শুক্রবার ৪ আগস্ট সকালে এই কলামটি লিখতে বসেছি। লেখার আগে আজকের অর্থাৎ ৪ আগস্টের প্রায় সবগুলো পত্র পত্রিকায় যেসব খবর বেরিয়েছে তারমধ্যে দুটি খবরে আমার চোখ আটকে গেল। একটি হলো, বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগ অফিসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের গমন, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক এবং বৈঠক শেষে পিটার হাস এবং ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য। আরেকটি হলো ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর সাপ্তাহিক সাংবাদিক সম্মেলন। এই সাপ্তাহিক সম্মেলনে বিগত ৩ বছরের মধ্যে এবারই সর্বপ্রথম ভারত অফিসিয়ালি বাংলাদেশের রাজনীতি বিশেষ করে আগামী সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে তার অবস্থান জানালো। প্রথমে ভারতের অবস্থান নিয়ে দুটি কথা।
বিগত প্রায় দুই মাস হলো বাংলাদেশের পত্র পত্রিকায় ভারতীয় অবস্থান নিয়ে প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। চীন এবং রাশিয়া সরাসরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, গ্রেট ব্রিটেন প্রভৃতি পশ্চিমা দেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। তারা এই ‘হস্তক্ষেপের’ তীব্র বিরোধিতা করেছে।
কিন্তু বাস্তব অবস্থা কী? আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ^ কি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বা আগামী নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করেছে? র্যাবের ওপর স্যাংশন তো অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ নয়। বরং এই সরকারের আমলে বিগত ১৫ বছরে ১ হাজারেরও বেশি লোক গুম অথবা খুন হয়েছেন। সেগুলোর প্রকাশ্য ও স্বচ্ছ কোনো বিচার হয়নি। এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন। এই দায়ে র্যাবের ওপর স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। এটিকে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ কোনো ক্রমেই বলা যায় না। আরেকটি হলো মার্কিন ভিসা নীতি। ভিসা নীতিতে বলা হয় যে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানে যারা বাধা দেবে অথবা অথবা নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বিঘিœত করবে তাদেরকে মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না। তাদের পরিবার অর্থাৎ স্ত্রী এবং পুত্র কন্যাগণও এই ভিসা নীতির আওতায় পড়বেন। এই ভিসা নীতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ কিভাবে করা হলো?
রাশিয়া এবং চীন তো সরাসরি আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়েছে। এখানে কোনো রাখঢাক নাই। অথচ আওয়ামী ঘরানার লোকজন রাশিয়া ও চীনের এই পক্ষ অবলম্বনকে নিয়ে কোনো কথা বলেন না। অর্থাৎ কেউ যদি আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে বলে তাহলে সেটি অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ নয়। আর কেউ যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে তাহলে সেটি হয়ে যায় হস্তক্ষেপ।
॥ দুই ॥
আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীনের অবস্থান তো জানা গেল। কিন্তু ভারতের অবস্থান? বিগত তিন বছর ধরে এব্যাপারে ভারতের মোদি সরকার তাদের ঠোঁট সেলাই করে বসে আছে। ভারতের অবস্থান নিয়ে কতই না জল্পনা কল্পনা। তিন বছর আগে থেকেই একটি সুসংগঠিত প্রচারণা চলছিল এই মর্মে যে, বাংলাদেশ চীনের দিকে ঝুঁকেছে, তাই ভারত শেখ হাসিনার ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। সরকার বিরোধী একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই প্রচারণায় বিশ^াস করেছে। কিন্তু আমি সেই তিন বছর আগে থেকেই অব্যাহতভাবে বলে এসেছি যে, ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক সেটি অনেক গভীরে প্রোথিত। অনেকে ঠাট্টা করে বলেন, বাংলাদেশ তো ভারতের নাড়ি কাটা ধন। এই সম্পর্ক কোনো দিন বিচ্ছিন্ন হওয়ার নয়। আমি একথাও বলেছি যে, চীনের সাথে সম্পর্কটা হলো অর্থনৈতিক। কিন্তু ভারতের সাথে সম্পর্কটা রাজনৈতিক এবং পারিবারিক।
ভারত এত দিন ধরে বাংলাদেশের রাজনীতি, বিশেষ করে নির্বাচন সম্পর্কে নীরবতা পালন করছে কৌশলগত কারণে। তাদের হৃদয় মন জুড়ে বসে আছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু আমেরিকা যেভাবে বাংলাদেশের ইলেকশনে জড়িয়ে পড়েছে সেখানে ভারত এমন কোনো ভূমিকা নেবে না যে ভূমিকা মার্কিন ভূমিকার বিরুদ্ধে যায়। কিন্তু মনে মনে তারা চায় যে আওয়ামী লীগই আগামী ইলেকশনে ক্ষমতায় ফিরে আসুক।
