২৭ এপ্রিল ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ১০:৪০

সমুদ্র সম্পদে রাষ্ট্রের মালিকানা ক্রমেই কমে যাচ্ছে

সমুদ্রসম্পদে ক্রমেই কমে যাচ্ছে রাষ্ট্রের মালিকনা। সম্পদ আমাদের অথচ বিদেশী কোম্পানীগুলো কর্তৃত্ব করছে। দেশে গ্যাস ও তেলের সংকট থাকা সত্ত্বেও এসব বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হচ্ছে রফতানির সুযোগ। অন্যদিকে বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল আমেরিকার কোম্পানি শেভরণ। আর এই সম্পদ কিনতে যাচ্ছে চীন। চীনের হিমালয় এনার্জি কোম্পানি লি. অর্থাৎ বাংলাদেশের সব গ্যাসক্ষেত্র এখন থেকে আমেরিকার পরিবর্তে চীনের কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করবে। হিমালয় এনার্জির সাথে চুক্তি হতে যাচ্ছে বলে শেভরণ বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জানিয়েছে। 

সূত্র জানায়, সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগে বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে (আইওসি) আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে জ্বালানি বিভাগ। উৎপাদিত সম্পদের মালিকানায়ও যথেষ্ট সুবিধা পাচ্ছে এসব আইওসি। এতে সমুদ্রসম্পদে রাষ্ট্রের মালিকানা ক্রমেই কমছে। সর্বশেষ কোরীয় কোম্পানি দাইয়ুর সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে। এ চুক্তি অনুযায়ী গভীর সমুদ্রের ব্ল¬ক-১২ থেকে প্রাপ্ত সম্পদের মাত্র ১৫ শতাংশের মালিক হবে বাংলাদেশ। বাকি ৮৫ শতাংশ তেল-গ্যাস দাইয়ুর কাছ থেকে কিনতে হবে।
জ্বালানি বিভাগ বলছে, গত ১৪ মার্চ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ আইন) আইন, ২০১০-এর আওতায় গভীর সমুদ্রের ১২ নম্বর ব্লক ইজারা দেয়া হয়। কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়াই কোরিয়ার পোসকো দাইয়ু করপোরেশনের সঙ্গে রফতানির সুযোগসহ উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তিটি (পিএসসি) করা হয়।
পিএসসি অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদি এ চুক্তির প্রথম দুই বছর ১ হাজার কিলোমিটার লাইনে দ্বিমাত্রিক জরিপ পরিচালনা করবে দাইয়ু। এ হিসাবে ২০১৯ সালের শুরুতে ব্লকটিতে সম্পদের পরিমাণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পেট্রোবাংলা। চুক্তিমতে, ওই ব্ল¬কে ত্রিমাত্রিক জরিপটি পরিচালনা করা হবে তৃতীয় বছর। পরবর্তী দুই বছরে ব্লকটিতে কূপ খনন করবে প্রতিষ্ঠানটি। খননে গ্যাস পাওয়া গেলে প্রাপ্ত সম্পদ বার্ষিক ৭০ শতাংশ হারে ব্যয় বাবদ তুলে নেবে দাইয়ু। বাকি ৩০ শতাংশ পেট্রোবাংলা ও দাইয়ুর মধ্যে সমানভাবে ভাগ হবে। সে হিসাবে এ ব্ল¬ক থেকে প্রাপ্ত সম্পদের মাত্র ১৫ শতাংশের মালিকানা থাকছে রাষ্ট্রের। তবে বাকি সম্পদ ব্যবহার করতে চাইলে দাইয়ুর কাছ থেকে তা কিনে নিতে হবে বাংলাদেশকে।
সূত্র জানায়, গভীর সমুদ্রের এ ব্ল¬কে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে পেট্রোবাংলা। এতে কনোকোফিলিপস ও স্টেট অয়েল যৌথভাবে দরপ্রস্তাব জমা দেয়। কিন্তু পরে কনোকো এ ব্লকে কাজ না করার কথা জানালে প্রায় দুই বছর কাজ বন্ধ থাকে।
জ্বালানি বিভাগ বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় বিদেশী কোম্পানিগুলো তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহী নয়। এ কারণে বিদেশী কোম্পানিগুলোকে আগ্রহী করতেই পিএসসি সংশোধন করে গ্যাস রফতানি ও কস্ট রিকভারির সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। তবে রফতানির আগে প্রথমেই পেট্রোবাংলাকে প্রস্তাব দিতে হবে সংশি¬ষ্ট কোম্পানিকে। পেট্রোবাংলা রাজি না হলে দেশীয় অন্য কোম্পানিগুলোকে প্রস্তাব দিতে হবে। তাও যদি না হয়, তা হলেই শুধু তারা গ্যাস রফতানি করতে পারবে।
সূত্র জানায়, দাইয়ু ছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশের সমুদ্রাঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সান্তোস, ভারতের ওএনজিসি ভিদেশ ও সিঙ্গাপুরের ক্রিস এনার্জি অনুসন্ধান কাজ করছে। এ তিন প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশের বাপেক্সের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। এসব কোম্পানির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তিতে কস্ট রিকভারির পরিমাণ দাইয়ুর চেয়ে অনেক কমে করা হয়েছে।
