৩০ এপ্রিল ২০১৭, রবিবার, ১:২০

সিলেটের জকিগঞ্জে কুশিয়ারার ভয়াবহ ভাঙ্গন ॥ বৃদ্ধি পাচ্ছে ভারতের মানচিত্র

সিলেটের জকিগঞ্জে নদীভাঙ্গনের মুখে আতংকিত পৌর এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা, আতংকিত উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। যেকোন মুহূর্তে কুশিয়ারা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে তাদের বাড়িঘর দোকানপাট ও ক্ষেতের জমি ও সহায়সম্পদ। সেই বিগত ১৯৮৪ সালেল পর থেকে কুশিয়ারা নদীর তীর রক্ষার্থে কোন কাজ হয়নি পানি উন্নয়নবোর্ড পাউবোর। চরম অবজ্ঞা অবহেলায় পড়ে নদীভাঙ্গনে ক্রমশ সংকোচিত হচ্ছে জাকিগঞ্জ পৌরসভা ও উপজেলাসহ দেশের মানচিত্র। ভরাট হচ্ছে ভারতের করিমগঞ্জ শহর ও জেলার তীর। ক্রমশ বাড়ছে প্রতিবেশী ভারতের মানচিত্র। বারবার আবেদন নিবেদন করেও কোন প্রতিকার পচ্ছেন না উপজেলা ও পৌরবাসী, টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের।

জকিগঞ্জ পৌরসভার ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড এলাকাধীন ছয়লেন কেছরীসহ রয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। ওই এলাকায় বসবাস প্রায় ১৫ হাজার পরিবারের। রয়েছে তাদের বাড়িঘর, দোকানপাট, মসজিদ-মাদরাসা, স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। খরশ্রোতা কুশিয়ারা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের মুখে তারা হারাতে বসেছেন সবকিছু। ইতোমধ্যে তাদের এলাকার অনেক বাড়িঘর ও স্থাপনা বিলীন হয়ে গেছে কুশিয়ারা গর্ভে। এলাকাবাসী তাদের জানমালসহ মাথা গোঁজাবার ঠাঁই রক্ষায় বর্তমান সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী খলিল উদ্দিন ও কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন জানান, পৌর এলাকাকে ভয়াবহ নদীভাঙ্গন থেকে রক্ষা পৌর কর্তৃপক্ষের সামর্থ্য ও কর্তৃত্বের বাইরে। ভাঙ্গন রোধে আমরা পাউবো কর্তৃপক্ষকে বার বার তাগিদ দিয়ে আসছি, কিন্তু কর্তৃপক্ষের টনক নড়ছে না। ফলে পৌরসভাসহ পুরো উপজেলার মানচিত্র ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবো’র জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খোরশেদ অলম জানান, শুধু পৌর এলাকা নয়, উপজেলার ছয়লেন কেছরী, মানিকপুর, উজিরপুর, রারাই,রাখশান, সেনাপতির চক, লক্ষীপুর প্রভৃৃতি পুরো উপজেলার প্রায় ৪২ কিলোমিটার এলাকা কুশিয়ারার ভাঙ্গনের মুখে। বিশেষ করে ভয়াবহ ভাঙ্গনের মুখে জকিগঞ্জ পৌরসভার ৫টি এলাকা। নদীভাঙ্গন রোধে আমরা পৃথক পৃথক প্রকল্পে প্রায় ৮০ কোটি টাকা বরাদ্ধের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছি। সরকারের একনেকের বৈঠকে প্রকল্পগুলো অনুমোদিত না হওয়ায় বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না এবং ভাঙ্গনরোধে কোন কাজও করা যাচ্ছে না বলে জানা তিনি।

http://www.dailysangram.com/post/281945