২২ জুলাই ২০২৩, শনিবার, ১১:৫৬

প্রার্থী লাঞ্ছনা ও ‘সামান্য অন্যায়’

-ইবনে নূরুল হুদা

নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সহযোগী কমিশনারদের নেতিবাচক মনোবৃত্তির কারণেই সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাচনগুলো নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে বা হচ্ছে। ফলে নির্বাচনগুলোকে আর নির্বাচন বলার সুযোগ থাকছে না বরং কমিশনের বিরুদ্ধে উন্মুক্ত পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ উঠছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিতর্কিত ভূমিকার কারণেই ইতোমধ্যেই গ্রহণযোগ্যতা সঙ্কটে পড়েছে। আর এই গ্রহণযোগ্যতা সঙ্কটের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে বৈ কমছে না। যা আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাকে রীতিমত প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

মূলত, নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হলো জাতীয় সহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করে রাষ্ট্র পরিচালনায় জনমতের প্রতিফলন ঘটানো। কিন্তু সর্বসাম্প্রতিক কমিশনগুলোর কর্মতৎপরতায় একথা মনে অনেকেই মনে করছেন যে, সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ কোন শ্রেণি বা গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নে পুরোপুরি তৎপর রয়েছে। ফলে নির্বাচন কমিশন এখন রীতিমত প্রহসন কমিশনে পরিণত হয়েছে বলে এ অভিযোগও জোরালো হয়ে উঠেছে। আর এসব অভিযোগ খণ্ডন করার মত নৈতিক সাহস বর্তমান কমিশনের আছে বলে মনে হয় না।

দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যথেষ্ট ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কমিশন কর্তাদের পশ্চাদপদ মানসিকতা ও রাজনৈতিক মনোবৃত্তির কারণেই রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটি মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। ফলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন অনেকটাই তীব্রতা পেয়েছে। সঙ্গত কারণেই জনগণও ইতোমধ্যেই নির্বাচন বিমুখ হতে শুরু করেছে। সদ্য সমাপ্ত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের নগন্য ভোটার উপস্থিতি সেদিকেই অঙ্গুলী নির্দেশ করে। যা জনগণের নির্বাচন বিমুখতার সুস্পষ্ট প্রমাণ।

আমাদের দেশের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেখানে কমিশনকে অধিকতর ক্ষমতা প্রদান করা দরকার, সেখানে মাত্র কয়েকদিন আগেই নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করে জাতীয় সংসদের বিল পাশ করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পক্ষে এই ক্ষমতা খর্ব করার বিষয়ে কোনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে দেখা যায়নি বরং এ বিষয়ে কমিশন অবোধ বালকের মতই মেনে নিয়ে প্রমাণ করেছেন তাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য দেশে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা নয় বরং শ্রেণি বা গোষ্ঠী তোষণকেই বর্তমান কমিশন প্রধান্য দিচ্ছেন। ফলে কমিশন ক্ষমতার হ্রাসবৃদ্ধিকে কোনভাবেই পাত্তা দিচ্ছে না। সঙ্গত কারণেই বর্তমান কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা একেবারে তলানীতে এসে ঠেকেছে। আর এ ধরনের কমিশন দিয়ে দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা কোনভাবেই সম্ভব নয় বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহল। ফলে নির্বাচনকালীন কেয়াটেকার সরকারের যৌক্তিকতা ক্রমেই অধিকর স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক জাতীয় সংসদে বিল পাশের মাধ্যমে কমিশনের নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতাকে খানিকটা খর্ব করা হয়েছে। অভিজ্ঞমহল মনে করছেন, এই ক্ষমতা হ্রাসের মাধ্যমে প্রকারান্তরে নির্বাচন কমিশন নখদর্পহীন কাগজে বাঘে পরিণত হলো। একই সাথে কমিশনকে পরিণত করা হয়েছে আজ্ঞাবাহী প্রতিষ্ঠানে। তাই এই নির্বাচন কমিশনের পক্ষে দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা কোনভাবেই সম্ভব হবে না বরং নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ হয়েই দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হবে। যা বাস্তব প্রতিফলন লক্ষ্য করা যাচ্ছে সর্বসাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে।

