৬ আগস্ট ২০২৩, রবিবার, ১১:৫৬

চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ চরমে

চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে গতকাল শনিবারও দ্বিতীয় দিনের মতো মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। বাসাবাড়ী, দোকানপাটে পানি ঢুকায় ভোগান্তি অসহনীয় হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি থাকা, ড্রেন অপরিষ্কার থাকা, ময়লা ভরা থাকায় পানিবদ্ধতার অন্যতম কারণ এবং নালা নর্দমা ভরাট থাকায় পানি নামতে দেরি হচ্ছে। চাক্তাই খাল, রাজাখালী খাল সংলগ্ন এলাকায় এর বেশি প্রভাব পড়েছে।

এদিকে চট্টগ্রামে চলমান পানিবদ্ধতার ১০ হাজার কোটি টাকার তিনটি প্রকল্প চলমান রয়েছে কিন্তু প্রকল্পের কাজে সিডিএ সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয় না থাকায় নগরীর নালা নর্দমার ময়লার অপসারণ ঠিক মত না হওয়ায় অল্প বৃষ্টি হলেও পানি উঠছে নগরীর নি¤œাঞ্চলে। তাই নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভের অন্ত নেই। এদিকে গতকাল শনিবারও চট্টগ্রাম মহানগরীর বহাদ্দারহাট, বাকলিয়া, চান্দগাও, হালিশহর, রেয়াজউদ্দিনবাজার, তিনপোলের মাথা, পাথরঘাটা, চাক্তাই, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে চকবাজার, রেয়াজউদ্দিনবাজার, চাক্তাই, বাকলিয়া এলাকার সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। এ সব এলাকার ব্যবসায়ীদের মালামাল ভিজে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। তাই ব্যবসায়ী পানিবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান দাবি করছেন।
নগরীর কাপাসগোলা ও চকবাজার এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, বহদ্দারহাট-বাদুরতলা-চকবাজার সড়কের কাপাসগোলা এলাকা যেন খালে পরিণত হয়েছে। সড়কটির কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে যায়। এ সময় মোটরযান চলাচল ব্যাহত হয়। ইঞ্জিনে পানি ঢুকে যাওয়ায় অনেক অটোরিকশা বিকল হয়ে পড়ে। নগরীর মুরাদপুরের অবস্থা ছিল আরও ভয়াবহ। পানিবদ্ধতা এড়াতে অনেক যানবাহন বহদ্দারহাট মোড় থেকে যানবাহন ফ্লাইওভার দিয়ে লালখানবাজার পর্যন্ত চলাচল করে। এ কারণে ফ্লাইওভারেও যানজট সৃষ্টি হয়।

এদিকে চকবাজার বাকলিয়ার বাসিন্দারা জানান, পানিবদ্ধতার দুর্ভোগ যেন তাদের নিত্যসঙ্গী। পানিতে সব ডুবে যায়। বাসাবাড়ি, দোকানপাটে পানি ঢুকে যাওয়ায় দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে অসহনীয় হয়ে উঠেছি। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে যাওয়ায় স্থানীয়দের দুর্ভোগ ছিল চরমে। রান্নাসহ অন্যান্য প্রাত্যহিক কাজ করতে বেগ পেতে হয় তাদের। বহাদ্দারহাট এলাকায় নয়ন নামে এক পথচারী বলেন পানিবদ্ধতার জন্য মানুষের কষ্টের কোনো সীমানা নেই। ড্রেন পরিষ্কার না করলে পানি কীভাবে যাবে? মোজাম্মেল নামে আরেকজন বলেন, আমরা চট্টগ্রামবাসী খুব দুর্ভোগের মধ্যে আছি। অল্প বৃষ্টি হলেই পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। সরকার এবং মেয়রের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে যত দ্রুত সম্ভব নগরবাসীকে এ কষ্ট থেকে মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা যেন করেন। নগরীতে পানিবদ্ধতার ক্ষোভে কলামিস্ট মাহমুদুল হাসান আনসারী বলেন, বৃষ্টির পানিতে চট্টগ্রাম শহরের অলিগলিতে পানি থই থই করছে। চট্টগ্রাম শহর এলাকার মার্কেট, বাজার, পানিতে ভাসছে। চকবাজার, বহদ্দারহাট, বাকলিয়া, খাজারোড, জিইসি, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় বৃষ্টির পানিতে জনভোগান্তি চরম পর্যায়ে। রিয়াজউদ্দীন বাজারের অনেকগুলো ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান বৃষ্টির পানির নিস্কাশন না থাকায় লাখ লাখ টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে। খাতুনগঞ্জের পাইকারী দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। নিত্যপণ্যের অনেক কাঁচামাল পানির কারণে নষ্ট হয়েছে। নগরীর যে সকল ড্রেইন নালা খাল রয়েছে প্রায় খাল, নালা অপরিস্কার। শহর এলাকার ৪১টি ওয়ার্ডের যতগুলো নালা ড্রেইন আছে। প্রায় ড্রেইন অপরিষ্কার। ময়লার সমস্ত উচ্ছিষ্ট নালায় জমাট বেঁধে স্তূপ হয়ে আছে। ২ নং গেইট থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত দুই পাড়ে যে ড্রেইন আছে তা ময়লার স্তূপে ভরপুর। চকবাজার, কাপাস গোলা, কাঁচাবাজার, চট্টগ্রাম কলেজ এলাকা, সিরাজউদ্দৌলা রোড সংলগ্ন ড্রেইন গুলো ময়লার জমাট বাঁধা স্তূপ তৈরি করে পানি নিষ্কাশন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, অলংকার মোড়, একেখান মোড়, বড়পুলের পশ্চিম দিকের হালিশহর রোড সংলগ্ন ড্রেইনসহ চট্টগ্রামের কোনো নালায় বর্ষার আগে পরিষ্কার করা হয়নি। পুরো সিটি এলাকার প্রায় নালা ড্রেইন, ছোট খাল ময়লার পাহাড়ে পরিণত।

