৭ আগস্ট ২০২৩, সোমবার, ১২:১৮

ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৭৬৪ মৃত্যু ১০ জনের

সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে গতকাল রোববার। গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৭৬৪ জন এবং একই সময়ের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। এ নিয়ে চলতি আগস্ট মাসেই ডেঙ্গুতে ৬২ জন মারা গেল। চলতি বছর সব মিলিয়ে মারা গেছে ৩১৩ জন। এর আগে গত ৩১ জুলাই দেশে এ পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক ২ হাজার ৭৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।

এদিকে গতকাল দুপুরে ডেঙ্গুবিষয়ক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএসের পরিচালক অধ্যাপক ডা: শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এখন থেকে আগামী ২ সপ্তাহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তিনি বলেন, ২০২২ সালে অক্টোবর মাসে ডেঙ্গু স্থিতিশীল হয়েছিল। এবার আশা করা যাচ্ছে, চলতি মাসে স্থিতিশীল হবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জিন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম বলছে, গতকাল যে ২ হাজার ৭৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার ২০ সরকারি ও ৫৬ বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৭৮ জন এবং ঢাকা শহরের বাইরে ঢাকা বিভাগসহ অন্যান্য ৭ বিভাগে এক হাজার ৬৮৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সব মিলিয়ে এ বছর ৬৬ হাজার ৭৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। সারা দেশে ৯ হাজার ৩৪৭ জন রোগী গতকাল পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল।

এদিকে দেশে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ব্যবহৃত স্যালাইন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতদিন সরকারি ওষুধ কোম্পানি এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) স্যালাইন তৈরি করে দেশের সব সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করে আসছিল। কিন্তু ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে দেশে স্যালাইন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। কিন্তু সরকারি হাসপাতালগুলো ইডিসিএলের সরবরাহ না পেলেও তারা বেসরকারি কোম্পানির স্যালাইন কিনতে পারছিল না। ফলে রোগীদের উপর নির্ভর ছিল হাসপাতালগুলো, রোগীদের অভিভাবকরা স্যালাইন কিনে চিকিৎসা চালু রেখে আসছিল। এ পরিস্থিতিতে গতকাল স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এখন থেকে সরকারি হাসপাতালও বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে পারবে। এতদিন ইডিসিএলের তালিকাভুক্ত ওষুধ যদি হাসপাতাল বাইরে থেকে কিনলে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা (পানিশমেন্ট) নেয়া হতো। গতকাল ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, যে ওষুধগুলো ইডিসিএল দিতে পারবে না, সেগুলো বাইরে থেকে কিনতে হলে তাদের একটা আনাপত্তি ছাড়পত্র (এনওসি) লাগে। মহাপরিচালক বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা সবাইকে এনওসি দেয়ার ব্যবস্থা করছি যাতে করে তারা বাইরে থেকে স্যালাইন কিনতে পারে। অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, ‘স্যালাইন কেনার জন্য হাসপাতালগুলোকে আলাদা অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তারা এই টাকা খরচ করতে পারবে সেই এখতিয়ারও তাদের দেয়া হয়েছে।’ একই অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিটের দাম বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত কিট আছে। রোগীদের সরকারি হাসপাতালে আসতে হবে। সব জায়গায় আমাদের এই পরীক্ষার ব্যবস্থা আছে। প্রতিটি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কিট দেয়া আছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো কোথা থেকে কিট কিনছে, সেটার দাম কী নিচ্ছে তা আমার জানা নাই।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/767949