৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:২৬

দুর্গম পথে জামায়াতের অগ্রযাত্রা ও আমার কিছু কৈফিয়ত

ড. মো. নূরুল আমিন

গত সপ্তাহে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উত্থান ও কর্মতৎপরতার ওপর লিখিত পাঁচ কিস্তির আমার ধারাবাহিক নিবন্ধটির ব্যাপারে দেশ-বিদেশের পাঠক-পাঠিকদের বেশ কিছু প্রতিক্রিয়ার প্রতি আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সামাজিক মাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুক, টুইটার, লিংকড ইন এবং টেলিফোন, হোয়াটসআপে প্রাপ্ত এই প্রতিক্রিয়াগুলোতে অনেকেই নিবন্ধে সন্নিবেশিত তথ্যগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী আখ্যায়িত করে পুস্তকাকারে প্রকাশের অনুরোধ করেছেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন যে, নিবন্ধটিতে জামায়াতের সাফল্যের কথাই বেশি বলা হয়েছে। এর কারণগুলোর বিশ্লেষণ যেমন কম তেমনি ব্যর্থতাসমূহেরও উল্লেখ কম। রাজশাহী বিভাগের একজন সম্মানিত সাবেক এমপি আমার পরিবেশিত তথ্যের একটি ত্রুটিও সংগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের নজরে এনেছেন। আমি আমার তথ্যে বলেছিলাম যে, ১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে জামায়াতের কোনো প্রতিনিধি নির্বাচিত হননি। তিনি বলেছেন যে, তথ্যটি ঠিক নয়; বগুড়া থেকে এমএনএ হিসাবে মাওলানা আবদুর রহমান ফকির (মরহুম) জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

উপরোক্ত প্রতিক্রিয়াগুলোর আলোকে আমি আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে চাই। এখানে একটা কথা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, পাঁচ কিস্তিতে প্রকাশিত আমার এই নিবন্ধটির ওপর জামায়াতের তরফ থেকে আমি ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনো মন্তব্য পাইনি। এখন মূল বিষয়ে আসি।

প্রথমত নিবন্ধে সন্নিবেশিত তথ্য-উপাত্তসমূহ সম্পূর্ণভাবে আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি পাঠকদের কাছে পরিবেশন করার চেষ্টা করেছি। জামায়াতের ইতিহাস সম্পর্কে যে কয়টি বই বাজারে পাওয়া যায় সেগুলোতে এসব তথ্য পাওয়া যাবে না। এসব তথ্য জামায়াতের ইতিহাস বইয়ের অন্তর্ভুক্ত করা অথবা নতুন করে ইতিহাস রচনা করা নিঃসন্দেহে জামায়াতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। আমি একজন নগণ্য লেখক মাত্র। আবার লেখকরা প্রকাশক হয়েছেন এমন নজিরও কম। পুস্তক প্রকাশের জন্য পুঁজির দরকার। প্রকাশিত পুস্তক বাজারজাত করার জন্য নেটওয়ার্ক থাকতে হয়। আমার এর কোনোটাই নেই।