এর মধ্যে অগভীর সমুদ্রে ব্ল¬ক-১১-এ কাজ করছে অষ্ট্রেলীয় কোম্পানি সান্তোস। ওই কোম্পানির সঙ্গে হওয়া পিএসসি অনুযায়ী, কস্ট রিকভারি দেয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ। এক্ষেত্রেও রাখা হয়েছে শর্তাধীন রফতানির সুযোগ। আর গভীর সমুদ্রের ৪ ও ৯ নম্বর ব্লকে কাজ করছে বাপেক্স, ওএনজিসি ভিদেশ ও অয়েল ইন্ডিয়া। সমুদ্রের তুলনায় স্থলভাগে সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে কস্ট রিকভারির সুযোগ আরো কম। স্থলভাগে তেল-গ্যাস উত্তোলনকারী আইওসি কোম্পানিগুলোকে পিএসসিতে ৫৫ শতাংশ কস্ট রিকভারি দেয়া হয়েছে। এসব কোম্পানির উৎপাদিত গ্যাস ও তেলের বাকি ৪৫ শতাংশ পেট্রোবাংলা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাগ করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কস্ট রিকভারি বেশি থাকায় উৎপাদিত সম্পদের বেশি অংশের মালিক হবে বিদেশী কোম্পানিগুলোই। এর সঙ্গে রফতানির সুযোগ থাকায় তারা পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি দাম দাবি করতে পারে। ফলে দ্রুত মুনাফা তুলে নেয়ার লক্ষ্যে অতিরিক্ত উত্তোলন করে তা বিদেশে রফতানি করতে চাইবে কোম্পানিগুলো।
এ বিষয়ে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, আইওসি কোম্পানিগুলো কস্ট রিকভারির হিসাব অনেক বাড়িয়ে দেখায়। কিন্তু হিসাবের এ ফাঁকফোকর ধরতে ব্যর্থ হয় পেট্রোবাংলা। এটি পেট্রোবাংলার দুর্বলতা। কস্ট রিকভারি বাড়লে দেশের সম্পদের অংশ কমে যায়। তার চেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে রফতানির সুযোগের বিষয়টি। এমন সুযোগ দিলে আইওসি কোম্পানি বেশি দামে গ্যাস বিক্রি করতে চাইবে। এতে সরকারের ব্যয় বেড়ে যাবে।
জ্বালানি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের উৎপাদন অংশীদারি চুক্তিতে (পিএসসি) বিদেশী কোম্পানিকে গ্যাস রফতানির সুযোগ দেয়া হয়েছিল। পরে ২০১২ সালে নতুন করে সমুদ্রের ব্ল¬ক ইজারা দেয়ার সময় এ সুযোগ প্রত্যাহার করা হয়। ২০১২ সালের পিএসসি অনুযায়ী, সমুদ্রে গ্যাস পেলে তা অবশ্যই দেশের মধ্যে বিক্রি করার বাধ্যবাধকতা ছিল। এক্ষেত্রে পেট্রোবাংলা না নিলে তা দেশীয় তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রির সুযোগ ছিল। গ্যাস রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল উচ্চ আদালতেরও। কিন্তু বর্তমানে সংশোধিত পিএসসিতে নতুন করে আবার গ্যাস রফতানির সুযোগ রাখা হয়েছে।
তবে পিএসসিতে রফতানির এ সুযোগ রাখার বিষয়টিকে সাংঘর্ষিক মনে করছে না জ্বালানি বিভাগ। তাদের মতে, বাংলাদেশ জ্বালানি ঘাটতির দেশ। বিদেশী কোম্পানির কখনই গ্যাস রফতানির প্রয়োজন হবে না। পেট্রোবাংলাই সব গ্যাস নিয়ে নেবে। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে বিদেশী কোম্পানিকে আকৃষ্ট করতেই এ সুযোগ রাখা হয়েছে। এটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কস্ট রিকভারি বেশি থাকায় উৎপাদিত সম্পদের বেশি অংশের মালিক হবে বিদেশী কোম্পানিগুলোই। এর সঙ্গে রফতানির সুযোগ থাকায় তারা পেট্রোবাংলার কাছে বাড়তি দাম দাবি করতে পারে। ফলে দ্রুত মুনাফা তুলে নেয়ার লক্ষ্যে অতিরিক্ত উত্তোলন করে তা বিদেশে রফতানি করতে চাইবে কোম্পানিগুলো।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম বলেন, আইওসি কোম্পানিগুলো কস্ট রিকভারির হিসাব অনেক বাড়িয়ে দেখায়। কিন্তু হিসাবের এ ফাঁকফোকর ধরতে ব্যর্থ হয় পেট্রোবাংলা। এটি পেট্রোবাংলার দুর্বলতা। কস্ট রিকভারি বাড়লে দেশের সম্পদের অংশ কমে যায়। তার চেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে রফতানির সুযোগের বিষয়টি। এমন সুযোগ দিলে আইওসি কোম্পানি বেশি দামে গ্যাস বিক্রি করতে চাইবে। এতে সরকারের ব্যয় বেড়ে যাবে।