সেই ভারত অবশেষে মুখ খুলেছে। তবে মুখ খুললেও ঝেড়ে কাশেনি। তারা এমন একটি কথা বলেছে, যেটি দ্ব্যর্থ বোধক। এধারেও ব্যাখ্যা করা যায়। আবার ওধারেও ব্যাখ্যা করা যায়। গত ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সম্পর্কে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী কথা বলেছেন। অরিন্দম বাগচী বলেছেন, “বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কিভাবে হবে তা দেশের জনগণ ঠিক করবে। বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে অন্যান্য দেশের মন্তব্যকে ভারত কিভাবে দেখছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বাগচী একথা বলেন।”
তিনি বলেন, “দেখুন, আমি মনে করি সেখানে বিভিন্ন রকম কার্যক্রম (এক্টিভিটিজ) চলছে। এ জন্য অনেকে অনেক ধরনের মতামত দিচ্ছেন। পুরো বিশ্ব এ নিয়ে কথা বলতে পারে। তবে ভারত ভারতই। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে যা ঘটে তা আমাদেরকে প্রভাবিত করে। সেখানকার অনেক কিছুর সঙ্গে আমরা যুক্ত। নির্বাচন প্রসঙ্গে বাগচী খোলাসা করেই বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে চায় সেভাবেই দেশটির নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলো অনুষ্ঠিত হতে হবে। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নয়াদিল্লী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে মুখপাত্র বলেন, সেখানে আমাদের একটি হাইকমিশন আছে। আমরা আশা করি, সেখানে শান্তি থাকবে ও সহিংসতামুক্ত পরিবেশ থাকবে। নির্বাচনটি পরিকল্পনামাফিক অনুষ্ঠিত হবে বলেও আমরা আশা করি। সাউথ ব্লকের মুখপাত্রের কাছে বাংলাদেশের নির্বাচনকালীন সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়েও প্রশ্ন ছিল। জবাবে ‘এসব ইস্যুতে কোনো মন্তব্য নেই’ বলে জানান তিনি।”
॥ তিন ॥
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দেয়। তিনি আরো বলেন, জনগণ যেন নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্র কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না, তারা সমর্থন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নীতি অনুযায়ী, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সমর্থন করি, যেখানে কোনো পক্ষ থেকে সহিংসতা হবে না। আমরা বিশ্বাস করি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রত্যেকের ভূমিকা আছে। সরকার, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, বিচার বিভাগ, সুশীল সমাজ, নিরাপত্তা বাহিনী, ভোটার-প্রত্যেককে তার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে এবং সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। অন্যদিকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আন্দোলন করছে। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, এ বিষয়টি রাজনৈতিক দলের ব্যাপার। আমরা কেবলমাত্র অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের ব্যাপারে আগ্রহী।
আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আওয়ামী লীগকে জানিয়েছেন উল্লেখ করে পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশের সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে আমি ধারাবাহিক মিটিং করেছি। তারই অংশ হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে এই মিটিং। প্রতিটি মিটিংয়েই আমি যুক্তরাষ্ট্রের নীতির কথা জানিয়ে দিয়েছি।
পিটার হাস বলেন, আপনারা জানেন, আমি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছি। প্রতিটি মিটিংয়ে আমি ঠিক একই পয়েন্টে কথা বলি। এটা হলো অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সমর্থন করতে আমাদের নীতি। এটা হবে সেই নির্বাচন, যেখানে কেউই কোনো সহিংসতা করবে না। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রত্যেক মানুষের ভূমিকা রাখার দায়বদ্ধতা আছে।
॥ চার ॥
