১৭ জুলাই ২০২৩, সোমবার, ৮:৪১

জুলাইয়ের ১৫ দিনেই জুনের দ্বিগুণ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। প্রতিদিনই পরিসংখ্যান রেকর্ড সৃষ্টি করছে। দুএকটি জেলা বাদে সারাদেশেই এখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোববার ১৫ জুলাই পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার ৪৭৬ জন, যা জুন মাসে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। জুন মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল পাঁচ হাজার ৯৫৬ জন

চলতি মাসে মৃতের সংখ্যাতেও রেকর্ড। চলতি মাসের ১৫ দিনে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে বছরের প্রথম ছয় মাসের পরিসংখ্যান। জুন মাস পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৪৭ জন। যেখানে জুলাই মাসের প্রথম ১৫ দিনে মারা গেছেন ৫৩ জন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংগত কারণেই এবছর ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। কর্মসূচির পাশাপাশি সমন্বয়হীনতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। শুরু থেকেই গুরুত্ব না দেওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই কীটতত্ত্ববিদদের।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৬৬ জন, মার্চ মাসে ১১১ জন, এপ্রিল মাসে ১৪৩ জন ও মে মাসে এক হাজার ৪৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিয়েছেন। জুন মাস পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন সাত হাজার ৯৭৮ জন। কিন্তু জুলাই মাসে প্রথম ১৫ দিনেই হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার ৪৭৬ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১৫ জুলাই পর্যন্ত মারা গেছেন ১০০ জন। এর মাঝে শুধুমাত্র ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেছেন ৭৮ জন। বাকি ২২ জনের মাঝে সর্বোচ্চ ১৩ জন মারা গেছেন চট্টগ্রাম বিভাগে।
এছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে তিনজন, খুলনা বিভাগে দুই জন, রাজশাহী বিভাগে দুই জন, রংপুর বিভাগে একজন, বরিশাল বিভাগে একজন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। সিলেট বিভাগে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণের কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, ডেঙ্গু এখন আর কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকা, থানা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, জেলা বা বিভাগে সীমাবদ্ধ নেই। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে চলতি মৌসুমে ডেঙ্গু সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেশি। একইভাবে মৃত্যুর সংখ্যাও এবার বাড়ছে।’

জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, দেশে ডেঙ্গুর একাধিক ধরন ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন। তবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এই মুহূর্তে মশক নিধন করা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। মশক নিধন কর্মসূচির পাশাপাশি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারিভাবে প্রচার-প্রচারণা জোরদার করা দরকার, যাতে মানুষ সচেতন হয়।’

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বাংলাদেশে ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রভাব বাড়ছে। এই সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।
চট্টগ্রামে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃতু

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ জনে। রোববার বিকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

মারা যাওয়া দুইজন হলেন- আব্দুল মান্নান (৪৫) ও মো. আলমগীর (৩০)। এদের মধ্যে আব্দুল মান্নান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এবং মো. আলমগীর নগরীর বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মো. আলমগীর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আবুল কালামের ছেলে। তিনি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আব্দুল মান্নান গত ১৪ জুলাই চমেক হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি পটিয়া উপজেলার শোভনদন্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ এলাকার বাসিন্দা। আর মো. আলমগীর ১৫ জুলাই ভর্তি হন বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে।

এদিকে গতকাল রোববার ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে আরও ৭৪জন।চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূএ বলছে, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে আরও ৭৪জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৭৭ জনে। এছাড়া শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। গতকাল বিভিন্ন হাসপাতালে মোট ডে্গংু রোগী ভর্তি ছিল ৩৫৬জন।সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। বিষয়টি উদ্বেগের। ডে্গংু প্রকোপের এই সময়ে জ্বর বা শারীরিক কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা দিলেই চিকিৎসক দেখাতে হবে। কোনো অবস্থাতেই অবহেলা করা যাবে না। সামান্য দেরিতে বড় বিপদ হতে পারে। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হওয়া ৭৪ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৮ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৩৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্কতা ও সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই।’
খুলনা বিভাগে প্রথম দুইজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু
৭ জেলা ও খুমেক হাসপাতালে ৪৩ রোগী ভর্তি