দ্বিতীয়ত আমার নিবন্ধটির মূল থিম ছিল জামায়াতের ওপর সরকারি-বেসরকারি নির্যাতন সত্ত্বেও তার অগ্রযাত্রা। এখানে ব্যর্থতার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই খুব কম এসেছে। সাফল্যের কথাও আমি যে খুব বেশি বলেছি তা নয়। দেশ-বিদেশে জামায়াতের সবচেয়ে বড় যে সাফল্যটি সেটা হচ্ছে জালেমের সঙ্গীনের মুখে অকুতোভয় থেকে ঈমানের ঝা-া উঁচু করে টিকে থাকা। জামায়াত নেতাদের ওপর জেল-জুলুম-অত্যাচারের স্টিমরোলার চালানো ছাড়াও শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ফাঁসির রায় ও বাতেলের কাছে ক্ষমা না চেয়ে হাসিমুখে কালেমা পড়তে পড়তে ফাঁসির মঞ্চে তাদের আরোহণ ইসলামী আন্দোলন হিসেবে জামায়াতকে সারা দুনিয়ায় প্রশংসার তুঙ্গে তুলে দিয়েছিল। একটি ঘটনার কথা বলি। যে দিন জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছিল তার পর দিন আমি তুরস্কের একটি হোটেলে ওআইসি আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগদানের জন্য ইস্তাম্বুল এয়ারপোর্টে পৌঁছে ছিলাম। আমার সাথে আরো দু’জন প্রতিনিধি ছিলেন। বর্তমানে মানারাত বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জনাব হাফিজুল ইসলাম ও ওয়ামির সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রেদওয়ানুর রহমান। এয়ারপোর্ট থেকে একটা ট্যাক্সিতে আমরা হোটেল সিটি ইন-এ পৌঁছলাম। পথে ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে আমাদের টুকটাক কথা হলো এবং পরিচয় হলো। আমরা বাংলাদেশি এই কথাটি বলার সাথে সাথে তার মধ্যে যে উল্লাস দেখেছি তা ভোলার মতো নয়। তিনি কাদের মোল্লার ফাঁসির কথা উল্লেখ করে বললেন যে কাদের মোল্লা আমাদের আইডল। এই শতাব্দীতে ইসলামী আন্দোলন করার কারণে তিনি ফাঁসির দ- পেয়ে যেভাবে হাসিমুখে প্রাণ দিয়েছেন তা ভাবা যায় না। বাংলাদেশে এমন ঈমানদার ব্যক্তি আছেন তা শুনতে গর্বে আমাদের বুক ভরে যায়। কাদের মোল্লার দেশের লোক হিসেবে আমরা তোমাদের সালাম জানাই। অনেক সাধাসাধি করা সত্ত্বেও এই ট্যাক্সি ড্রাইভার ভাইটি আমাদের কাছ থেকে ভাড়া নেননি।

ওআইসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সেদিন কাদের মোল্লার দোয়ার অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছিল। অনুষ্ঠানের সভাপতিসহ অভ্যাগত অতিথিরা কাদের মোল্লার পাশাপাশি যে সংস্থা তথা জামায়াত কাদের মোল্লার মতো মুমিন তৈরি করেছে তার জন্যও প্রাণভরে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছেন। শুধু কাদের মোল্লা নয় জামায়াতের অন্যান্য নেতাদের ফাঁসির পরও মুসলিম দুনিয়ায় অনুরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। জামায়াত নেতাদের ফাঁসি জামায়াত নেতৃত্বে শূন্যতার সৃষ্টি করেছে সন্দেহ নেই, তবে এর ফলে জামায়াতের যে ইমেজ দেশে-বিদেশে সৃষ্টি হয়েছে, জামায়াতের অগ্রযাত্রায় তা বিশাল ভূমিকাও রেখেছে।

