৮ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ১২:৪৫

কাপ্তাইয়ে ৪৮ পাহাড়ে ধস

চতুর্থ দিনের মতো পানির নিচে বন্দরনগরী

-সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ

টানা চতুর্থ দিনের মতো পানিতে ডুবেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার সড়ক ও অলি-গলি। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আড়াই শ’ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। গতকাল সোমবারও নগরীর অর্ধেকের বেশি এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বরাবরের মতো গতকালও বাসাবাড়ির নিচতলার হাজারো বাসায় চুলা জ্বলেনি। সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা বিভিন্ন এলাকায় ৯ হাজার পরিবারে খাবার বিতরণের দাবি করেছে, যদিও তা পানিবন্দী মানুষের তুলনায় খুবই নগণ্য। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ বন্ধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তা ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ভারী বৃষ্টির কারণে গতকালও নগরীর বহদ্দারহাট, চকবাজার, চান্দগাঁও, ফরিদার পাড়া, বারইপাড়া, কে বি আমান আলী রোড, শুলকবহর, মুরাদপুর, বাদুরতলা, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, ফুলতলী, বউবাজার, রাহাত্তর পুল, কালাম মিয়াবাজার, খাজা রোড, খতিবের হাট, রিয়াজউদ্দিন বাজার, দুই নম্বর গেট, আকবর শাহ, ঝাউতলা, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল এলাকা, ডিসি রোড, সিরাজউদ্দৌলা সড়ক, বাকলিয়াসহ নগরীর বিস্তীর্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময় নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন বাজার এবং দোকানপাট চার দিন ধরে পানি নিমজ্জিতই ছিল। গতকাল বিকেল নাগাদ অধিকাংশ এলাকার পানি নেমে গেলেও সড়কে রেখে গেছে ক্ষতচিহ্ন। অসংখ্য খানাখন্দকে ভরে গেছে সড়ক, অলি-গলি। এসব খানাখণ্ড দ্রুত সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করেছে। এর মধ্যে আজ সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আজ চট্টগ্রামের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ : এ দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ৮ থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গতকাল সোমবার নিজ নিজ কর্তৃপক্ষ এ ছুটি ঘোষণা করে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) পরিচালক মো: শাহেদুল খবির চৌধুরী (কলেজ ও প্রশাসন উইং) বলেন, শুধু মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগরীর সরকারি ও বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। অবস্থা উন্নতি সাপেক্ষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ দিকে অতিবৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা ১০ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা থাকবে।

কক্সবাজারে পাহাড়ধসে রোহিঙ্গাসহ ৪ জন নিহত
গোলাম আজম খান কক্সবাজার অফিস জানায়, কক্সবাজারে ভারী বর্ষণের সৃষ্ট কারণে পাহাড়ধসে দুই রোহিঙ্গাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো দুই জন। অপর দিকে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারের কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলার চকরিয়া, পেকুয়া, রামু সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ৬০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে এসব এলাকার দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। মাতামুহুরী নদী ও বাঁকখালী নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাতামুহুরী নদীতে ঢলের পানির সাথে আসা লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নদীর লারচর পয়েন্টে এক যুবক ঢলের পানির সাথে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন।

উখিয়া ৮ এপিবিএন পুলিশের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো: আমির জাফর জানিয়েছেন টানা ভারী বর্ষণ চলাকালে গতকাল বিকেলে উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পের এ ব্লকে পাহাড় ধসে পড়লে রোহিঙ্গা আনোয়ারুল ইসলামের বাড়ি ধসে পড়ে মাটি চাপা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের টিম রোহিঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক এসে মাটি খুঁড়ে আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাত আরা ও তার দুই বছর বয়স্ক মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান জানান, টানা বর্ষণজনিত কারণে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পাহাড় ধসে পড়লে বাড়ির দেয়াল চাপায় দুই শিশু নিহত হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলার কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বরইতলী, চিরিঙ্গা, ল্যারচর, কৈয়ারবিল, ফাসিয়াখালী চকরিয়া পৌরসভার বিএমচর পেকুয়া সদর ইউনিয়ন রামু উপজেলার গর্জনিয়া কচ্ছপিয়া কাউয়ার রাজারকুল ইউনিয়নে বেশির ভাগ গ্রামে বন্যার পানি ঢুকেছে। এসব গ্রামের সড়কগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

কাপ্তাইয়ের ৪৮টি স্থানে পাহাড় ধস ও ভাঙনে ১৭১টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
রাঙ্গুনিয়া-কাপ্তাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, টানা বর্ষণে কাপ্তাইয়ে ৪৮টি স্থানে ভাঙন ও পাহাড় ধসে ১৭১টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাপ্তাই সড়কে পাহাড় ধসে ও গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত ৩৫৭ জনকে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গতকাল কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মহিউদ্দিন পাহাড় ধসের ঘটনাস্থল ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।

চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন বলেন, বরইছড়ি ও কলেজ গেট এলাকায় গতকাল পাহাড় ধসে অনিল তনচংগ্যা, রফিকুল ইসলাম সুমনের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গতকাল সকালে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েকটি পরিবার এসেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, অতি ঝুঁকিতে বসবাস করছে কাপ্তাই ঢাকাইয়া কলোনি, আফসারের টিলা, বাংলা কলোনির শতশত পরিবার।

কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক মাহাবুব হাসান বাবু বলেন, উপজেলা প্রশাসনের প্রচারণায় অনেকেই সচেতন হচ্ছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৫টি পরিবারের ৩৪৪ জন আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য খাবার ও থাকার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

চকরিয়ার ও পেকুয়ার নিম্নাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী
চকরিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা জানান, চকরিয়ায় ও পেকুয়ার লোকালয়ে বন্যার পানি ঢুকে কয়েক লাখ লোক পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকায় সড়ক যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে।

উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর সড়ক, বমুবিলছড়ি সড়ক ও চকরিয়া, লামা, আলীকদম সড়কে পাহাড় ধসে ও বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিরামহীন ভারী বর্ষণে ও ঢলের পানি বিভিন্ন পয়েন্টো ঢুকে পড়ায় উপজেলার সুরাজপুর, মানিকপুর, বমু বিলছড়ি, কাকারা, ফাঁসিয়াখালী, হারবাং, সাহার বিল, পূর্ব বড় ভেওলা ও পৌর এলাকার ৮ নং, ৯ নং ও ২ নং ওয়ার্ডের শহর রক্ষাবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। বর্তমানে কয়েকটি ইউনিয়নের রাস্তা ডুবে যাওয়ার ফলে বেশকিছু নিম্নাঞ্চলের মানুষ নৌকা দিয়ে পারাপার করছেন।

সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল হক আজিম জানান, এলাকার সর্বসাধরণকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য এবং যেকোনো সমস্যা ও প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানান।

দক্ষিণ চট্টগ্রামে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী
পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামে কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এ দিকে গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে গতকাল সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রাম-মহাসড়কের উপর দিয়ে পাহাড়ি ঢল প্রবাহিত হওয়ায় যানবাহন চলা চল মাঝে মাঝেই বন্ধ হয়ে পড়ছে। এর চেয়ে বেশি প্রাবাহিত হলে যেকোনো সময়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হওয়া আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে ও পাহাড়ি ঢলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের উপর দিয়ে প্রবাহিত শঙ্খ নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া জেলার পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বোয়ালখালী ও কর্ণফুলী উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার উপর দিয়ে ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়া স্থায়ীভাবে বন্যার আকার ধারণ করছে, এসব উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ কায্যত পানিবন্দী হয়ে মহাদুর্ভোগে পড়েছে।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল প্রবাহিত হলেও গতকাল সোমবার থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামে স্থায়ী ভাবে বন্যায় রূপ ধারণ করছে।

কয়েক দিনের অবিরাম বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে পল্লীবিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পটিয়া-১-এর আওতায় সমগ্র দক্ষিণ চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে খুঁটি ভেঙে উপড়ে ও তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামে অন্তত ৭০/৮০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছে বলে জানা গেছে।

গতকাল যোগাযোগ করা হলে পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পবিস পটিয়া-১-এর জেনারেল ম্যানেজার দিলীপ চন্দ্র চৌধুরী গতকাল ৭ আগস্ট রাতে নয়া দিগন্তকে জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এবং দমকা বাতাসে ৩৩টি খুঁটি ভেঙেছে আর ৪৩টা খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত ছাড়াও অন্তত তিন শতাধিক স্পটে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের ছয় লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে অন্তত ৭০ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎবিহীর অবস্থায় রয়েছে। তিনি গত ২৪ ঘণ্টা ধরেই ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন মেরামতে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এক দিকে মেরামত করা হচ্ছে অন্য দিকে নতুনভাবে কোথাও না কোথাও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ভেঙে ও তার ছিঁড়ে যাচ্ছে। এ কারণে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে বলে তিনি গতকাল রাতে নয়া দিগন্তকে নিশ্চিত করেছেন।

নালায় ডুবে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা জানান, হাটহাজারীতে নালায় ডুবে নিপা পালিত (২০) নামের এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার(৭ জুলাই) সকালে কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা নালায় পড়ে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিপা পালিত উপজেলার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন-চসিক দক্ষিণ পাহাড়তলী ১ নম্বর ওয়ার্ড ইসলামিয়া হাট এলাকার উত্তম পালিতের মেয়ে। তিনি হাটহাজারী কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। নিপা পালিতের পারিবারিক সূত্র জানায়, সোমবার ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তার পরীক্ষা ছিল। সকালে পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় হঠাৎ বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা নালায় পড়ে গেলে আর উপরে উঠতে পারেননি। পরে সেখান থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।

হাটহাজারী মডেল থানার পরিদর্শক নুরুল আলম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, বাড়ির সামনের সড়কে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।


https://www.dailynayadiganta.com/first-page/768208