এদিকে বাংলাদেশের সম্পদ বিক্রির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল আমেরিকার কোম্পানি শেভরণ বাংলাদেশ। আর এই সম্পদ কিনতে যাচ্ছে চীন। চীনের হিমালয় এনার্জি কোম্পানি লি.। অর্থাৎ বাংলাদেশের সবচেয়ে সব গ্যাস ক্ষেত্র এখন থেকে আমেরিকার পরিবর্তে চীনের কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করবে। হিমালয় এনার্জির সাথে চুক্তি হতে যাচ্ছে বলে গত সোমবার শেভরণ বাংলাদেশ জানিয়েছে। হলিআর্টিজানে হামলার কিছুদিন পর অক্টোবর মাসে শেভরণ বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায় গুটিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু করে বলে জানা যায়।
শেভরণের ব্যবস্থাপক শেখ জাহিদুর রহমান বলেন, পেট্রোবাংলা শেভরণের অন্যতম অংশীদার। নিয়ম অনুযায়ি যথাসময়ে এবিষয়ে পেট্রোবাংলাকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছে, শেভরনের সম্পদ কিনে নেয়া বাংলাদেশের জন্য লাভজনক হবে কি না, তা এখনও যাচাই করে দেখছে ব্রিটিশ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জি। পরামর্শকের প্রতিবেদন হাতে আসার আগে তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। সে পর্যন্ত সময় প্রয়োজন। আশা করব, আমাদের অনুরোধ শেভরন রাখবে।
সূত্র জানায়, শেভরণ এর সকল সম্পদ এবং দায় কিনে নিচ্ছে হিমালয়। এখন থেকে বাংলাদেশের তিনটা গ্যাসক্ষেত্র বিবিয়ানা, মৌলভীবাজার ও জালালাবাদ থেকে গ্যাস উত্তোলন ও ক্ষেত্র পরিচালনা করবে হিমালয় এনার্জি। বর্তমানে প্রতিদিন মোট গ্যাস উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক এই তিন ক্ষেত্র থেকে আসে।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানায়, শেভরণের গ্যাসের উৎপাদন গত দুই বছর কমেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর শেভরণ প্রায় চার হাজার ৬০০ কোটি টাকার গ্যাস পেট্রোবাংলাকে বিক্রি করেছে। যা ২০১৫-১৬ সালে এসে কমে হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা। এই তিন গ্যাসক্ষেত্রে এক বছরের ব্যবধানে শেভরনের বিনিয়োগ কমেছে ১৯ শতাংশ। এ তিনক্ষেত্র ২০১৪ সালে শেভরণ খরচ করেছে ৪১ কোটি ২৯ লাখ ডলার। ২০১৫ সালে করেছে ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ডলার। অন্যদিকে ২০১৩ সালে খরচের পরিমান ছিল ৪৮ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। এ হিসাবে দুই বছরে বাংলাদেশে শেভরনের বিনিয়োগ কমেছে ২২ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
চীনের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে পর এটাই বড় বিনিয়োগ হতে যাচ্ছে চীনের। এদিকে চীন থেকে বিদ্যুৎ আমদানিরও চিন্তা করছে বাংলাদেশ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি শেভরনের অধীন বাংলাদেশের পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা জাতীয় সংস্থার হাতে দেয়ার দাবী জানিয়েছে তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি। নিজেদের সক্ষমতা না বাড়িয়ে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতকে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে দেয়া জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য ভয়ংকর হুমকি ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী বলে মনে করে সংগঠনটি।
তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, শেভরনকে সরকার অনেক বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। এরপর এখন চীনা কোম্পানির কাছে ব্যবসা বিক্রি করে চলে যাচ্ছে শেভরন। অথচ মাগুড়ছড়া বিস্ফোরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের কমপক্ষে ২৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস নষ্টের দায় দায়িত্ব শেভরনের।
তিনি বলেন, জাতীয় সংস্থাকে কোণঠাসা করে বাংলাদেশের গ্যাস ক্ষেত্রকে ক্রমাগত বিদেশী কোম্পানির হাতে তুলে দেবার কারণে দেশের জ্বালানি অর্থনীতি এখন কিছু বিদেশী গোষ্ঠী ও তাদের কমিশনভোগীদের হাতে পণবন্দী। এই কারণেই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বারবার বাড়ানো হচ্ছে। প্রাকৃতিক সম্পদে জাতীয় মালিকানা ও কর্তৃত্ব নিশ্চিত করা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সরকার হাঁটছে উল্টোপথে। শেভরনের অধীন দেশের তিনটি বড় গ্যাসক্ষেত্র জাতীয় সংস্থা বাপেক্স-এর মাধ্যমে পরিচালনা করার দাবি জানান তিনি।

http://www.dailysangram.com/post/281468-