গত পাঁচ দশকে জামায়াত যে ভুল-ভ্রান্তি করেনি তা বলা যাবে না। জামায়াত মানুষের একটি সংগঠন; মানুষ মাত্রই ভুল হয়। আবার সংগঠন যখন বড় হয় তখন ভুলের মাত্রাও কিছু বাড়ে। কেননা জনবলের মান ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। আমার দৃষ্টিতে জামায়াতের লোক তৈরির প্রক্রিয়ায় অধ্যয়ন, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও আমলে সালেহর ভূমিকা বিশাল। জামায়াতের প্রসার ও ব্যাপ্তি প্রত্যাশিত মাত্রার চেয়ে বেশি হওয়ায় এই খাতের কাজে সাফল্যের মাত্রা ততো পরিলক্ষিত হয় না। স্বাভাবিক অবস্থায় জামায়াতের ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মকা- ছিল। কিন্তু এই সরকার আসার পর তা ব্যাহত হয়েছে। পাঠকদের নিশ্চয়ই মনে আছে মগবাজারের আল ফালাহ ভবনটি প্রশিক্ষণ, সেমিনার সিম্পোজিয়াম কর্মশালা প্রভৃতির জন্য নিবেদিত ছিল। গত ১৫ বছর ধরে তা বন্ধ। জেলা-উপজেলাগুলোর অবস্থাও তাই। ঘরোয়া বৈঠকও সরকার সহ্য করতে পারেন না। সীমিত আকারে যা চালু আছে তা হচ্ছে জুম প্ল্যাটফরম। এখানেও সমস্যা, যন্ত্রের যন্ত্রণা। নিয়মিত রিপোর্ট সংরক্ষণ ও তার পর্যালোচনা, আত্মশুদ্ধি ও আত্মগঠন, আত্মসমালোচনার বিধান ও পারস্পরিক সমালোচনা প্রভৃতি মানোন্নয়ন ও চরিত্র গঠনের কৌশলগুলো সঙ্গত কারণে আগের মতো শক্তিশালী নেই। এটা যদি কেউ ব্যর্থতা বলে গণ্য করতে চান, করতে পারেন। আরেকটি বিষয় আছে যা অনেকে ব্যর্থতার গ-িতে আনতে চান তা হচ্ছেÑ জামায়াত সংশ্লিষ্ট কিছু লোকের লোভ-লালসা ও দুনিয়াবি লাভালাভের প্রতি অতিরিক্ত ঝোঁকপ্রবণতা। প্রকৃতপক্ষে এসব ব্যর্থতার পেছনে জামায়াতের নীতিগত কোনো সিদ্ধান্তের নজির পাওয়া যায়নি। এগুলো ব্যক্তি বা গ্রুপের কর্মকা- যারা জামায়াতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে চাষি কল্যাণ সমিতির মাইক্রো ক্রেডিট ও সঞ্চয় কর্মসূচি, মাল্টিলেভেল মার্কেটিং-এর নামে কিছু লোকের প্রতারণা, প্লট ও ফ্ল্যাট বাণিজ্যের নামে অপকর্ম প্রভৃতি। কিছু কিছু লোক ইসলামী বিমার নামেও মানুষের সাথে প্রতারণা করেছে এবং তাদের মধ্যে যারা জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত ছিল তাদের জামায়াত বহিষ্কার করেছে।

জামায়াতের রাজনৈতিক ব্যর্থতার মধ্যে অনেকে ১৯৯৬ সালে ৩০০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এবং ২০০১ সালে বিএনপির সাথে কোয়ালিশন সরকারে যোগ দেয়াকে অন্তর্ভুক্ত করেন। জামায়াত পরামর্শের ভিত্তিতে তার সকল প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এই সিদ্ধান্তগুলোও ছিল পরামর্শভিত্তিক এবং এ প্রেক্ষিতে শরিয়া প্রতিপালনে সংগঠনটি ব্যর্থ হয়েছে বলে গণ্য করা যায় না।
এখন ১৯৭০ সালের নির্বাচন প্রশ্নে আসি।

পাকিস্তান আমলে জাীতয় সংসদকে বলা হতো জাতীয় পরিষদ। ১৯৭০ সালের ১০ ডিসেম্বর জেনারেল ইয়াহিয়া খান প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য তৎকালীন সরকার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ৭ দিন পর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল (১৭ ডিসেম্বর)। জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত আসন সংখ্যা ছিল ১৬৯, এর মধ্যে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ছিল ৭টি। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬০টি আসনে জয় লাভ করে। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৭টি আসন মিলিয়ে তাদের প্রাপ্ত মোট আসন ছিল ১৬৭টি। জামায়াত এখানে কোনো আসন পায়নি। আওয়ামী লীগ কর্তৃক প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল ১,২৯,৩৭,১৬২; মোট কাস্ট ভোটের ৩৯.২০%। পূর্ব পাকিস্তানে জামায়াত আসন না পেলেও ভোট প্রাপ্তির দিক থেকে তার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। জামায়াত প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল ১৯,৮৯,৪৬১ অর্থাৎ মোট প্রদত্ত ভোটের ৬.০৯ শতাংশ। এই নির্বাচনে ২৪টি দল অংশগ্রহণ করেছিল। তার মধ্যে আওয়ামী লীগ পশ্চিম পাকিস্তানে কোনো আসন পায়নি। জুলফিকর আলী ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি পূর্ব পাকস্তানে কোনো আসন পায়নি। দলটি পেয়েছিল মোট ৬১,৪৮,৯২৩ ভোট এবং ৫টি মহিলা আসনসহ ৮৬টি আসন। জামায়াত পশ্চিম পাকিস্তানে ৪টি আসন পেয়েছিল। জনাব নূরুল

