২১ জুলাই ২০২৩, শুক্রবার, ৬:১২

দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে

-আবদুল লতিফ মন্ডল

গত ১২ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে জাতিসংঘের পাঁচ সংস্থা-খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদন ‘দ্য স্টেট অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২৩’। প্রতিবেদনের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি এবং ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের ফলে বৈশ্বিক খাদ্যব্যবস্থা নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। দ্য স্টেট অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২৩ এসব জটিলতার সার্বিক বিবরণ প্রদান করেছে। বৈশ্বিক ক্ষুধা, অপুষ্টি ও দ্রুত পরিবর্তনশীল খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়াদি স্থান পেয়েছে এ প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনের ফাইন্ডিংসের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো-এক. ২০১৯ সালে বিশ্বজুড়ে যত মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগত, করোনা মহামারি, আবহাওয়ার বৈরিতা ও সংঘাতের কারণে সেই সংখ্যায় যোগ হয়েছে আরও ১২ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ। দুই. ২০২২ সালে বিশ্বের প্রায় আড়াইশ কোটি মানুষ, বিশেষ করে নারী ও গ্রামে বসবাসকারী মানুষ নিয়মিতভাবে পুষ্টিকর, নিরাপদ ও প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করতে পারেনি। তিন. বর্তমানে বিশ্বে যে হারে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব তো নয়ই, উলটো এ সময়ে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা আরও ৬০ কোটি বাড়বে। চার. শিশু অপুষ্টি হার এখনো ভয়ংকর পর্যায়ে। ২০২২ সালে বিশ্বে পাঁচ বছর বয়সের কম বয়সি শিশুদের মধ্যে বয়সের তুলনায় খর্বকায় শিশুর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৮০ লাখ (২২.৩ শতাংশ); বয়সের তুলনায় কম ওজনের শিশুর সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫০ লাখ (৬.৮ শতাংশ) এবং স্থূল শিশুর সংখ্যা ছিল ৩ কোটি ৭০ লাখ (৫.৬ শতাংশ)। পাঁচ. প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষ শহরে বাস করবে। ডেমোগ্রাফিক এ পরিবর্তনের কারণে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী নতুনদের চাহিদা মেটাতে এবং ক্ষুধা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অপুষ্টি নির্মূলে খাদ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে হবে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে যখন তীব্র ও মাঝারি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার গড় হার যথাক্রমে ১১.৩ ও ২৯.৬ শতাংশ, তখন দক্ষিণ এশিয়ায় তা যথাক্রমে ১৯.৪ ও ৪০.৩ শতাংশ। আর ২০২২ সালে বিশ্বে যখন অপুষ্টির হার ৯.২ শতাংশ, দক্ষিণ এশিয়ায় তা ১৫.৬ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসাবে বাংলাদেশে গত ৬ বছরে তীব্র ও মাঝারি ধরনের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। দ্য স্টেট অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২৩-এর বরাত দিয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ছিল ৫ কোটি ২৭ লাখ মানুষ। ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালে এর পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৯ লাখ। অর্থাৎ দেশে তীব্র থেকে মাঝারি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের সংখ্যা ২০১৬ সালের পর গত ছয় বছরে প্রায় ১৮ লাখ বেড়েছে। প্রতিবেদনে তীব্র খাদ্য সংকটের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এটি এমন এক পরিস্থিতি, যখন মানুষের খাবার ফুরিয়ে যায়, কোনো কোনো দিন অভুক্ত থাকে। মানুষের স্বাস্থ্য বড় ধরনের ঝুঁকিতে থাকে। আর মাঝারি ধরনের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, এটি এমন এক পরিস্থিতি, যখন মানুষের খাদ্য পাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা থাকে। বছরের কোনো কোনো সময় তাদের খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হয় অথবা খাবারের পরিমাণ ও মানের অবনমন ঘটে। অর্থ ও অন্য সম্পদের ঘাটতিতেই এমনটি ঘটে।

জাতিসংঘের এ প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের ২২ শতাংশ পরিবার বন্যা এবং ১৬ শতাংশ মানুষ নদীভাঙনের শিকার। ফলে শুধু ক্ষুধা নিয়েই দুশ্চিন্তা বাড়ছে না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, করোনা মহামারির প্রভাবে মানুষের আয়ের ওপর প্রভাব পড়ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। এসবের ফলে বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, বেড়েছে খাবারের দাম। তাতে কোটি কোটি মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে।
এদিকে দেশের সব জেলার খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা আইপিসির (ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশন) ১ জুনের

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মার্চ-এপ্রিল সময়কালে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৯০ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে। সাইক্লোন ও বন্যার কারণে মে-সেপ্টেম্বর সময়কালে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে পারে এবং তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষের সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখে উন্নীত হতে পারে।

জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী, খাদ্য নিরাপত্তা তখনই বজায় থাকে, যখন সবার কর্মক্ষম, স্বাস্থ্যকর ও উৎপাদনমুখী জীবনযাপনের জন্য সবসময় পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্যের লভ্যতা ও প্রাপ্তির ক্ষমতা বিদ্যমান থাকে। খাদ্য নিরাপত্তা নির্ধারণের তিনটি নিয়ামক হলো-খাদ্যের সহজলভ্যতা, খাদ্যপ্রাপ্তির সক্ষমতা এবং খাদ্যের পুষ্টিমান ও নিরাপত্তা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির তুলনায় দেশের প্রধান খাদ্য চালের উৎপাদনশীলতা তথা প্রবৃদ্ধি হার কম। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ও অন্যান্য রিপোর্টে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছর বাদ দিলে ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছর পর্যন্ত চাল উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হার নেতিবাচক থেকে ১ দশমিক ৩০ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। অথচ এ সময়কালে দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, চালের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির বার্ষিক হার যখন দশমিক ৮২ শতাংশ, তখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৩ অনুযায়ী জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে উৎপাদিত চালে দেশের চাহিদা মিটছে না। বছরের পর বছর ধরে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। তবে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব, দেশে ডলার সংকট ইত্যাদি কারণে সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চাল আমদানি করা যায়নি। এতে ওই অর্থবছরে মোটা চালের দাম ১৭.৯৫ এবং সরু চালের দাম ২০.২৯ শতাংশ বেড়ে যায়। কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক গত এপ্রিলে আশা প্রকাশ করেন, দেশে চাল উৎপাদনে শীর্ষে অবস্থানকারী বোরো ফসল থেকে এ বছর (২০২২-২৩) ২ কোটি ১৫ লাখ টন বোরো চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২ কোটি ২০ লাখ টন উৎপাদন হতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খরা, অতি উচ্চ তাপমাত্রাসহ নানা কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানসহ সব ফসলের উৎপাদন কম হবে গড়ে ৩০-৪০ শতাংশ (যুগান্তর, ১৯ এপ্রিল)। গত বছর ২ কোটি ৯ লাখ ৫১ হাজার টন বোরো চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২ কোটি টনের নিচে। গত আমন মৌসুমে চালের উৎপাদন ১ কোটি ৬৩ লাখ টনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) আশা প্রকাশ করেছিল। তবে মার্কিন কৃষি বিভাগের এক পূর্বাভাসে এ উৎপাদন ১ কোটি ৪১ লাখ টনে দাঁড়াবে বলা হয়েছে। এর আগেও ডিএই’র চাল উৎপাদনের হিসাবের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে তারতম্য ঘটেছে। অর্থাৎ বিবিএসের হিসাবে চাল উৎপাদনের পরিমাণ কমেছে। তাই বিদায়ি বোরো মৌসুমে চালের প্রকৃত উৎপাদন জানতে আমাদের কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

চাল উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা আমন ফসলের আবাদ অনেকটা প্রকৃতিনির্ভর। আমন আবাদ খরা, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস ও সাইক্লোনে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার উদাহরণের অভাব নেই। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বছর আমন আবাদ যে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়?

খাদ্যশস্যের দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা গমের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চললেও এর উৎপাদন চাহিদার (কমবেশি ৭০ লাখ টন) ছয় ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ গমের ক্ষেত্রে আমরা প্রায় পুরোপুরি আমদানিনির্ভর। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে পণ্যটির দাম আকাশছোঁয়া। ২০২০ সালের ৩২ টাকার এক কেজি খোলা আটা এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকায়।

খাদ্যের সহজলভ্যতা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়। দরকার খাদ্য কেনার সামর্থ্য। আইএলও’র এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রকৃত মজুরি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ঋণাত্মক। চলতি বছর মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতিতে (জুনে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ) প্রকৃত মজুরি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এতে সমাজে শ্রেণিবিন্যাসে পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অর্থাৎ মধ্যবিত্তের নিম্ন-মধ্যবিত্ত, নিম্ন-মধ্যবিত্তের দরিদ্র এবং দরিদ্রের অতিদরিদ্র স্তরে নেমে আসার জোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে দেশে দারিদ্র্যহার বেড়ে যাবে। খাদ্যশস্যের উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ক্রয়ক্ষমতার অভাবে দেশের বিপুলসংখ্যক দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে এবং হচ্ছে, যার প্রতিফলন দ্য স্টেট অফ ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড ২০২৩ এবং আইপিসির সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ঘটেছে।

দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য স্বল্পমেয়াদি ব্যবস্থা হিসাবে সরকারের যা করণীয় তা হলো-ক. চলতি অর্থবছরে দেশে কী পরিমাণ খাদ্যশস্য (চাল-গম) আমদানি প্রয়োজন হতে পারে, তা নির্ধারণে জরুরি ভিত্তিতে জরিপ পরিচালনা এবং জরিপের ফলাফলের আলোকে খাদ্যশস্য আমদানির পরিমাণ এবং খাদ্য বাজেট পুনঃনির্ধারণ করা; খ. খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা এবং চাল বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করা; গ. টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে কার্ডধারী এক কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের মধ্যে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে নির্দিষ্ট দিনে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে ৫ কেজি করে চাল দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত সরকার সম্প্রতি নিয়েছে তা প্রশংসনীয়। তবে চালের পরিমাণ ৫ কেজি থেকে কিছুটা বৃদ্ধি করা দরকার; ঘ. নিম্নআয়ের মানুষের আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে-১. জমি স্বল্পতার কারণে আমাদের চাল ও অন্যান্য খাদ্যপণ্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিতে হবে; ২. চালসহ কৃষিপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষিজমি অকৃষি খাতে চলে যাওয়া যথাসম্ভব বন্ধ করতে হবে; ৩. চালসহ কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে; ৪. খাদ্যের পুষ্টিমান বৃদ্ধির দিকে নজর দিতে হবে এবং বাজারে অনিরাপদ খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করতে হবে; ৫. কৃষি খাতের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সুপারিশকৃত কৌশলগুলো বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক খাদ্যসচিব, কলাম লেখক
latifm43@gmail.com

 

https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/698242