কোনো কূটনৈতিক পরিভাষা ব্যবহার না করে, কারো সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টির কথা চিন্তা না করে আজ আমি কোদালকে কোদাল বলবো। ভারত বলেছে, বাংলাদেশে ইলেকশন কিভাবে হবে সেটি বাংলাদেশের জনগণ ঠিক করবে। এটি একটি ঠধমঁব বা অস্পষ্ট বক্তব্য। জনগণ কিভাবে ঠিক করবে? গত ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে জনগণ তো ভোটই দিতে পারেননি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কেও অরিন্দম বাগচী বলেছেন, এব্যাপারে আমি কোনো কথা বলবো না। তাহলে কি নির্বাচনটি আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারের অধীনেই হবে? যখন ইলেকশন হবে তখনও কি বর্তমান জাতীয় সংসদ বহাল থাকবে? এসব প্রশ্নের কোনো জবাব নাই। আর জবাব না থাকলে কিন্তু সেটা আওয়ামী লীগের পক্ষেই যায়। তবে অরিন্দম বাবুর একটি কথা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, “ভারত ভারতই। বাংলাদেশের সাথে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে যা ঘটে তা আমাদেরকে প্রভাবিত করে। সেখানকার অনেক কিছুর সঙ্গে আমরা যুক্ত।” এখানেই কিন্তু পরোক্ষভাবে ভারত তার থলের বেড়াল বের করে দিয়েছে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্যও অস্বচ্ছ। বাংলাদেশের জনগণ এই মুহূর্তে আমেরিকার ওপর খুশি থাকলেও যদি তাদের বক্তব্যকে ইংরেজি ভাষায় জবধফ নবঃবিবহ ঃযব ষরহবং, অর্থাৎ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়া যায়, তাহলে সেখানেও অনেক শুভংকরের ফাঁক খুঁজে পাওয়া যায়। পিটার হাসও বলেছেন, আমেরিকা চায় জনগণ যেন নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন। আমেরিকা নাকি কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। তারা সমর্থন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে। তাই যদি হয় তাহলে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দল জামায়াতে ইসলামীকে দেশের কোথাও সভা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না কেন? সিলেট, চট্টগ্রাম এবং ঢাকা- কোথাও তাদেরকে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এটি কি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া?
নুরুল হক নূরকে ছাত্রলীগের লাঠিধারীরা বেদম প্রহার করেছে। এই প্রহারের ফলে তার জীবন সংকটাপন্ন ছিল। কিন্তু এজন্য একজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেনি। উপরন্তু যে হাসপাতালে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সেখান থেকে, শুক্রবারের পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক, সরকারের চাপে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রিলিজ করতে বাধ্য হয়েছেন। অগত্যা তাকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৫/৬ দিন আগে নাটোরে বিএনপির অনুষ্ঠিতব্য প্রতিবাদ সভায় যোগদানের জন্য জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মটর সাইকেলে করে সভায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকেরা তার মটর সাইকেল থামিয়ে তাকে ডান্ডা পেটা করে। অতঃপর তারা সভা ভাঙ্গতে যায়। ভয়ে সভাটি স্থগিত করা হয়। এরপর শতাধিক মটর সাইকেলে করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ঝটিকা বাহিনী সারা নাটোর শহর দাপিয়ে বেড়ায়।
ঢাকায় বাবু গয়েশ^র রায়কে পুলিশ বেদম লাঠিপেটা করে। আমানুল্লাহ আমানকে মারধর করে। এগুলো কি সব গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া? এ ব্যাপারে কী বলবেন পিটার হাস? কী বলবে মার্কিন প্রশাসন? তারা এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলেনি। ২০১৪ এবং ২০১৮ এর চরম বিতর্কিত নির্বাচনের কথা বলেনি। তত্ত্বাবধায়কের প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে। বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বেপরোয়া মারপিট ও গুলীবর্ষণের ঘটনার নিষ্পত্তি নিজেদের মধ্যে করে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে। বিএনপি, জামায়াত, গণতন্ত্র মঞ্চ, ইসলামী আন্দোলন ইত্যাদি বিরোধী দল এই সরকারের পদত্যাগ দাবি এবং নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। এসব ব্যাপারে ভারত এবং আমেরিকা নিশ্চুপ।
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পর্কেও ভারত এবং আমেরিকা নিশ্চুপ। যেখানে রাশিয়া এবং চীন প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করছে সেখানে ভারত এবং আমেরিকার ‘ধরি মাছ, না ছুঁই পানি’ নীতি পরোক্ষে কি আওয়ামী লীগের পক্ষেই যাচ্ছে না?
এসবই আজ সচেতন মানুষের জ্বলন্ত জিজ্ঞাসা। বিরোধী দলসমূহকে এসব প্রশ্ন ভেবে দেখতে হবে।
Email: asifarsalan15@gmail.com