২৩ জুলাই ২০২৩, রবিবার, ৩:০৭

এক দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এক দলীয় সরকারের পথে এগিয়ে যাচ্ছে

-আসিফ আরসালান

পবিত্র ঈদুল আযহার রেশ কাটার পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন সরগরম হয়ে উঠেছে। শুধুমাত্র সরগরম বললে ভুল হবে। রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। একে তো ঈদের শেষ, তারপরেও উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৬ সদস্য বিশিষ্ট আরেকটি দল বাংলাদেশ সফর করেছে। আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বাধীন মার্কিন টিমটি দেশে ফেরৎ যেতে না যেতেই সরকারি দল আওয়ামী লীগ স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। এরমধ্যে কয়েকটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলি প্রজ্ঞার সাথে এবং অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় অগ্র পশ্চাৎ বিবেচনা করলে পরিষ্কার ধরা যাবে, সরকারের ব্রেইনে এখন কোন পরিকল্পনা কাজ করছে।

গত ১৭ জুলাই ঢাকা ১৭ এর উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ভোটারের মধ্যে সরকারি হিসেব মোতাবেক মাত্র সাড়ে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। কিন্তু সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব:) শাখাওয়াতের বয়ান মোতাবেক, ৩:২০ মিনিটে ভোট দিতে গিয়ে তিনি দেখেন যে তখন পর্যন্ত মাত্র ৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্য কথায় সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩:২০ অর্থাৎ ৭ ঘন্টা ২০ মিনিটে ভোট পড়েছে মাত্র ৬ শতাংশ। অবশিষ্ট ৪০ মিনিটে আর কত ভোট পড়তে পারে? বড়জোর ০.৫০ শতাংশ। অর্থাৎ মোট ভোট পড়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ। এরমধ্যে ১ দশমিক ৫ শতাংশও যদি হিরো আলমের বাক্সে পড়ে থাকে তাহলে আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছে ৫ শতাংশ। ৫ শতাংশ ভোট নিয়ে কি সোয়া ৩ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করা যায়?

অথচ এটুকু ভোট পাওয়ার জন্যও তাদেরকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলমকে সাপকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার মতো পেটানো হয়েছে। হিরো আলমই বলেছেন যে আল্লাহই তাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। অন্যথায় যে মার তারা মেরেছে তারফলে তার তো বেঁচে থাকারই কথা নয়। এখানেই বিরাট প্রশ্ন এসে যায়। হিরো আলমের মতো লোক, যাকে তারা অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে তথাকথিত প্রগতিশীল ও সেক্যুলার মহল তুচ্ছ তাচ্ছিল্য, অবহেলা এবং উপেক্ষা করে যাচ্ছে, তাকেও তারা অমানুষিকভাবে পিটিয়েছে। এথেকে পুরো বোঝা যায় যে আওয়ামী লীগ সরকার এখন তাদের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছে। আমি নির্বাচনের আগে এবং পরে বনানী ও গুলশান এলাকায় যাতায়াত করেছি।

আমি তখনই বুঝতে পেরেছিলাম যে আওয়ামী লীগের পায়ের তলা থেকে মাটি এত বেশি সরে গেছে যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হিরো আলমও এখানে জিতে যেতেন। অর্থাৎ এখন দেশে যে কোনো স্থানে আওয়ামী প্রার্থীর বিরুদ্ধে যদি কলাগাছকেও দাঁড় করানো হয় তাহলে সেই কলাগাছও জিতবে। অথচ তারপরেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে চায়। সেটা কিভাবে সম্ভব? কোন পথে?

আরেকটি ঘটনা হলো ১৮ ও ১৯ জুলাই সারা দেশে এবং ঢাকায় বিএনপি এবং তার বিভিন্ন মিত্র জোটের পদযাত্রা। এই পদযাত্রাও এতই সাম্প্রতিক যে সেটির পুনরাবৃত্তির আর কোনো প্রয়োজন হয় না। অথচ ঢাকা, বগুড়া, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, লাকসাম, কিশোরগঞ্জ, খাগড়াছড়ি প্রভৃতি এলাকায় হাজার হাজার তথা লক্ষ লক্ষ মানুষের পদযাত্রার ওপর আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ আক্রমণ করেছে। ডেইলি স্টারের মতে দুই দিনের এই পদযাত্রায় লক্ষীপুরে সজিব নামক এক যুবক নিহত হয়েছেন এবং ৩০০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ২০ জুলাই দুইটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের রিপোর্ট মোতাবেক, এই দুই দিনের পদযাত্রায় ৮ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। অধিকাংশ পত্র পত্রিকা, যারা এখনো আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বল, তারাও লিখেছে যে হামলা করলো পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ আর মামলা খেল হাজার হাজার বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী।

