১৫ জুলাই ২০২৩, শনিবার, ৮:২৯

নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি মিলছে না

নিত্যপণ্যের বাজারে কোনোভাবেই স্বস্তি মিলছে না। হুটহাট করে কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়ে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে, আবার কিছু পণ্যের দাম কমলেও সেটা দিন আনে দিন খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরেই থাকছে। এতে তাদের সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। কোরবানির ঈদের পর বাজারে মাছ ও সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে তা এখনো সহনীয় পর্যায়ে আসেনি। অন্যদিকে কাঁচামরিচ, আলু, টমেটো, ভোজ্যতেল ও চিনিসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন বাজারে গিয়ে অস্বস্তি নিয়ে ঘরে ফিরছেন নি¤œবিত্তরা।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচাসহ রাজধানীর কয়েকটি বাজারে তেলের দাম ছিল আগের মতোই। গত বুধবার সয়াবিন তেলে লিটারে ১০ টাকা ও পামওয়েলের দাম ৫ টাকা কমলেও তার প্রভাব বাজারে পড়েনি। আগের বাড়তি দামেই কিনছেন ক্রেতারা। এ বিষয়ে মালিবাগ বাজারের নোয়াখালী স্টোরের স্বত্বাধিকারী ফরিদ হোসেন বলেন, এখনো নতুন দামের তেল বাজারে আসেনি। কোম্পানি আরো কদিন পর সেগুলো বাজারে ছাড়বে। এখনো পুরনো তেল বিক্রি করছি, যে কারণে আগের দাম রাখতে হচ্ছে।

অন্যদিকে দীর্ঘদিন খুচরা বাজারে কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত চিনি। গত কয়দিনের ব্যবধানে এ পণ্যটির দাম আরো বেড়ে এখন ১৪০ টাকা পর্যন্ত কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম রাখা হচ্ছে। তেল-চিনি ছাড়াও বাজারে কাঁচামরিচ ২৬০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে আদার দাম ৩০০ টাকা কেজির নিচে নামছে না। পর্যাপ্ত আমদানির পরও বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া বাজারে ঈদের পর হঠাৎ করে আলুর দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। মাত্র কয়দিনের ব্যবধানে অন্তত ১৫ থেকে ২০ টাকা প্রতি কেজি আলু এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। অন্যদিকে বাজারে কোরবানি ঈদের আগে থেকেই টমেটোর দাম ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে কালেভদ্রে কোনো কোনো বাজারে কিছুটা কমে পাওয়া যায়। শসার দামও ডাবল সেঞ্চুরির দিকে হাঁটছে। তবে বাজারে কিছুটা কমেছে সবজি ও মাছের দাম। বাজারের চিত্র অনুযায়ী, গ্রীষ্মের সবজিগুলো ৫০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। আর বিভিন্ন জাতের মাছের দাম কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে। অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম ২০০ টাকার ওপরেই আটকে আছে। ব্রয়লার প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি ২৮০ থেকে ৩৩০ টাকা। আর প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আবার কোথাও কোথাও খুচরা পর্যায়ে ৪৮ টাকা ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য ফার্মের সাদা ডিমের দাম কিছুটা কম। এছাড়াও লম্বা বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, গোল বেগুন ১০০ টাকা, শসা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করল্লা ১২০ টাকা, উচ্ছে ১০০, পেঁপে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পটোল ৬০-৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০-৮০ টাকা, ধুন্দল ৮০-৯০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ কেজি, লাউ ৭০-৮০ টাকা, চাল কুমড়া ভেদে ৮০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও বাজারের অবস্থান ভেদে ইলিশ মাছ ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা, রুইমাছ ৩৫০-৪৫০, কাতল মাছ ৪০০-৫০০, চিংড়ি মাছ ৯০০, কাঁচকি মাছ ৫০০, টেংরা মাছ ৬০০-৮০০, কৈ মাছ ২২০-২৫০, পাবদা মাছ ৫০০-৬০০ টাকা, শিংমাছ ৪০০-৬৫০, বেলে মাছ ৯০০-১০০০ টাকা, কাজলী মাছ ১৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

https://www.dailynayadiganta.com/first-page/762335/