প্রশ্ন হলো তাহলে এই নালা ময়লা, ড্রেইন পরিস্কার রেখে পানি নিস্কাশনের দায়িত্ব কার। বর্ষার আগে সবগুলো নালা ড্রেইন পরিষ্কার করতে হবেনা। শহরের পানি যথানিয়মে খাল বিলে নদী পর্যন্ত পৌঁছাবার জন্য সিটি কর্পোরেশনকে সময়মতো কাজ করতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ঠিকমতো এসব কাজ করছেনা। জনগণ আঙ্গুল দিয়ে কর্পোরেশনকে দেখিয়ে দিলেও তা করার জন্য এগিয়ে আসেনা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রাম নগরীতে। সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আরও ২ দিন ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে আগামী ১৩ আগস্ট পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এ কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখতে বলা হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানিয়েছেন, মূলত নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটি আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। যেসব এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে সেসব এলাকায় পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে জলাবদ্ধতা বাস্তবায়নকারী প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছে, শুক্রবার যখন ভারী বৃষ্টি হয় তখন কর্ণফুলী নদীতে ছিল জোয়ার। আবার জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ছিল বেশি। এদিকে শহরের অনেকগুলো খালের মুখে স্লুইচ গেইট নির্মাণ করা হলেও তা এখনো চালু হয়নি। ফলে জোয়ারের পানি ঢুকে যায় শহরে। খালগুলো জোয়ারের পানিতে পূর্ণ হয়ে উঠে। একইসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় খালে আশপাশের এলাকার পানি যেতে পারেনি। বৃষ্টির সময় উচ্চ জোয়ার থাকায় প্রভাব পড়েছে। জোয়ারের লেবেল বেশি ছিল। অন্যান্য সময়ের তুলনায় লো টাইড (নিম্ন জোয়ার) থেকে হাই টাইডে (উচ্চ জেয়ার) পানি বেড়েছে ১৪ ফুট। অন্য সময়ে জোয়ারের উচ্চতা ৪ দশমিক ১ বা ৪ দশমিক ২ মিটার থাকলেও আজ ছিল ৫ দশমিক ৬ মিটার। ফলে জোয়ারের পানিতে খাল পুরোটা ভরাট ছিল। যেহেতু জোয়ারের পানিতে খাল ভরে গেছে তখন এলাকার বৃষ্টির পানি আর খালে যেতে পারেনি। তবে এ সমস্যা সবখানে হয়নি। যেসব খালে রেগুলেটর (স্লুইচ গেইট) ফাংশনাল হয়নি সেখানে জোয়ারের পানি ঢুকেছে। আমাদের খালের কারণে কোনো জলাবদ্ধতা হয়নি। আমাদের খালগুলো পরিষ্কার ছিল। খালের কোথাও কোনো বাধও নাই। হালিশহর আগ্রাবাদ এলাকায় জেয়ারের পানি ঢুকেনি। কারণ ওসব এলাকার জন্য নির্ভরশীল মহেশখালে আমাদের যে রেগুলেটর সেটা চালু হয়ে গেছে। ফলে অন্যান্য এলাকার তুলনায় হালিশহর আগ্রাবাদ এলাকায় ভোগান্তি কম হয়েছে। সিডিএর অন্য প্রকল্পে যে রেগুলেটর রয়েছে সেগুলোর কাজ যদি সম্পূর্ণ হয়ে যেত তাহলে আজ যে অবস্থা হয়েছে ততটা হয়তো হতো না। রেগুলেটার ফাংশনাল না হওয়ায় চাক্তাই খাল, চাক্তাই ডাইভার্শন খাল ও রাজখালী খাল সংলগ্ন যেসব এলাকা তার পুরোটাই জোয়ারের পানির প্রভাব পড়েছে। এর মধ্যে পাঁচলাইশ, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, শোলকবহর, বহাদ্দারহাটসহ আশেপাশের এলাকা উল্লেখযোগ্য। এসব এলাকায় জোয়ারের কারণেই খালে পানি যেতে পারেনি।