সে কথার বাস্তব প্রমাণ মেলে সদ্য সমাপ্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের মাধ্যমে। সে নির্বাচনে একজন মেয়র প্রার্থীকে নির্বাচনের দিন ব্যাপকভাবে লাঞ্ছিত ও রক্তাক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সে নির্বাচনকেও বর্তমান কমিশন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য বলে আত্মতৃপ্তির ঢেকুর তুলেছে। অথচ নির্বাচন কমিশনের উচিত ছিল একজন প্রার্থীর লাঞ্ছনার ঘটনায় তড়িৎব্যবস্থা গ্রহণ এবং পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াকেই স্থগিত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ভোট গ্রহণের জন্য নতুন তারিখ ঘোষণা করা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেদিকে না গিয়ে প্রকারান্তরে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করে গোলযোগপূর্ণ এই নির্বাচনকে বৈধতা দিয়েছে এবং প্রার্থী লাঞ্ছনার ঘটনাকে তুচ্ছ ঘটনা হিসাবে আখ্যা দিয়ে খোদ প্রধান নির্বাচন কমিশনার অবলীলায় প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘তিনি কি ইন্তিকাল করেছেন?’
একজন প্রভাবশালী ও সম্ভবনাময় প্রার্থী লাঞ্ছনার ঘটনাকে যে দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার এভাবে মূল্যায়ন করেন, সে দেশে অন্তত অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান কোন ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ, তিনি মৃত্যু বা প্রাণহানি ছাড়া কোন ঘটনাকে ঘটনাই মনে করতে পারছেন না। ফলে তার মানসিক সুস্থতা নিয়েও মহল বিশেষে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। যদিও তিনি তার গর্হিত মন্তব্যের জন্য পরবর্তীতে ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু অভিজ্ঞমহল তার এই ক্ষমা প্রার্থনাকে ‘গরু মেরে জুতা দান’-এর সাথেই তুলনা করছেন। কারণ, তার এই ক্ষমা প্রার্থনার জন্য নির্বাচনী ফলাফলে কোন হেরফের হচ্ছে না।

অবশ্য কেউ কেউ নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতা ও ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে থাকেন। কিন্তু আমাদের সংবিধানে নির্বাচন কমিশনের যে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করলেই অপেক্ষাকৃত ভালো নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব। কিন্তু কমিশনারদের দলীয় মনোবৃত্তি ও দাসপ্রবণ মানসিকতার কারণে সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি স্থবির প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কেউ কেউ নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু কমিশনাররা যদি মানসিক দাসত্ব থেকে মুক্ত হতে না পারেন তাহলে আইন করে যতই স্বাধীনতা দেয়া হোক না কেন তা কোন ভাবেই ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারে না। আর কোন রাষ্ট্রে একাধিক স্বাধীন স্বত্ত্বার অস্তিত্ব থাকাও যৌক্তিক নয় বা থাকার কোন সুযোগ নেই।

একথা অস্বীকার করা যাবে না যে, একটি দেশে সরকারই শুধু স্বাধীন স্বত্ত্বা। কিন্তু সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজ করতে হয় সাংবিধানিক কর্মপরিধির মধ্যে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে। আর এজন্য দায়ী থাকতে হয় বিবেকের কাছে। কিন্তু আমাদের দেশের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা বোধহয় এক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যর্থ হচ্ছেন। কারণ, তারা শ্রেণি ও গোষ্ঠী তোষণে তৎপর রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে সংবিধান অনুসৃত হচ্ছে না। সবকিছু চলছে নিজেদের মর্জি ও খেয়ালখুশী মত; এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায়। কেউ কেউ বিষয়টিকে পুতুল নাচের মহড়া হিসাবেও বিবেচনা করছেন। এমতাবস্থায় সাম্প্রতিক সময়ের নির্বাচনগুলোতে জনমতের প্রতিফলন ঘটছে না। ফলে পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের নামে নির্বাচকদের সাথে চলছে প্রতারণার মহোৎসব। যা আমাদের দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে রীতিমত প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

