকে দিন তাদের আধিপত্য বাড়তে থাকে। পরে দেখা গেল সবাই আওয়ামী লীগ। বাস্তব তথ্য হলো-প্রকৃত আওয়ামী লীগ করা এবং একই সঙ্গে পেশাদার সেসব আমলার অনেকের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি। বরং সরকারের প্রথম দুবছরের মাথায় এসে আমরা দেখতে পেলাম-একশ্রেণির সুবিধাবাদীদের দখলে সব গুরুত্বপূর্ণ পদ চলে গেছে। বর্তমানের যেসব কর্মকর্তারা এ সরকারের আমলে পদোন্নতি পেয়েছেন তারা আওয়ামীলীগের সারারণ কর্মীর চেয়ে বড় আওয়ামলীগের হয়ে কাজ করছেন। তবে তারা পদও সুযোগ সুবিধান নেয়ার জন্য করছেন।

প্রশাসেন পদ না থাকলেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিপুলসংখ্যক কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের খুশি রাখতে আবারো পদোন্নতির প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে অনুমোদিত পদের চেয়ে অনেক বেশিসংখ্যক পদোন্নতি দেওয়ায় এসব কর্মকর্তার বেশির ভাগকে আগের পদে কাজ করতে হবে। অথবা বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হয়ে থাকতে হবে। বিশ্লেষকদের মতে, আগের দুই জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও ভোটের আগে জনপ্রশাসনে পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে।
গত সোমবার প্রশাসনে ২২১ জন উপসচিব ও সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে যুগ্ম সচিব করা হয়েছে। এর আগে গত মে মাসে ১১৪ জন অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। আগামী মাসে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২৯তম ব্যাচকে পদোন্নতি দেওয়া হবে। ১০ জন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব হয়েছেন। তাদের মধ্যে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুজন করে এবং ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের একজন করে রয়েছেন। সর্বশেষ যে ২২১ জনকে উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে সরকারের ১১ জন হলেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একান্ত সচিব (পিএস)। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর পিএস আহমদ কবীর, বাণিজ্যমন্ত্রীর পিএস মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার, সমাজকল্যাণমন্ত্রীর পিএস সারোয়ার হোসেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রীর পিএস মো. আক্তারুজ্জামান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর পিএস মো. রেজাউল আলম ও শিল্প প্রতিমন্ত্রীর পিএস শাহ মোমিন। জাতীয় সংসদের স্পিকারের পিএস আবদুল মালেক, সংসদ উপনেতার পিএস মোহাম্মদ শাহজালাল, হুইপের পিএস মো. তোফাজ্জল হোসেন,দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের পিএস আল মামুন ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যানের পিএস মোহাম্মদ গোলাম কিবরীয়াকে যুগ্ম সচিব করা হয়েছে। ১০ জন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পদোন্নতি পেয়ে যুগ্ম সচিব হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুজন করে এবং ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের একজন করে রয়েছেন। পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস ও হাইকমিশনে কর্মরত ছয়জন কর্মকর্তাও আছেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসনে যুগ্ম সচিবের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৩৩২। গত বছরের নভেম্বরে ১৭৫ জনকে যুগ্ম সচিব করার পর এই পদে কর্মকর্তার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৭২৫। এই পদে সর্বশেষ সোমবার ২২১ জনকে পদোন্নতি দেওয়ার পর যুগ্ম সচিবের সংখ্যা দাঁড়াল ৯৪৬। এখন দেশে অনুমোদিত পদের চেয়ে যুগ্ম সচিবের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে বেশ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা পদোন্নতি পেতে পারেন। এখন উপসচিবের নিয়মিত পদ আছে এক হাজারের মতো।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে বেশ কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা পদোন্নতি পেতে পারেন। এখন উপসচিবের নিয়মিত পদ আছে এক হাজারের মতো। সারা দেশে সমপর্যায়ের পদগুলো মিলিয়ে উপসচিব বা সমপর্যায়ের পদ আছে ১ হাজার ৭৫০-এর মতো। বর্তমানে এই পদে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৬৯৮ জন। নতুন পদোন্নতির পর অনেক উপসচিবকেও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিবের পদে কাজ করতে হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি (নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবদুস সবুর ম-ল বর্তমানে সচিব ইনকিলাবকে বলেন,এটা নির্বাচন সামনে রেখে পদোন্নতি নয় এটা নিয়মিত পদোন্নতি। অনেক দিন পর এই পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পদ না থাকলেও কেন এতসংখ্যক পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, এই প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, শূন্য পদের বিপরীতে পদোন্নতি দেওয়া হয়, বরং কমই দেওয়া হয়েছে।

https://dailyinqilab.com/national/article/601720