এদিকে চন্দনাইশ সংবাদদাতা জানান, তিনদিনের টানা বর্ষণে শঙ্খনদে নেমে এসেছে পাহাড়ি ঢল। তবে এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে পানির প্রবাহ। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে শঙ্খনদের পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে নদের তীরবর্তী দোহাজারী পৌরসভা, বৈলতলী, বরমা, বরকল, সাতবাড়িয়া, পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন কালিয়াইশ, মাইঙ্গাপাড়া, ধর্মপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ বন্যা আতংকে রয়েছে। চলতি মৌসুমে বন্যা দেখা দিলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে জানান চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভা ও সাতকানিয়ার পূর্ব কাটগড় ও কালিয়াইশের বাসিন্দারা। শঙ্খচরের কৃষক মোহাম্মদ মারুফ জানান, গত তিনদিনের বৃষ্টিপাতে শঙ্খনদে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদে প্রবাহিত পানি ইতোমধ্যে চরের নিচু অংশে রোপণকৃত অধিকাংশ সবজি ক্ষেতের কাছাকাছি চলে এসেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নিচু অংশের সমস্ত সবজি ক্ষেত ডুবে যাবে। ইতোমধ্যে কিছু ক্ষেত ডুবো ডুবো অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে রাংগুনিয়া-কাপ্তাই সংবাদদাতা জানান, তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে শস্যভান্ডার খ্যাত রা্গংুনিয়ার গুমাইবিল। এতে কয়েকশ একর আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করছেন কৃষকরা।এর আগে পানির সংকটে যথাসময়ে আমন চারা রোপণ করা সম্ভব হয়নি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জমিতে সেচের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করে চাষাবাদ শুরু করার পর টানা বৃষ্টিতে গুমাইবিল প্লাবিত হয়।গুমাইবিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার জানান, গত ২-৩ দিনের প্রবল বৃষ্টিতে গুমাই বিলে আমন চাষাবাদে ক্ষতি হয়েছে। রোপণকৃত চারা এখন পানির নিচে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, চলতি আমন মৌসুমে রাংগুনিয়ার গুমাই বিলসহ উপজেলার বিভিন্ন বিলে আমন চারা লাগানো হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাতের কারণে রোপণকৃত চারা তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে এসব চারা বাঁচানো যাবে।

এদিকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরণের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রশাসন। শনিবার (৫ আগস্ট) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলায় চলমান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।রাঙ্গামাটি জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খানের সই করা জরুরি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় চলমান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে জানমালের নিরাপত্তা স্বার্থে ৫ আগস্ট (শনিবার) ভোর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে সকল ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জরুরি সরকারি কাজে নিয়োজিত নৌযানসমূহ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

এদিকে রাউজান থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল, হালদা ও কর্ণফুলি নদীর প্রবল স্রোতের পানিতে তলিয়ে গেছে রাউজান উপজেলার নি¤œাঞ্চল। পানিমগ্ন থাকায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় আমন চাষিরা। টানা বৃষ্টিতে রাউজানের অলি-গলিতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন হালদা ও কর্ণফুলি নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষেরা। বৃষ্টির পানি, হালদা ও কর্ণফুলি নদীর স্রোত, পাহাড়ি ঢলের পানিতে ব্যাপক এলাকা তলিয়ে যায়। হালদাপাড়ের উরকিরচর, পশ্চিম গুজরা, নোয়াপাড়া, কর্ণফুলি এলাকার কচুখাইন, বাগোয়ানের বিভিন্ন এলাকার সড়ক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। অন্যদিকে কদলপুর, পৌরসভার কিছু কিছু অংশ, গহিরারও বেশকিছু এলাকায় সড়ক, ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। যার কারণে দুর্ভোগে পড়া মানুষের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। হালদাপাড়ের বাসিন্দারা জানান, সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে যায়। টানা বৃষ্টিতে গলিতে হাঁটু পানি হয়ে গেছে।

https://dailysangram.info/post/531894