আমিনের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ডেমোক্রেটিস পার্টির (পিডিপি) প্রার্থী হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানের জনাব নূলুল আমিন ময়মনসিংহের একটি আসন থেকে এমএনএ নির্বাচিত হন। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নির্দলীয় প্রার্থী হিসেবে রাজা ত্রিদিব রায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। কাজেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক এমপি জনাব লতিফুর রহমান সত্তরের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে বগুড়া থেকে মাওলানা আবদুর রহমান ফকির জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বলে যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়। তখন বগুড়া জেলায় জাতীয় পরিষদে আসন সংখ্যা ছিল ৫টি এবং এই পাঁচটি আসনেই আওয়ামী লীগ জয় লাভ করেছিল। অবশ্য প্রাদেশিক পরিষদে জনাব মাওলানা আবদুর রহমান ফকির জামায়াত প্রার্থী হিসেবে বগুড়ার একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বলা বাহুল্য, প্রাদেশিক পরিষদে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ১০টি আসনসহ ২৯৮টি আসন পেয়েছিল।

এখন জামায়াতের সামনে বৈশ্বিক কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে আলোচনা শেষ করতে চাই। প্রখ্যাত ভারতীয় গ্রন্থকার ও লেখক রঞ্জিত লাল মাধব ইসলামের বিরুদ্ধে বৈশি^ক সংগ্রাম ও ঘৃণার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ উল্লেখ করেছেন। কারণগুলো হচ্ছে :

১. সারা দুনিয়ায় বছরে ৩২১ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের মদ-বহির্ভূত মাদকসামগ্রীর ব্যবসা হয়।
২. বিশ্বব্যাপী বছরে মদ ও তরল পানীয় বিক্রির পরিমাণ হচ্ছে ১৬০০ বিলিয়ন ডলারের।
৩. বিশ্বব্যাপী বছরে অস্ত্র ব্যবসা হয় ১০০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের।
৪. সারা দুনিয়ায় বছরে বেশ্যাবৃত্তি বা দেহ ব্যবসা বাবত লেনদেন হয় প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার।
৫. জুয়া ও কেসিনো বাবত বছরে লেনদেন বা ব্যবসার পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার।
৬. বিশ্বব্যাপী বছরে অবৈধ সোনার ব্যবসা বাবত লেনদেন হয় ১০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে।
৭. সারা দুনিয়ায় কম্পিউটার গেম বাবত লেনদেনের বার্ষিক পরিমাণ হচ্ছে ৫৪ বিলিয়ন ডলার।

উপরোক্ত অবৈধ ও অনৈতিক ব্যবসার মোট বার্ষিক বাজার মূল্য হচ্ছে ২,৬৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইসলাম এসব অবৈধ ও অনৈতিক ব্যবসার ঘোর বিরোধী। বাংলাদেশসহ সারা বিশে^র ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তি ও সংস্থাগুলো মনে করে যে সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের এই ব্যবসাগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। জামায়াতকে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে এই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করতে হবে। এ ব্যাপারে বিশে^র বিভিন্ন দেশে তৎপর ইসলামী আন্দোলনগুলোর ঐক্য, সমঝোতা, সহযোগিতা ও কাজকর্মের সমন্বয় অপরিহার্য বলে আমি মনে করি।

https://www.dailysangram.info/post/534574