॥ দুই ॥
এসব ঘটনা মানুষের কাছে কি বার্তা দেয়? যে বার্তাটি সোমবার পর্যন্ত বোঝা গেলেও অনেকের কাছে সেটি ছিল আবছায়ার মতো। কিন্তু বুধ এবং বৃহস্পতিবার সেটি ক্লিয়ার হয়েছে। সরকারের মোটিভ বোঝার জন্য আর গবেষণা এবং পান্ডিত্যের প্রয়োজন নাই। মঙ্গল এবং বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ দলীয় জোট এবং অন্যান্য সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন। এসব সমাবেশে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন যে শীঘ্রই আরো দুই একটি নতুন জোট দেখা যাবে। তারা রাজপথে বিএনপি এবং তার মিত্র জোটকে রাজপথে মোকাবেলা করবে। তবে এ প্রসঙ্গে ১৪ দলীয় জোটকে তিনি এই বলে আশ^স্ত করেন যে নতুন যে জোট আসবে তাদেরকে ১৪ দলীয় জোটে নেওয়া হবে না। কারণ ১৪ দলীয় জোট নতুন কাউকে তাদের জোটে অন্তর্ভুক্ত করার বিরোধী। তাদেরকে অসন্তুষ্ট করে কোনো কাজ করা হবে না।

২১ জুলাই শুক্রবার ডেইলি স্টার এবং প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠার রিপোর্টে বলা হয়েছে যে নতুন যে জোট গঠিত হচ্ছে সেটি মিসবাহুর রহমান চৌধুরী নামক ইসলামী ঐক্য জোটের এক দলছুট ব্যক্তির নেতৃত্বে গঠিত হচ্ছে। আওয়ামী সরকারের মদদে এই মিসবাহুর রহমান নাম সর্বস্ব কিছু ইসলামী দলকে নিয়ে জোট করছেন। আওয়ামী লীগ দেখাতে চায় যে ইসলামী দলগুলো তাদের সাথে আছে। বিএনপির সাথে নাই।

এই সভায় এবং অন্যান্য জায়গায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শেখ হাসিনা কোনো রকম সংশয়ের অবকাশ না রেখে অত্যন্ত দৃঢ় কন্ঠে বলেছেন যে সংবিধান থেকে তিনি এক চুলও নড়বেন না। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় তার সরকারও থাকবে এবং সংসদও থাকবে। কথাটি পুরাতন মনে হলেও যে পটভূমিতে শেখ হাসিনা যে দৃঢ়তার সাথে বলেছেন তারপর এ ব্যাপারে আর কারো মনে কোনোরূপ সংশয় থাকা উচিত নয়। অর্থাৎ তিনি স্বয়ং বিরোধী দলের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি তার পদত্যাগের দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সংসদ বিলুপ্তির দাবিও তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।

সোজা কথায়, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর দাড়ি, কমা, সেমি কোলন এবং ফুল স্টপ বাদ না দিয়ে আওয়ামী লীগ নির্বাচন করবে। সেই নির্বাচনে তার দল যাতে করে ওয়াক ওভার পায় তারজন্য প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। সারাদেশ জুড়ে ডিসি অর্থাৎ ডেপুটি কমিশনার এবং পুলিশের এসপিকে বদলি করা হচ্ছে। এছাড়াও স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে পদায়ন হচ্ছে। এই যে বদলি এবং পদায়ন, এগুলি করার সময় কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে যে ঐসব ডিসি এসপি এবং প্রশাসনের অন্যান্য ব্যক্তিদের ব্যাকগ্রাউন্ড যেন সলিড ছাত্রলীগ বা যুবলীগ হয়।

এসব বদলি ও পদায়নের পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াত এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা সুপ্ত ছিল বা ঝুলে ছিল, সেগুলো দ্রুত পুনরুজ্জীবিত এবং শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কত জন নেতা ও কর্মীর পুরাতন মামলা আবার ঝালাই করে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেটি কোনো কোনো পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। আমরা সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণে যাচ্ছি না। এগুলোর উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার। ইতোমধ্যেই বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য বিরোধীদলের অন্তত দেড় লক্ষ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪০ লক্ষ মামলা রয়েছে। এরমধ্যে বেছে বেছে সেই সব মামলাই পুনরুজ্জীবিত করা হবে এবং শেষ করা হবে যেগুলো সম্ভাব্য বিএনপি, জামায়াতের নির্বাচনী প্রার্থী হতে পারেন এবং যারা রাজপথের আন্দোলনের নেতাকর্মী, তাদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে।

॥ তিন ॥
এসবের উদ্দেশ্য অত্যন্ত পরিষ্কার। বেশ কয়েক দিন নীরব থাকার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন গত বুধবার আবার মুখ খুলেছেন। তিনি কখন মুখ খুললেন? যখন আমেরিকা এবং ইইউর ২৭ টি দেশসহ আরো ১২ টি দেশ, অর্থাৎ ৩৯ বা ৪০ টি দেশ হিরো আলমকে নির্দয়ভাবে প্রহারের নিন্দা করেছে এবং সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে। তারপরেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই ৪০ টি দেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। ঐদিকে প্রধানমন্ত্রীও স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে তিনি কোনো বিদেশী চাপের কাছে নতি স্বীকার করবেন না।