খুলনা ব্যুরো : শহর ছাড়িয়ে ডেঙ্গু এখন গ্রামেও ছড়াচ্ছে। সরকারি হিসাবে এরই মধ্যে এডিস মশাবাহিত এ রোগ ছড়িয়েছে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায়। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা বিভাগের ৭ জেলা ও খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতাল মিলে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৩ জন। একই সময়ে যশোর জেলায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ বছরই সরকারিভাবে খুলনা বিভাগে প্রথম ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানায়। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা বিভাগে দ্বিগুণ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে।
এদিকে খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, উপজেলাগুলো থেকেও ডেঙ্গু রোগী ওই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শহর ছাড়িয়ে ডেঙ্গু এখন গ্রামেও ছড়াচ্ছে। খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও খুমেক হাসপাতাল সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ( শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত) নতুন করে খুলনা বিভাগের ৭ জেলায় ও খুমেক হাসপাতাল মিলে মোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ৪৩ জন। এর মধ্যে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয় ১০ জন । একই সময়ে যশোরে দুইজন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যা এবছরই খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু মৃত্যু প্র্রথম। এর আগের দিন বিভাগের দুই জেলা ও খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ছিলো ১৮ জন। অর্থাৎ একদিনে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি দ্বিগুন ছাড়িয়েছে। একই সময়ে মৃত্যুও প্রথম।

ওই সূত্র মতে, বিভাগের ৭ জেলায় নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির মধ্যে বাগেরহাটে ৩ জন, যশোরে ৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে দুইজনের, ঝিনাইদহে ২ জন, মাগুরায় ১১ জন, কুষ্টিয়ায় ৬ জন এবং নড়াইল ও মেহেরপুরে একজন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এছাড়া খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১০ জন। এ বছরে শুরু থেকে এ পর্যন্ত খুলনা বিভাগে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় ৪৯৭ জন এবং মৃত্যু হয় দুইজনের। একই সময়ে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬৯ জন। বর্তমানে খুলনা বিভাগে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ১১৭ জন। এর মধ্যে বাগেরহাটে ভর্তি রয়েছে ৯ জন, সাতক্ষীরায় ৫ জন, যশোরে ২০ জন, ঝিনাইদহে ২ জন, মাগুরায় ২১ জন, নড়াইলে ১১ জন, কুষ্টিয়ায় ১২ জন এবং মেহেরপুরে একজন। এছাড়া খুমেক হাসপাতালে ভর্তি আছে ৩৬ জন। খুলনা বিভাগে শনাক্ত ও মৃত্যু দুটোই এ বছরের সর্বোচ্চ। এ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুকে বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা বিবেচনা করে জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়নের পাশাপাশি শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতে মশা নিধনের উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. রবিউল হাসান বলেন, ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় আগে থেকেই আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ডেন পাশাপাশি ৫টি মেডিসিন ইউনিটে ডেঙ্গু কর্ণার চালু করা হয়েছে। চিকিৎসকরা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের দিন-রাত সেবা প্রদান করছেন। এখন পর্যন্ত তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে কেউ মারা যায়নি।

খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় খুমেক হাসপাতালে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১০ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন ৩৬ জন। এর মধ্যে ভর্তি পুরুষ আছে ১৪ জন, মহিলা ১০ জন এবং শিশু রয়েছে ২ জন। ভর্তির মধ্যে খুলনা জেলার বাসিন্দা দুইজন এবং অন্যান্য জেলার বাসিন্দা রয়েছে ৩৪ জন।
খুমেক হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি রোগী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হওয়ার মধ্যে খুলনা মহানগরী এলাকা, খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলা, তালা, পিরোজপুর ও মোংলার বাসিন্দা রয়েছে।

খুমেক হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলো শিশু সুরাইল (১০ মাস)। গত ৮ জুলাই ভর্তি হয়। সুরাইলের মা নাদিয়া বেগম বলেন, যশোর থেকে দুইদিন আগে শিশু সুরাইলকে নিয়ে খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলা থুকড়া গ্রামে বেড়াতে আসেন। আসার দুইদিন পর তার মেয়েটির ৩-৪ বার পায়খানার পাশাপাশি গায়ে জ্বর আসে। মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসা শরনাপন্ন হন। চিকিৎসকের পরামর্শে ডেঙ্গু পরীক্ষায় তার মেয়ের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। রোগীর ভাষ্য অনুযায়ী ডেঙ্গু এখন শহরে নয়, গ্রামেও ছড়াচ্ছে।

খুমেক হাসপাতালের আরএমও ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, খুমেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর ট্রাভেলিং হিস্টোরিতে বুঝা যাচ্ছে ডেঙ্গু এখন গ্রামেও ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু রোগীদের মধ্যে খুলনা মহানগরীসহ বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা রয়েছে। ওই আরএমও বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও যারা গুরুতর রোগী নয়, তারা যাতে মশারি টানিয়ে বাড়িতে থেকেই সেবা নিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা উচিত। পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হলে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা রাখা, শিশু, সন্তানসম্ভবা নারী ও বৃদ্ধ বা যাদের পুরোনো রোগ আছে, তাদের অবশ্যই কাছাকাছি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা।

https://dailysangram.info/post/530134