সদ্য সমাপ্ত ঢাকা-আসনের বিরোধী দলহীন নিরুত্তাপ নির্বাচনও বর্তমান নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করতে পারেনি। প্রায় ভোটার উপস্থিতিহীন নির্বাচনও অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি কমিশনের পক্ষে বরং সে নির্বাচনে প্রার্থী পেটানোর ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ হয়েছে। আর এই ব্যর্থতা ঢাকার জন্য নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যে বক্তব্য দেয়া হচ্ছে তা কোন বিচারেই গ্রহণযোগ্য হওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে বলা হয়েছে, নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে গিয়েই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম পিটুনীর শিকার হয়েছেন। কিন্তু সচেতন মানুষের পক্ষে বলা হচ্ছে, হিরো আলম কোন অনিয়ম করে থাকলে নির্বাচনী আইনেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেদের ব্যর্থতাকে পাশ কাটানোর জন্যই ঘটনার পুরো দায়িত্ব স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর চাপিয়ে সন্ত্রাসীদেরকেই পরোক্ষভাবে উৎসাহিত করেছে। আর এতে আগামী দিনে আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা বাড়বে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞমহল।

আর এই প্রার্থী নাজেহালের ঘটনা একজন নির্বাচন কমিশনার যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন তাতে জনমনে ব্যাপক বিস্ময় ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি এই নিন্দনীয় ও ন্যক্কারজনক ঘটনাকে ‘সামান্য অন্যায়’ বলে উল্লেখ করে রীতিমত লোক হাসিয়েছেন। যা তার পদমর্যাদা ও ব্যক্তিত্বের সাথে মোটেই সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তার ভাষায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ‘অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছিল। কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি। বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। একেবারে শেষ সময়ের দিকে একজন প্রার্থী (হিরো আলম) কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। তিনি তার সমর্থক ও ইউটিউবার নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করেন। এটা পুলিশ আটকে দেয়, যেহেতু আইন অনুযায়ী তিনি এটা পারেন না।’

তিনি আরো বলেছেন, ‘উনাকেসহ (হিরো আলম) চার পাঁচজনকে কেন্দ্রে ঢুকতে দিয়েছে। উনি প্রবেশ করে যখন ফিরে যাচ্ছিলেন কতিপয় দুষ্কৃতকারী তাকে আক্রমণ করে। এটা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, দুঃখজনক ঘটনা। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। যেখানে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়েছে, সেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে সেখানে সামান্য একটু, এই অন্যায় কাজ করে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপপ্রয়াস, সেটা আমরা একসেপ্ট করতে পারি না।’

এ বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপের বিষয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বক্তব্য হচ্ছে, ‘সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) পুলিশ কমিশনারের (ডিএমপি কমিশনার) সঙ্গে কথা বলেছেন। জরুরিভিত্তিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের চিহ্নিত করা এবং অন্যান্য সাক্ষী নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ডিএমপি কমিশনারকে লিখিত চিঠিও দেওয়া হয়েছে।’ কিন্তু তার এই বক্তব্যের সাথে বাস্তবতার কোন মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে। আর এজন সাংবিধানিক পদাধিকারীর এমন বক্তব্যকে অনাকাক্সিক্ষত ও অনভিপ্রেত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একজন সাংবিধানিক পদাধিকারী নির্বাচন কমিশনার একজন প্রার্থী নাজেহালের ঘটনাকে যেভাবে মূল্যায়ন করেছেন তা কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। রাজপথে প্রার্থী পেটানোর ঘটনা যদি ‘সামান্য অন্যায়’ হয় তাহলে বড় অন্যায় বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন তা কোন ভাবেই বোধগম্য নয়। তাহলে তিনি কি তার বসের ‘তিনি কি ইন্তিকাল করেছেন?’ একথাকেই পরোক্ষভাবে সমর্থন করছেন? মূলত, তার এমন বক্তব্যের মাধ্যমে পুরো নির্বাচন কমিশনই নতুন করে গ্রহণযোগ্যতা সঙ্কটে পড়েছে। ফলে বর্তমান কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচনই প্রশ্নমুক্ত হবে না। তাই বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের নতুন করে ভাবার অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে।

https://dailysangram.info/post/530543