অনেক ভাবনা চিন্তা এবং হিসাব নিকাশের পর সরকার তার অবস্থান সম্পর্কে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। হিরো আলমকে যেদিন মারা হলো সেদিনও ইইউ প্রতিনিধি দল বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন। জাতিসংঘও এই নির্দয় প্রহারের নিন্দা করেছেন এবং বিচার দাবি করেছেন। জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি হিরো আলমকে মারার প্রতিবাদ করে এবং বিচার চেয়ে টুইট করেছিলেন। এজন্য জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে গত ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় এবং বাংলাদেশ সরকারের অসন্তোষ জানিয়ে দেওয়া হয়।
গত ১৮ জুলাইয়ের পদযাত্রায় অন্তত তিনটি জায়গায় বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছে। বাংলা কলেজে তাদের ওপর হামলা হলে তারা পাল্টা আঘাত করে এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলাকারীরা পলায়ন করে। বগুড়ায় বিএনপি কর্মীরা পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে। এরপর থানা থেকে আরো বেশি করে পুলিশ রি-ইনফোর্স করে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করে বিক্ষোভকারীদের ওপর বেপরোয়াভাবে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায় যে একাধিক ব্যক্তির বুকে এবং পেটে ৮/১০টি বুলেটের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একই রকম ঘটনা খাগড়াছড়িতেও ঘটেছে।

॥ চার ॥
বুধবার বিএনপির কোনো কোনো স্থানে পাল্টা অঘাত দেখে গত বৃহস্পতিবার সরকার তাদের অবস্থান আরো কঠোর করেছে। বৃহস্পতিবার মানবজমিনের অনলাইন সংস্করণে প্রধানমন্ত্রী কঠোর হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, মানুষের ক্ষতি করলে জামায়াত শিবিরের লোকজনকে তার ভাষায় ‘ছেঁকে ছেঁকে’ ধরা হবে।

আরো অনেক ঘটনা রয়েছে। একটি হলো, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর আখতারুজ্জামানকে কানাডা যাওয়ার ভিসা দেওয়া হয়নি। কেন তাকে ভিসা দেওয়া হয়নি সেটা বুঝতে খুব অসুবিধা হয় না। শেষ মুহূর্তে তিনি তার কানাডা যাওয়ার প্রোগ্রাম স্থগিত করেছেন। এই ধরনের ঘটনা একটি কলামে সব লেখা সম্ভব নয়। তবে এসব ঘটনা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয় যে সে বিরোধীদল হোক, অথবা হিরো আলমের মতো ব্যক্তি হোক, আওয়ামী লীগের প্রতি চ্যালেঞ্জ হতে পারে, এরকম কাউকেই আর অবাধ গণতন্ত্র চর্চা করার সুযোগ দেওয়া হবে না। অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে দেখুন, আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি কোনো পশ্চিমা দেশকে সরকার তোয়াক্কা করছে না। রাশিয়া, চীন এবং ইরান সলিডলি শেখ হাসিনা তথা আওয়ামী সরকারের পেছনে দাঁড়িয়েছে। এটিই হলো সর্বশেষ মেরুকরণ। এই মেরুকরণের মুখে জনগণ থাক আর না থাক, সিভিল প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর করে শক্ত ডান্ডা হাতে সরকার আগামী নির্বাচন করতে চায়। আর সেভাবে যদি নির্বাচন হয় তাহলে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ হবে উত্তর কোরিয়া, কম্বোডিয়া, বেলারুশ প্রভৃতি একনায়কতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদি একটি দেশ।

এই বিষয়টি প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অনুধাবন করতে পেরেছে কিনা, আমরা জানি না। বর্তমান সরকারের এই আয়রন ফিস্ট (লৌহ মুষ্টি) বিরোধীদলসমূহ কিভাবে মোকাবেলা করবে সেটা আমরা জানি না। তবে বিরোধীদল সমূহকে এই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। আমাদের কাছে আপাতত একটি মাত্র সমাধান হাতের কাছে আছে। সেটি হলো বিএনপি, জামায়াত, চরমোনাইয়ের পীরের ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিশ, ইসলামী ঐক্যজোট, গণতন্ত্র মঞ্চ- প্রভৃতি সমস্ত দলকে এক মঞ্চে অথবা আলাদা মঞ্চে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে সক্রিয় ও কার্যকরভাবে মাঠে নামা। হাতে খুব বেশি সময় নাই। খুব বেশি হলে দুই মাস ১০ দিন। এরমধ্যেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হতে পারে। এখন বাকিটা নির্ভর করবে রাজনৈতিক দলসমূহের প্রজ্ঞা ও দূরদর্শীতার ওপর।
Email: asifarsalan15@gmail.com

https://dailysangram.info/post/530659